স্টাফ রিপোর্টার : জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) একাংশের সভাপতি মইনউদ্দিন খান বাদল রাজধানীর ফুটপাত থেকে হকার উচ্ছেদের বিরোধিতা করে বলেছেন, এই ধরনের আচরণ ঘুরে ফিরে সরকার এবং এমপিদের মাথায় এসে পড়বে। তিনি বলেন, যারা বুলডোজার চালিয়ে যাচ্ছেন, আমি জানি না এমপিদের সঙ্গে তাদের কতটুকু সংযোগ আছে। কিন্তু আমি এটা বলব, এ ধরনের আচরণ ঘুরে ফিরে সরকার এবং এমপিদের মাথায় এসে পড়বে। গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় সংসদের বৈঠকে অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি একথা বলেন। এ সময় বৈঠকের সভাপতিত্বে ছিলেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
তিনি বলেন, বেশ কয়েকদিন ধরে ঢাকা শহর কর্তৃপক্ষ বুলডোজারের সাথে হকারদের একটা বিতর্ক-বিরোধ চলছে। হকাররা আমাদের চোখের সামনে তাদের জীবন-জীবিকা ধ্বংস হতে দেখছেন। এখানে একটি বিষয় প্রণিধানযোগ্যÑ আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এ দেশের হাজারও রকম কনফ্লিক্ট এড়ানোর জন্য ঘোষণা দিয়েছেনÑ  প্রপারলি রিপ্লেসমেন্ট করা ছাড়া তাদের উচ্ছেদ করা যাবে না। কিন্তু আমরা লক্ষ্য করছি, হঠাৎ করে মনে হচ্ছেÑ ঢাকা শহরকে বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর শহর বানিয়ে ফেলার একটা প্রচ- প্রতিজ্ঞা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন।
তিনি বলেন, আমরা দ্রুত এগুচ্ছি। উন্নয়ন দ্রুতগামী হচ্ছে। তার পাশাপাশি এটাও সত্য, বাংলাদেশে মাত্র ১০ শতাংশ লোকের  কাছে ৪৭ ভাগ সম্পদ একত্রিত হয়েছে। ৪০ শতাংশ নিচের দিকের  লোকের কাছে মাত্র ১৩ শতাংশ সম্পদ আছে। এই বাস্তবতায় ফুটপাতের অর্থনীতি বলে একটা অর্থনীতি আছে। কারণ যতই চোখ ধাঁধানো বিপণিবিতান হোক না  কেন, সাধারণ  ক্রেতারা ওখানে ঢুকতে পারেন না। সুতরাং সাধারণ ক্রেতাদের সাথে করসপন্ডিং ক্রেতাও পৃথিবীর প্রত্যেকটি দেশে থাকে।
অনেকেই বলেছেন হকারদের জন্য সড়কে জ্যাম হচ্ছে। কিন্তু গতকাল বিশ্বরোডের কুড়িল ফ্লাইওভারে প্রায় দেড় মাইল লম্বা জ্যাম দেখলাম। ওখানে তো কোনো হকার নেই। আমাদের গাড়ির চাপের কারণে জ্যাম হচ্ছে। যত্রতত্র গাড়ি পার্কিংয়ের কারণে জ্যাম হচ্ছে।  তিনি বলেন,  ২০১৪ সালে ভারতীয় লোকসভা একটি আইন করেছে হকার ও পথবিক্রেতাদের সুরক্ষার জন্য। তিনি স্পিকারের উদ্দেশে বলেন, আপনার মাধ্যমে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে বলতে চাই এই আইনের দিকগুলোও যেন উনারা বিবেচনা করেন।