রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
নুরুল আলম বাকু, দামুড়হুদা (চুয়াডাঙ্গা) থেকে : চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে ডাল জাতীয় ফসলের আবাদ। চলতি মৌসুমে আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ২৯৩ হেক্টর, সেক্ষেত্রে অর্জিত হয়েছে মাত্র ১৩৪ হেক্টর জমি। এক সময় দামুড়হুদাসহ পুরো জেলায় ব্যাপকভাবে ডাল জাতীয় ফসলের আবাদ হলেও বর্তমানে নুতন নুতন ফসলের আবাদ শুরু হওয়া ও সেইসাথে কৃষি বিভাগের পৃষ্ঠপোষকতার অভাবসহ নানা প্রতিকূলতায় বর্তমানে এ জাতীয় ফসলের আবাদের পরিমাণ কমতে কমতে ঠেকেছে তলানীতে। জানা গেছে, এক সময় চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলাসহ পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে ব্যাপকভাবে ডাল জাতীয় ফসল ছোলা, মসুর, মুগ, কলাই, অড়হর, খেসারি ও মটরের আবাদ হতো। সে সময় উৎপাদিত ডাল এলাকার মানুষের চাহিদা পূরণ করেও বিপুল পরিমাণ ছোলা, মসুর, মুগ, কলাই, অড়হর, খেসারি যেত দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। ওই সময় পানার ঈশ্বরদী, ফরিদপুর, ফরিদপুরের চরমুগুরিয়া, ঢাকার মিরকাদিম, যশোরের বসুন্দিয়া থেকে ব্যবসায়ীরা এসে উপজেলার দামুড়হুদা সদর, জয়রামপুর, দর্শনা, কার্পাসডাঙ্গা মোকাম থেকে এসব ছোলা, মসুর, মুগ, কলাই, অড়হর, খেসারি, মটর কিনে ট্রাক বোঝাই করে নিয়ে যেতেন। অত্র এলাকার ব্যবসায়ীরাও চালান করতেন দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। বছর ত্রিশেক আগে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গভীর ও অগভীর নলকূপ স্থাপনের ফলে সেচ সুবিধার উন্নতি ঘটলে নুতন ফসল হিসাবে ব্যাপকভাবে গম ও ইরি-বোরো ধানের আবাদে কৃষকরা লাভবান সেদিকে ঝুঁকে পড়েন। এছাড়া বছর দশেক আগে তামাক, ভূট্টাসহ নানা ধরনের সবজির আবাদ শুরু হলে ডাল জাতীয় ফসলের আবাদে ভাটা পড়তে শুরু করে যা এখন পযন্ত অব্যহত রয়েছে। ফলে এ অবস্থা চলতে থাকলে অচিরেই এ অঞ্চল থেকে ডাল জাতীয় ফসলের আবাদ বিলুপ্ত হয়ে যাবে। বর্তমানে এলাকার ডালের চাহিদা মেটাতে পুরোপুরি আমদানিনির্ভর হয়ে পড়েছে। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি রবি মৌসুমে জাল জাতীয় ফসল মসুর আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২৪৫ হেক্টর অর্জিত হয়েছে ৯৫ হেক্টর, ছোলা আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ হেক্টর অর্জিত হয়েছে ১০ হেক্টর, খেসারি আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩৬ হেক্টর অর্জিত হয়েছে ৫ হেক্টর, ডাল জাতীয় নতুন ফসল বকরম আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১০ হেক্টর সেক্ষেত্রে অর্জিত হয়েছে ২২ হেক্টর। এছাড়া বিভিন্ন ফসলের ক্ষেতের আইলে অড়হরের আবাদ হয়েছে মাত্র ২হেক্টর জমিতে। আর মুগ কলায়ের তেমন আবাদ না থাকায় কৃষি বিভাগের কাছেও এ আবাদের কোন পরিসংখ্যান নেই। এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুফি রফিকুজ্জামান বলেন, মূলত কৃষকরা যে ফসলে বেশি লাভবান হন সে ফসলেরই আবাদ করেন। বর্তমানে কৃষকরা ভূট্টার আবাদ করে বেশি লাভবান হচ্ছেন। আর এ আবাদে ঝুঁকিও কম। অপরদিকে ডাল জাতীয় ফসলের আবাদ করে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে লোকসানগ্রস্ত হওয়ায় এ আবাদ থেকে কৃষকরা মুখ ফিরিয়ে নিয়ে ভূট্টাসহ সবজি ও অন্যান্য ফসল আবাদের প্রতি ঝুঁকে পড়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।