Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দুই তীরের কয়েক হাজার কৃষক সেচ নিয়ে বিপাকে

সোনাই নদীর বুকে ধূধূ বালুচর

| প্রকাশের সময় : ২৩ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

মাধবপুর (হবিগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা : ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য থেকে উৎপত্তি হয়ে মাধবপুর উপজেলার ধর্মঘর-চৌমুহনী-বহরা ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থান দিয়ে প্রবাহমান এক সময়ের খরস্রোতা সোনাই নদী এখন শুকিয়ে ধূধূ মরুভূমিতে পরিণত হয়েছে। কোথাও কোথাও বালুর চর আবার কোথাও কোথাও পলি মাটি ফেটে চৌচির হয়ে গেছে নদীর তলদেশ। পানি না থাকায় ধর্মঘর, চৌমুহনী ও বহরা ইউনিয়নের সোনাই নদীর পাড়ের প্রায় কয়েক হাজার একর জমিতে ইরি-বোরো মৌসুমে সেচ দিতে পারছে না কৃষকরা। এমতাবস্থায় কয়েক হাজার একর জমিতে বোরো ও অন্যান্য ফসল উৎপাদন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। সোনাই নদী-তীরবর্তী অঞ্চলের বেশির ভাগ বাসিন্দা কৃষক। তাদের একমাত্র ভরসা ইরি-বোরো ফসল ও সবজি চাষ। এ ফসল উৎপাদনে সোনাই নদীর পানিই কৃষকদের একমাত্র ভরসা। বর্তমানে সোনাই নদী এখন শুকিয়ে মরুভূমিতে পরিণত হয়েছে। দূর থেকে দেখলে অনেকটা শিশুদের খেলার মাঠ মনে হয়। উজান থেকে নেমে আসা ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের পাহাড়ি ঢলে পানির সাথে বালু এসে সোনাই নদীতে পানি ধারণ ক্ষমতা হ্রাস পেয়েছে। বৃষ্টি না হওয়ায় খড়ার কারণে গভীর নলকূপগুলোতে পানি উঠছে না। পানি সেচ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সাধারণ কৃষকরা। পানির অভাবে ধানের চারা ও সবজি চারাগুলো হলুদ বর্ণ ধারণ করে গেছে। মঙ্গলপুর গ্রামের কৃষক আক্তার হোসেন বলেন, উজান থেকে পানি না আসায় এবং পানি ধারণ ক্ষমতা কমে যাওয়ায় সোনাই নদী শুকিয়ে গেছে। তাই সোনাই নদীতে পানি ধারণ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য সোনাই নদী খনন করা উচিত। এ ব্যাপারে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা অর্ধেন্দু দেব (অসিত) বলেন, সোনাই নদীতে পানি না থাকায় কৃষকরা চরম পানি সংকটে ভোগছে। তাই দ্রুত সোনাই নদী খনন করে নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে আনার পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত। চৌমুহনী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আপন মিয়া জানান, নদীতে বালি জমে নদী ভরে যাওয়ায় শুকনো মৌসুমে নদীতে কোনো পানি থাকে না। এ কারণে ওই এলাকার হাজার হাজার কৃষক নদী থেকে সেচ সুবিধা না পেয়ে চাষাবাদ ব্যাহত হয়ে অনেক জমি পতিত পড়ে আছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আতিকুল হক জানান, নদীর উজানে খনন করা হলে নদীর পানি ধারণ ক্ষমতা বেড়ে যাবে। আর এ কৃষকরা নদীর পানি দিয়ে পতিত জমি চাষাবাদ করে লাভবান হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ