রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
শ্রীপুর (গাজীপুর) উপজেলা সংবাদদাতা : গাজীপুরের শ্রীপুরে পটকা মৌজায় প্রায় ৭ একর বনভূমি জবর দখল হয়ে যাচ্ছে। প্রভাবশালীরা জমির গাছপালা কেটে বন ধ্বংস করে গড়ে তুলছে আবাদি জমি। সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পটকা মৌজার সিএস ও এসএ ২৯১ দাগের জমি বন বিভাগের গেজেটভুক্ত ভূমি। গোসিংগা ইউনিয়ন ভূমি অফিসের রেকর্ড অনুযায়ী পটকা মৌজার সিএস ও এসএ ৩৫৯ খতিয়ান ও ২৯১’র বাট্টা ৯৩০ দাগটি অস্তিত্বহীন। একটি মহল অস্তিত্বহীন দাগ খতিয়ান ব্যবহার করে বৈরাগীর চালা গ্রামের আঃ লতিফের ছেলে রিয়াজ উদ্দিনের নামে ১৬ ডিসেম্বর ১৯৬৫ সালে ৮৩৬০ নং দলিল সৃষ্টি করে। দলিল মূলে রিয়াজ উদ্দিন চার একর ভূমির মালিকানা দাবি করেন। পরবর্তীতে রিয়াজ উদ্দিন ৩৫৯ নং খতিয়ানভুক্ত ২৯১’র বাট্টা ৯৩০ দাগ ব্যবহার করে ১৯৭১ সালে ২২৬০ নং দলিল দ্বারা মোছলে উদ্দিন ম-লের নিকট ১.৩০ একর এবং ৩৫৯ ও ৩৩৬ নং খতিয়ানে ২৯১’র বাট্টা ৯৩০ ও ৯৩১ দাগ ব্যবহার করে ১৯৭৪ সালে আতাউর রহমানের নিকট ৫.৬৬ একর জমি বিক্রয় করেন। চার একর জমির মালিক হয়েও রিয়াজ উদ্দিন দু’দলিলে ৬.৯৬ একর জমি বিক্রয় করেন। রিয়াজ উদ্দিন কৌশলে চার একরের স্থলে ৭ একর ভূমি ৩১৫ খতিয়ানে আরএস রেকর্ডভুক্ত করে নেয়। ১৯৯৯ সালে আতাউর রহমান বেল-এওয়াজ হেবা দলিল দ্বারা ঢাকাস্থ মিরপুর এলাকার ১১ কল্যাণপুরের মির্জা কামরুল ইসলাম বেগের নিকট ৫.৬৬ একর জমি হস্তান্তর করেন। সম্প্রতি একটি প্রভাবশালী মহল বনের জমি চিহ্নিত না করে বনকেটে গাছ পালা উপড়ে জবর দখল চালাচ্ছে। জমির মালিক কামরুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা যায়নি। তার প্রতিনিধি সাহেব আলী বন ভূমি জবর দখলের কথা অস্বীকার করে বলেন, কামরুল ইসলাম তার মালিকানাধীন জমির গাছপালা কাটছেন। এ ব্যাপারে শ্রীপুরের রেঞ্জ কর্মকর্তা মোজাম্মেল হোসেন বলেন, বন ভূমির সীমানা নির্ধারণ করে জবরদখল শীঘ্রই উচ্ছেদ করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।