Inqilab Logo

সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

রোগী ভাগিয়ে অন্যত্র সিজার করার অভিযোগ

| প্রকাশের সময় : ২১ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ঝিনাইদহ জেলা সংবাদদাতা : ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের নার্স ফিরোজা খাতুনের বিরুদ্ধে রোগী ভাগিয়ে অন্যত্র সিজার করার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ পাওয়া গেছে, দীর্ঘদিন ধরে নার্স ফিরোজা খাতুন হরিণাকুন্ডু উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে প্রসূতিদের কোন চিকিৎসা নেই এমন কথা বলে গর্ভবতী নারীদের ভাগিয়ে স্থানীয় আনোয়ারা হাসপাতালে নিয়ে সিজার করাতে প্রলুব্ধ করেন। এ ধরনের কমিশন বাণিজ্য তার নতুন নয়। গর্ভবতী নারীরা জরুরি সেবা নিতে এলেই তাকে ফুসলিয়ে আনোয়ারা ক্লিনিকে নিয়ে যান বলে অভিযোগ রয়েছে। গত বুধবার হরিণাকুন্ডুর বোয়ালিয়া গ্রামের রবিউল ইসলামের স্ত্রী আছিয়া বেগম সন্তান প্রসবের জন্য হরিণাকুন্ডু উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আসেন। এ সময় নার্স ফিরোজা তাকে হাসপাতালের সেবা নিয়ে প্রশ্ন তুলে আছিয়াকে নিকটস্থ আনোয়ারা ক্লিনিকে নিয়ে যান বলে অভিযোগ। এ বিষয়ে নার্স ফিরোজা খাতুন জানান, তিনি আছিয়া খাতুনকে আল্ট্রাসনো করার জন্য পাঠিয়েছিলেন। তিনি রোগী ভাগানোর সাথে জড়িত নয়। এদিকে হরিণাকুন্ডু উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের আয়া তাসলিমা খাতুনের বিরুদ্ধে প্রসূতি মায়েদের কাছ থেকে জোর করে এক হাজার টাকা করে আদায়ের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। টাকা না দিলে আয়া বিশ্রী ভাষায় গালিগালাজ করেন। রোগীর স্বজনরা অভিযোগ করেন, সম্প্রতি হরিণাকুন্ডুর ভেড়াখালী গ্রামের নাজমা খাতুন সন্তান প্রসবের জন্য আসেন। সন্তান ভ‚মিষ্ঠ হওয়ার পর তার কাছ থেকে জোর করে ৫০০ টাকা নেন। একইভাবে হরিশপুরের শাহনাজ, মনোহরদিয়া গ্রামের বীথি খাতুন, কালাপাড়িয়া গ্রামের রোখসানা, কুলবাড়িয়া গ্রামের সুরভি খাতুন ও মাগুরার খাদ্য কর্মকর্তা হাসানের স্ত্রীর কাছ থেকে নগদ টাকা, হুইল পাউডার ও সাবান জোর করে আদায় করেন। প্রতিবাদ করলে আয়া তাসলিমা খাতুন রোগীর স্বজনদের সাথে ঝগড়াঝাটি এবং গালিগালাজ করেন। এমনকি নার্সরা প্রসূতিদের সেবা করার জন্য বেডে আসতে চাইলেও আয়া তাসলিমা তাদের বাধা দেন। আয়া তাসলিমার অত্যাচার থেকে রেহাই পেতে রোগীরা সিভিল সার্জনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এ ব্যাপারে আয়া তাসলিামা খাতুন জানান, আমার কোন সরকারি বেতন নেই। রোগীদের কাছ থেকে বকশিশ নিয়ে আমার সংসার চলে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রোগী


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ