Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ০৯ জুলাই ২০২৪, ২৫ আষাঢ় ১৪৩১, ০২ মুহাররম ১৪৪৬ হিজরী

আগাম তরমুজের বাম্পার ফলনে আনোয়ারার চাষিদের মুখে হাসি

| প্রকাশের সময় : ২৬ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

জাহেদুল হক, আনোয়ারা (চট্টগ্রাম) থেকে : চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপকূলে আগাম তরমুজ চাষে বাম্পার ফলন হয়েছে। ইতোমধ্যে ক্ষেত থেকে তরমুজ তুলে বিক্রি শুরু করেছেন চাষিরা। স্থানীয় বাজারের পাশাপাশি চট্টগ্রাম শহরেও যাচ্ছে এসব তরমুজ। এই এলাকার তরমুজ আকারে ছোট হলেও স্বাদ বেশি। তাই ভালো দাম পাওয়ায় চাষিরাও খুশি। গত রোববার সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের শঙ্খের মোহনায় ধলঘাট থেকে বার আউলিয়া পর্যন্ত উপকূলে ও পারকি সমুদ্র সৈকতের বেড়িবাঁধ সংলগ্ন এলাকাজুড়ে তরমুজ ক্ষেত। সেখানে চাষিরা ক্ষেতের পরিচর্যা করছেন। একেকটি তরমুজের ওজন তিন থেকে ছয়-সাত কেজি হয়েছে। স্থানীয় সূত্র জানায়, কয়েক বছর ধরে বার আউলিয়া ও পারকি সৈকত এলাকায় তরমুজ চাষ করে আসছেন চাষিরা। শুরুতে অল্প পরিসরে তরমুজ চাষ হলেও এ বছর দ্বিগুণ বেড়েছে। গহিরা বার আউলিয়া ও পারকি সৈকত এলাকায় ৬০ জনের মতো চাষি প্রায় ৬০ কানি (২৪ একর) জমিতে তরমুজ চাষ করেছেন। চাষিরা জানান, প্রতিকানি এলাকায় তরমুজ চাষে খরচ হয় ১০/১৫ হাজার টাকা। আবহাওয়া অনুকূলে থেকে ফলন ভালো হলে তরমুজ বিক্রি করে অর্ধলক্ষাধিক টাকা লাভ হয়। প্রতি সপ্তাহে দুয়েকবার ক্ষেত থেকে তরমুজ তোলা হয়। পাইকাররা ক্ষেতে এসেই তরমুজ কিনে নিয়ে যান। দক্ষিণ গহিরা গ্রামের চাষি মোজাম্মেল হক (৩৫) বলেন, আগাম তরমুজের দাম ভালো, লাভও বেশি। প্রতিটি তরমুজ ৩০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি হয়। এজন্য একজনের দেখাদেখি অন্যজনও চাষে এগিয়ে আসছে। পারকি সৈকত এলাকার ব্যবসায়ী বেলাল উদ্দিন জানান, চাষিদের কাছ থেকে পাইকারি দরে তরমুজ কিনে সৈকতে আসা পর্যটকদের কাছে বিক্রি করি। তরমুজের স্বাদ বেশি হওয়ায় চাহিদাও রয়েছে। জানতে চাইলে আনোয়ারা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. একরাম উদ্দিন ইনকিলাবকে বলেন, আনোয়ারা উপকূলে উৎপাদিত তরমুজ খুব সুস্বাদু। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে কৃষকদের এ বছর ভালো ফলন পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ