পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন নিয়ে প্রেসিডেন্টের উদ্যোগকে ক্ষমতাসীনরা বিতর্কিত করছে বলে মন্তব্য করেছে বিএনপি। গতকাল এক মিলাদ মাহফিল পূর্ব আলোচনা সভায় দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই মন্তব্য করেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, আওয়ামী লীগ সব সময় সুস্থাবস্থায় ক্ষমতায় থাকতে পারে না। তারা দেশের স্থিতাবস্থা বিনষ্ট করে, রাজনীতিতে তারা সবসময় একটা অস্থিতিশীল অবস্থার সৃষ্টি করে। তারই ধারাবাহিকতায় ইসি নিয়ে মহামান্য প্রেসিডেন্ট যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে ক্ষমতাসীনরা ইতিমধ্যে বিতর্কিত করে ফেলেছে। বিতর্কিত করবার জন্যেই এখন বিভিন্নভাবে বিভিন্নরকম বক্তব্য দিচ্ছেন। আমরা বলতে চাই, নির্বাচন কমিশন অবশ্যই নিরপেক্ষ এবং সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য হতে হবে। অন্যথায় এদেশের মানুষ কখনোই এই নির্বাচন কমিশনকে মেনে নেবে না। সেটা আওয়ামী লীগের বংশবদ হবে, তাদের ইচ্ছানুযায়ী হবে।
শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার কনিষ্ঠ ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এই মিলাদ ও দোয়া মাহফিল হয়। ২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি মালয়েশিয়ায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে কোকো ইন্তেকাল করেন। এরপর ২৮ জানুয়ারি তার লাশ দেশে এনে বনানীতে দাফন করা হয়।
এই দিবসটি উপলক্ষে বিএনপি ও কয়েকটি সংগঠন মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
নির্বাচন কমিশন গঠন প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, যখন আমরা দেশের রাজনীতিকে একটা সুস্থ ধারার মধ্যে ফিরিয়ে আনার জন্য চেষ্টা করছি, সেই লক্ষ্যে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া নির্বাচন কমিশন গঠন করবার একটা প্রস্তাব দিয়েছেন। সেই প্রস্তাবের ভিত্তিতে মহামান্য প্রেসিডেন্ট সকল রাজনৈতিক দলগুলোকে ডেকেছিলেন, কথা বলেছেন। সকলের মধ্যে এই বিশ্বাস জন্মেছিলো যে, প্রেসিডেন্ট হয়ত একটি এমন নির্বাচন কমিশন গঠন করবেন, যে কমিশনের প্রতি দেশের জনগণ আস্থা থাকবে।
তারা মহামান্য প্রেসিডেন্টের যে উদ্যোগ, এই উদ্যোগকে তারা ইতিমধ্যে বিতর্কিত করে ফেলেছে এবং বিতর্কিত করবার জন্যেই এখন বিভিন্নভাবে বিভিন্নরকম বক্তব্য দিচ্ছেন।
তিনি বলেন, যারা উদ্দেশ্যমূলকভাবে ও পরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশকে বিরাজনীতিকরণ করতে চেয়েছিলো, তারা দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের প্রতীক এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদের যে রাজনীতি সেই রাজনীতির প্রতীক জিয়া পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করবার নীল নকশা ছিলো, সেই নীল নকশার অংশ হিসেবে তারা আরাফাত রহমান কোকোকে গ্রেফতার ও নির্যাতন করেছে। তারই ধারাবাহিকতায় সেই উদ্দেশ্যকে নিয়ে বিএনপি ও তার রাজনীতি এবং এই রাজনীতি পতাকা যারা যারা বহন করে চলেছেন, সেই নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, আমাদের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও আরাফাত রহমান কোকোকে তারা একদিকে রাজনৈতিক থেকে অন্যদিকে শারীরিকভাবে নির্মূল করবার জন্য কাজ করেছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, এটা বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা নয়, এটা এদেশের রাজনীতিকে পুরোপুরিভাবে নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য আজকে যারা ষড়যন্ত্র করছেন, একদলীয় শাসন ব্যবস্থা আবার প্রতিষ্ঠা করবার জন্যে সুপরিকল্পিতভাবে কাজ করছেন, তাদেরই সেই নীল নকশার অংশ।
ক্রীড়া সংগঠক হিসেবে কোকো দেশের ক্রীড়ামোদীদের কাছে অমøান হয়ে থাকবে বলেও মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, এই সরকার গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। তারা অনৈতিকভাবে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে বসে তাদের বিরোধী প্রতিপক্ষ সক্ষম প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল ও তাদের নেতৃবর্গকে নির্মূল করে দেয়ার জন্য আজকে নির্যাতন-নিপীড়ন-হত্যা-গুমের মধ্য দিয়ে সারা দেশে একটা ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করেছেন। তারই ফলশ্রুতিতে আমরা দেখতে পারছি, তারা গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে ফেলেছে, প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে তারা আজকে ধ্বংস করেছে।
কোকো’র শোককে শক্তিতে পরিণত করে ‘গণতন্ত্রের অপশক্তি’কে অপসারণ করতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান বিএনপি মহাসচিব।
তিনি বলেন, কোকোর এই মৃত্যু আমাদের শোকাহত করেছে। এই শোককে ধারণ করে নিশ্চুপ হয়ে থাকলে চলবে না, এই শোককে শক্তিতে পরিণত করে গণতন্ত্র বিধ্বংসী অপশক্তিকে আমাদের অপসারণ করতে হবে। আসুন তার মৃত্যুবার্ষিকীতে সেই শপথ গ্রহণ করি এবং তার রুহের প্রতি সম্মান প্রদর্শন তখনই সঠিক হবে যখন আমরা গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবো। সেই লক্ষ্যে আসুন আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হই। জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি করে অপশক্তিকে আমরা পরাজিত করি।
মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, ড. আবদুল মঈন খান, ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভুঁইয়া, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, কেন্দ্রীয় নেতা ফজলুল হক মিলন, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, হাবিবুল ইসলাম হাবিব, আবু সাঈন খান খোকন, এবিএম মোশাররফ হোসেন, মুনির হোসেন, কাজী আবুল বাশার, শাহ নেসারুল হক, মোর্ত্তাজুল করীম বাদরু, এসএম জাহাঙ্গীর হোসেন, হাবিবুর রহমান হাবিবসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা অংশ নেন।
মরহুম কোকোর রুহের শান্তি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এর আগে সকাল থেকে নয়া পল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে কোকোর দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে কোরআন খতম হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।