পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : রাজনীতির ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত ও সংঘাতময় হলে এর সকল দায়-দায়িত্ব শাসকগোষ্ঠীকেই নিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ধারাবাহিক সংবাদ সম্মেলনে গতকাল তিনি এ হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
রিজভী বলেন, নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে মহামান্য প্রেসিডেন্ট সম্প্রতি রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শেষ করেছেন। সবার নিকট গ্রহণযোগ্য একটি শক্তিশালী ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনের লক্ষ্যে নিরপেক্ষ সার্চ কমিটি গঠন করবেন- এমন প্রত্যাশা শুধু বিএনপির নয়, দেশের প্রতিটি নাগরিকের। কিন্তু ক্ষমতাসীন দলের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের সাম্প্রতিক বক্তব্যে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনে সবার মনে আশার বদলে নিরাশা উঁকি দিচ্ছে।
আওয়ামী লীগ প্রধান থেকে শুরু করে তাদের সাধারণ সম্পাদক ও শীর্ষস্থানীয় নেতারা যেভাবে ধমকের সুরে কথাবার্তা বলছেন তাতে প্রেসিডেন্ট ইসি গঠনে শেষ পর্যন্ত নিরপেক্ষ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবেন কিনা তা নিয়ে সন্দেহের উদ্রেক হওয়া অস্বাভাবিক নয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্প্রতি জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণের ও আওয়ামী লীগের নেতাদের কথাবার্তায় প্রকৃত গণতন্ত্রের কোনো বার্তা বহন করেনি বলেও মন্তব্য করেন রিজভী। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নর জবাবে রিজভী বলেন, প্রেসিডেন্ট যদি নির্বাচন কমিশন গঠনে আমাদের পক্ষ থেকে কারোর নাম চান তাহলে আমরা দেব।
রিজভী আরও বলেন, প্রেসিডেন্ট সার্চ কমিটি গঠন করবেন। তাই আগে সার্চ কমিটি গঠনে প্রেসিডেন্টের ভূমিকা দেখব আমরা। এরপর আমরা আমাদের করণীয় প্রসঙ্গে বলব। আপনারা দেখেছেন প্রেসিডেন্ট বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপের সময় বলেছেন, দেশের শান্তি শৃঙ্খলা এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা হওয়া উচিত। কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতারা তা নাকচ করে দিচ্ছেন। এটি রাজনীতির ভবিষ্যৎকে অনিশ্চিত ও অন্ধকারময় এবং সংঘাতপূর্ণ করে তুলবে। আর এর সকল দায়িত্ব শাসকগোষ্ঠীর বলে হুঁশিয়ার করেন রিজভী আহমেদ।
গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের দাবি করে তিনি বলেন, আমরা আবারো আহ্বান জানাচ্ছি, দেশের শান্তি, স্থিতিশীলতা ও নাগরিক অধিকারের জন্য গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনার কোনো বিকল্প নেই, তাই অবিলম্বে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের প্রশ্নে সব দলের সাথে সংলাপ অতীব জরুরি।
বিএনপির এই নেতা অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ ৭৪-৭৫ থেকে গুমের রাজত্ব শুরু করলেও বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক এমপি ইলিয়াস আলীকে গুম করে পুনরায় গুম-খুন-অপহরণে মেতে ওঠে। আজও বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীর খোঁজ মেলেনি। এখনো প্রতিদিন গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকা-ের বিভীষিকা এক ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। পরিস্থিতি এমন হয়েছে যে, নিঃশব্দে কান্না করলেও বিপদ আছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি নেতা হাবিবুর রহমান হাবিব, এডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া, এডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার, মুনির হোসেন প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।