Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পরিবহন ধর্মঘটে বেনাপোল বন্দরে আমদানি-রফতানি বাণিজ্যে স্থবিরতা

নষ্ট হচ্ছে কয়েক কোটি টাকার পচনশীল পণ্য

| প্রকাশের সময় : ২৫ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

বেনাপোল অফিস : দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলায় ডাকা পরিবহন ধর্মঘটের কারণে গত ২ দিনে বেনাপোল বন্দরে আমদানি-রফতানি বাণিজ্যে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। ধর্মঘটে ওপারে কয়েক কোটি টাকার পচনশীল পণ্য নষ্ট হতে শুরু করেছে। দু’দেশের আমদানি-রফতানি বাণিজ্যে সৃষ্টি হয়েছে অচলাবস্থার। ২৩ জানুয়ারি সকাল থেকে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার পণ্য পরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদ অনির্দিষ্টকালের এ ধর্মঘট শুরু করে। বেনাপোল বন্দর থেকে কোন মালামাল লোড আনলোডসহ খালাস পর্যন্ত হচ্ছে না। বেনাপোল যশোর সড়কের বিভিণœ পয়েন্টে শ্রমিকরা বেরিকেট দিয়ে পাহারা বসিয়েছে। তবে গভীর রাতে ঝুঁকি নিয়ে বন্দরে আটকে থাকা বেশ কিছু পিঁয়াজের ট্রাক ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে গেছে। এখনও বহু ট্রাক আটকে আছে বন্দরে। বেনাপোল ট্রাক ট্রান্সপোর্ট মালিক সমিতির সভাপতি কামাল উদ্দিন জানান, ২১ জেলার পরিবহন ধর্মঘটের প্রভাব পড়েছে বেনাপোল বন্দরে। পরবর্তী সিদ্ধান্ত না পাওয়া পর্যন্ত বেনাপোল বন্দর থেকে সব ধরনের পণ্য পরিবহন বন্ধ থাকবে। এদিকে ধর্মঘটের কারণে বেনাপোল বন্দরে প্রায় ৩ শতাধিক ট্রাক আমদানি পণ্য নিয়ে আটকা পড়েছে। এসব পণ্যের মধ্যে শিল্প কারখানায়সহ গার্মেন্টস শিল্পের কাঁচামাল ও জরুরি অক্সিজেন ও পচনশীল বিভিন্ন ধরনের পণ্য রয়েছে। দ্রুত সমাধান না হলে ব্যবসায়ীদের ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে। বন্দর থকে মালামাল খালাশ না হওয়ায় ভারত থেকে প্রতিদিন যে হারে পন্য আমদানি হচ্ছে বন্দর থেকে সে হারে পণ্য খালাস না হওয়ায়  বন্দরে দেখা দিয়েছে ভয়াবহ পণ্যজট। বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমস কার্গো শাখার সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা তিতুমীর আহম্মেদ জানান, পরিবহন ধর্মঘটে বেনাপোল বন্দর থেকে পণ্য পরিবহন বন্ধ থাকলেও ভারত থেকে আমদানি রফতানি বানিজ্য স্বাভাবিক রয়েছে। উল্লেখ্য, এক দিনের পরিবহন ধর্মঘটে বেনাপোল কাস্টমস হাউসে ১০ কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতি হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ