Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

প্রতিকূল আবহাওয়ায়ও ফসলের মাঠে ব্যস্ত সৈয়দপুরের কৃষক

| প্রকাশের সময় : ২৩ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

নজির হোসেন নজু, সৈয়দপুর (নীলফামারী) থেকে : সৈয়দপুরসহ এ অঞ্চল এখন শৈত্যপ্রবাহের কবলে। জনজীবনে জেঁকে বসা শীতের বৈরী আবহাওয়ায়ও এ অঞ্চলে বোরো ও রবিশস্য আবাদে ছন্দপতন হয়নি। তীব্র শীত উপেক্ষা করে আবাদে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। কনকনে ঠা-া আর হিমশীতল পানিতে নেমে কৃষি শ্রমিকরা বোরো ধানের চারা রোপণে ব্যস্ত। বীজতলা থেকে চারা তুলে মাঠে মাঠে ছুটে যাচ্ছেন তারা। উপজেলা মাঠে মাঠে এখন বোরো আর রবিশস্য আবাদের দৃশ্য চোখে পড়ছে। এ বছর সৈয়দপুর উপজেলায় ১০ হাজার ৮০৫ হেক্টর জমিতে বোরো ও রবিশস্য আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে স্থানীয় কৃষি দপ্তর। এর মধ্যে ৭ হাজার ২০০ হেক্টর বোরো ধান ও ৩ হাজার ৬০৫ হেক্টর রবিশস্য। জানুয়ারি মাস থকে শুরু হয়েছে বোরো ও রবিশস্য আবাদের মৌসুম। মাঠজুড়ে চলছে জমি তৈরি ও আবাদের ধুম। কৃষি মজুর সেচ দিয়ে জমির মাটি ভেজাচ্ছেন, কেউবা কাঁদা করে প্রস্তুত করছেন জমি। আবার অনেকে ব্যস্ত রবিশস্য আবাদে। এদের কাছে শীতের বালাই নেই, বোরো ধান ও রবিশস্য আবাদই তাদের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। শীতের বৈরী আবহাওয়ায় ঘর থেকে যেখানে বের হওয়া দুষ্কর তার মধ্যেই কৃষকরা ব্যস্ত হয়ে পড়েছে আবাদে। এক সাথে দুটো মৌসুমের আবাদের কাজ চলায় কৃষি শ্রমিকের সংকটও দেখা দিয়েছে গ্রামাঞ্চলে। দৈনিক ৩০০ টাকা মজুরি দিয়েও মিলছে না কৃষি শ্রমিক। গৃহস্থরা হন্যে হয়ে খুঁজছেন কৃষি শ্রমিক। তাদের কদর বেড়ে যাওয়ায় বাড়তি মজুরি দিয়ে কৃষি শ্রমিক নিতে হচ্ছে কৃষকদের। উপজেলার বোতলাগাড়ী ও কামারপুকুর ইউনিয়ন ঘুরে দেখা যায়, হিমেল ঠা-া মাড়িয়ে কৃষি শ্রমিকরা মাঠে ব্যস্ত কাজে। মাঠজুড়ে বোরো ধান আবাদের কর্মযজ্ঞ। এ কর্মযজ্ঞের সঙ্গে রবিশস্যের আবাদ ও পরিচর্যা চলছে সমানতালে। বোরোর পাশাপাশি আলু, ভুট্টা, সবজির ফসলের পরিচর্যায় কাজ করছেন কৃষি শ্রমিকরা। বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের কাঙ্গালপাড়া এলাকায় বোরো ধানের চারা রোপণ করছিলেন কয়েকজন কৃষি শ্রমিক। কথা হলে তাদের একজন মজিবর জানান, মাঠে ব্যাপক হারে বোরো রোপণ শুরু হয়েছে। তীব্র শীতের মধ্যে কাজ করতে হচ্ছে। এতে কষ্ট হলেও এই সময়ের মধ্যে চারা রোপণ শেষ করতে হবে। সময়মতো বোরো ধান রোপণ না করলে ফলন ভালো হবে না। আবাদের প্রয়োজনে আমরা মাঠে নেমে পড়েছি। এ কাজে মজুরিও মিলছে ভালো। সৈয়দপুর উপজেলা কৃষি দপ্তরের দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানায়, চলতি রবি মৌসুমে উপজেলার পাঁচ ইউনিয়নে ১০ হাজার ৮০৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধান ও রবিশস্য আবাদের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৭ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান ও ৩ হাজার ৬০৫ হেক্টর জমিতে রবিশস্য আবাদ করা হবে। এ পর্যন্ত আবাদের লক্ষ্যমাত্রার প্রায় অর্ধেক হয়েছে। কৃষকরা ভালো ফলন পেতে বৈরী আবহাওয়ার মধ্যে আবাদে নেমে পড়েছেন। মাঠে কৃষকরা যে গতিতে কাজ করছেন তাতে এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি পরিমাণ জমিতে বোরো ধান ও রবিশস্য আবাদ করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন কৃষি দপ্তরের সংশ্লিষ্ট সূত্র। সৈয়দপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হোমায়রা ম-ল জানান, প্রকৃতি বিরূপ হলেও এটি আর কয়েক দিনের মধ্যে কেটে যাবে। এবং কৃষকরা ভালো ফলন পাবেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ