Inqilab Logo

শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বাজার পরিস্থিতি স্বাভাবিক ঋণ করে বিনিয়োগ না করার পরামর্শ

| প্রকাশের সময় : ২১ জানুয়ারি, ২০১৭, ১০:১৯ পিএম

ইনকিলাব ডেস্ক : বর্তমানে বাজার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে তাই এ নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। পুঁজিবাজারে যে স্বস্তি ফিরে এসেছে, এটা দীর্ঘ সাধনার ফল। দেশের সকল সূচক ভালো। সরকারসহ সব মহলের নানা প্রচেষ্টার কারণে নানা উদ্যোগ আর আয়োজনের পর বাজার কাক্সিক্ষত লক্ষের দিকে মাত্র যাওয়া শুরু করেছে। কাজেই বাজার নিয়ে এখনই আশঙ্কা করার কিছুই নেই। এখন পর্যন্ত বাজার স্থিতিশীলতার পথেই রয়েছে। কেননা দেশে বিনিয়োগ পরিস্থিতি খুবই ভালো। যেকোনো প্রকার খারাপ পরিস্থিতি ঠেকাতে নিয়ন্ত্রণ কমিশন, সরকার এবং সংশ্লিষ্টরা পুঁজিবাজারের অনেক সংস্কার করেছে। যে কারণে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারী বাজারের প্রতি আগ্রহ দেখাচ্ছেন। অন্যদিকে বিনিয়োগকারীদের আস্থাও ফিরে এসেছে।
তাই এখন আশঙ্কার কোনো কারণ নেই। কেননা সব মিলিয়ে পুঁজিবাজারে এখন চলছে উৎসবমুখর পরিবেশ। অভিজ্ঞরা বলছেন, দীর্ঘ দিনের উত্থান শেষে দুদিনের কারেকশনে যারা ছটফট করছেন বরং তারাই বাজারের ক্ষতি করছেন। তাই সকল ধরনের আশঙ্কা ঠেকিয়ে সুদিন ধরে রাখার জন্য সকলকে সিকিউরিটজ আইন মেনে চলার আহŸান জানিয়েছেন বিশ্লেষকরা এবং নির্বিঘেœ যথাযথ পন্থায় কোম্পানির মৌলভিত্তি বিবেচনায় শেয়ার কেনা বেচা করার পরামর্শ দিয়েছেন।
তারা বলছেন, বাজার নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার মতো পরিস্থিতি এখনো তৈরি হয়নি। কেননা ব্যাংকে আমানতের সুদের হার কমে যাওয়ায় এবং লাভজনক বিনিয়োগ ক্ষেত্র না থাকায় ব্যাংক আমানতকারীদের বেশিরভাগ মানুষ এখন ভালো মুনাফার জন্য পুঁজিবাজারে টাকা খাটাতে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। পাশাপাশি অতীত অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে নিয়ন্ত্রণ সংস্থাও অনেক তৎপর। আর বিএসইসিসহ সকলের অবদানে বাজার স্থিতিশীল থাকবে। তাই ঊর্ধ্বমুখী বাজারে লাভের প্রলোভনে পড়ে ঋণ করে বিনিয়োগ করা থেকে বিরত থাকারও পরামর্শ দিয়েছেন তারা।
বিশ্লেষণে দেখা গেছে, সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে গতকাল দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচকের গ্রীন সিগ্যানালে শেষ হয় লেনদেন। এদিন শুরুতে উত্থান-পতন থাকলেও সোয়া ঘণ্টা পর টানা পতনের কবলে পরে বাজার এবং আড়াই ঘণ্টা পর ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা অব্যাহত থাকে সূচকে। বৃহস্পতিবার সূচকে গ্রীন সিগন্যাল থাকলেও কমেছে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর। তবে টাকার অংকে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। দিন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক আগের দিনের চেয়ে ০.৫৬ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করে ৫ হাজার ৫৩৪ পয়েন্টে। ডিএসই শরীয়াহ সূচক ০.৭ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে ১২৭৫ পয়েন্টে। আর ডিএস৩০ সূচক ২ পয়েন্ট বেড়ে ১৯৮৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে। দিনভর লেনদেন হওয়া ৩২৮টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৯৩টির, কমেছে ২০৫টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩০টির। দিনশেষে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৪০৮ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। এর আগের কার্যদিবসে অর্থাৎ বুধবার ডিএসইর ব্রড ইনডেক্স ৪১ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে ৫ হাজার ৫৩৩ পয়েন্টে। ডিএসই শরীয়াহ সূচক ০.১ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে ১২৭৬ পয়েন্টে। আর ডিএস৩০ সূচক ৩ পয়েন্ট কমে ১৯৮০ পয়েন্টে অবস্থান করে। ওইদিন লেনদেন ১ হাজার ৯৮৯ কোটি ৩২ লাখ টাকা। সে হিসেবে গতকাল ডিএসইতে লেনদেন কিছুটা কমেছে।
এদিকে, দিনশেষে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্য সূচক ১৮ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১৬৯৯৩ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ২৬৬টি কোম্পানির ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৭৬টির, কমেছে ১৭০টির এবং অপরবর্তিত রয়েছে ২০টির। আর দিনশেষে সিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ৮৪ কোটি ৭০ লাখ টাকা। -ওয়েবসাইট



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বাজার


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ