পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : সংসদীয় সরকার ব্যবস্থায় রাষ্ট্রের অভিভাবক প্রেসিডেন্টের সাংবিধানিক ক্ষমতা সীমিত। তারপরও গত ২৫ বছর বিভিন্ন রাজনৈতিক সঙ্কট সমাধানে বঙ্গভবনের বাসিন্দা প্রেসিডেন্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পর দেশের গণতন্ত্র এবং জনগণের ভোটের অধিকারে অন্ধকার যুগ শুরু হয়। জনগণের ভোটের অধিকার খর্ব এবং বিরাজনীতিকরণ প্রক্রিয়ার মধ্যেই দেশে হঠাৎ বেজে উঠেছে ‘রাজনীতির ঘণ্টা’। নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন ইস্যুতে এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। নতুন ইসি গঠনের প্রাক্কালে প্রেসিডেন্ট বঙ্গভবনে ৩১টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ করে তাদের মতামত নেন। সংবিধানে না থাকলেও রাষ্ট্রের অভিভাবক হিসেবে তিনি নতুন ইসি গঠনের লক্ষ্যে সার্চ কমিটি গঠন করবেন। প্রেসিডেন্টের এই সার্চ কমিটি গঠন এবং তাদের নতুন ইসি নিয়োগের প্রস্তাবনার ওপর নির্ভর করছে আগামী দিনে দেশের রাজনীতির গতি-প্রকৃতি। ২০১২ সালে সাবেক প্রেসিডেন্ট মোঃ জিল্লুর রহমান সার্চ কমিটির মাধ্যমে কাজী রকিবউদ্দিন আহমদের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের ইসি গঠন করলেও তারা মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেননি। বরং তারা ভোটের নামে সরকারের ‘ইচ্ছাপূরণ’ করে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে বিতর্কিত করেছেন। তারপরও দেশের রাজনৈতিক দলগুলো বর্তমান প্রেসিডেন্ট মোঃ আবদুল হামিদের রাজনৈতিক ক্যারিশমার প্রতি আস্থা রেখে গ্রহণযোগ্য ইসি গঠনের প্রত্যাশায় রয়েছে। আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ বঙ্গভবনে সংলাপে অংশ নেয়া কয়েকটি রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তারা প্রেসিডেন্টের উপর এখনো আস্থা রাখতে চাচ্ছেন।
‘নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন ইস্যুতে এখন আইন প্রণয়ন সম্ভব নয়’ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, ইসি গঠনে আইন প্রণয়ন সহজ বিষয় নয়। আইন করতে গেলে সবার সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। চাইলেই আইন করা সম্ভব নয়। তবে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন, ইসি গঠনে প্রেসিডেন্ট যে উদ্যোগ নেবে তা দলের বিপক্ষে গেলেও আওয়ামী লীগ স্বাগত জানাবে। আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য কাজী জাফরউল্লাহ বলেন, ইসি গঠনে প্রেসিডেন্টের ওপর পূর্ণ আস্থা-বিশ্বাস আছে আওয়ামী লীগের। এক্ষেত্রে প্রেসিডেন্টের যেকোনো পদক্ষেপকে আমরা স্বাগত জানাবো। আমরা মনে করি, প্রেসিডেন্ট তার মেধা-দক্ষতা দিয়ে সকলের কাছে নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচন কমিশন উপহার দেবেন।
প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সংলাপে অংশ নেয়া আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ম-লীর সদস্য অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন বলেন, যে পদ্ধতিতেই প্রেসিডেন্ট নির্বাচন কমিশন নিয়োগ দেবেন, তাতে আমাদের সায় আছে। প্রেসিডেন্টের সেই এখতিয়ার রয়েছে। নতুন ইসি গঠনে প্রেসিডেন্টের উপর আস্থাশীল জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমরা ইতিবাচক রাজনীতি করি এবং এর মধ্য দিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠন করার জন্য বেগম খালেদা জিয়া একটি অত্যন্ত সুন্দর প্রস্তাবনা দিয়েছিলেন। সেই প্রস্তাবনার ভিত্তিতেই প্রেসিডেন্ট বিভিন্ন রাজনৈতিক দলকে ডেকেছেন, কথা বলেছেন। এখন আমরা আশা করব, প্রেসিডেন্ট সত্যিকার অর্থে একটি নিরপেক্ষ সার্চ কমিটির মাধ্যমে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করবেন যা সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন পরিচালনা করার জন্য যোগ্য হবে। তবে নিরপেক্ষ সার্চ কমিটি ও নির্বাচন কমিশন গঠন না হয়, এদেশের মানুষ কখনোই তা গ্রহণ করবে না। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেন, বঙ্গভবনে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকে জাতীয় পার্টির দেয়া প্রস্তাবনা অনুসরণ করা হলে দেশে বিতর্কমুক্ত নির্বাচন কমিশন গঠন করা সম্ভব। দেশের সংবিধানের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশন নিয়োগ সংক্রান্ত একটি আইনি কাঠামো করে সেখানে নির্বাচন কমিশনকে সম্পূর্ণ স্বাধীন রাখার বিধান যুক্ত করতে হবে। তাহলে নির্বাচন নিয়ে আর কোনো প্রশ্ন উঠবে না। আমাদের বিশ্বাস প্রেসিডেন্ট নিরপেক্ষ ইসি উপহার দেবে। প্রেসিডেন্টের প্রতি আমরা আশাবাদী।
বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের আমীরে শরীয়ত আল্লামা শাহ আতাউল্লাহ নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে প্রেসিডেন্ট আব্দুল হামিদের উদ্যোগের প্রশংসা করে বলেন, প্রেসিডেন্টের নেতৃত্বে একটি নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য ও আল্লাহভীরু ব্যক্তিদের দিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠিত হবে দেশের জনগণ এটাই প্রত্যাশা করছেন। দেশের একজন বিজ্ঞ আলেম যাতে গঠিত নির্বাচন কমিশনের সদস্য মনোনীত হবেন বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এর আগে ১৮ ডিসেম্বর প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকে নতুন ইসি গঠনে বিএনপি ১৩ দফা প্রস্তাবে দেশ-বিদেশি পর্যবেক্ষক নিয়োগের বিষয়ে সুপারিশ করেছে। এতে বলা হয়েছে, নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার ন্যূনতম তিন বছরের পূর্বে নির্বাচনী পর্যবেক্ষক সংস্থাকে দেশের প্রচলিত আইন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্বারা নিবন্ধিত হতে হবে। রাজনৈতিক দলের প্রকাশ্যে আনুগত্য পোষণকারী কোনো প্রতিষ্ঠানকে পর্যবেক্ষক করা যাবে না।
প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকে আওয়ামী লীগ থেকে দেয়া প্রস্তাবে বলা হয়েছে, সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১১৮-এর বিধান অনুযায়ী প্রেসিডেন্ট প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্য নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ দান করবেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট যাকে উপযুক্ত বিবেচনা করবেন, সেই প্রক্রিয়ায় তিনি প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্য নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ প্রদান করবেন। সময়স্বল্পতার কারণে আগামী নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের ক্ষেত্রে তা সম্ভব না হলে পরবর্তী নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের সময় যাতে এর বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়, বাংলাদেশের সংবিধানের নির্দেশনার আলোকে এখন থেকেই সে উদ্যোগ গ্রহণ করা এবং সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য বর্তমানে বিরাজমান সকল বিধিবিধানের সাথে জনমানুষের ভোটাধিকার অধিকতর সুনিশ্চিত করার স্বার্থে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ‘ই-ভোটিং’-এর প্রবর্তন করা।
প্রেসিডেন্টের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর সংলাপ শেষ হয়েছে। এখন প্রেসিডেন্ট সার্চ কমিটি গঠন করবেন। সেই সার্চ কমিটি নতুন ইসি গঠনে প্রস্তাব দেবে। এই প্রেক্ষাপটে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আলোচনা শুরু হয়ে গেছে দেশের প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে হচ্ছেন? নির্বাচন কমিশনারই বা কারা হচ্ছেন? সংসদের বাইরে থাকা বিএনপিসহ ৩১টি দলের সঙ্গে আলোচনায় প্রেসিডেন্ট মোঃ আবদুল হামিদ রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত ও প্রস্তাব বিবেচনা করে একটি শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠন সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করছেন। সংলাপের শেষ দিনে প্রেসিডেন্ট এই আশাবাদ ব্যক্ত করলেও কী প্রক্রিয়ায় নতুন ইসি গঠন হবে, তা অবশ্য তিনি জানাননি। তবে সংলাপে প্রেসিডেন্ট রাজনৈতিক দলগুলোর দায়িত্বশীল ভূমিকার কথাও স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন। তিনি রাজনৈতিক দলগুলোকে নিজেদের মধ্যে সংলাপ করার আহ্বান জানান। জাতীয় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার গুরুত্বের কথাও স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট। তিনি রাজনৈতিক দলগুলোর পরমতসহিষ্ণুতার সংস্কৃতি চর্চার ওপর জোর দিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য দলগুলোর সহযোগিতা চেয়েছেন।
এদিকে প্রেসিডেন্টের সাথে সংলাপে বেশিরভাগ দল সংবিধান অনুযায়ী আইন প্রণয়নের দাবি জানিয়েছে। তা না হওয়া পর্যন্ত সার্চ কমিটির মত দিয়েছে বেশিরভাগ দল। জাসদ উচ্চকক্ষ করার প্রস্তাব দিয়েছে। শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে প্রেসিডেন্টের সাথে আলোচনা করে সন্তুষ্টিও প্রকাশ করেছে বিএনপি। তবে ইসি গঠনে ‘এখনই’ আইন করতে আওয়ামী লীগসহ অন্যান্য দল রাজি হলেও তাতে সায় নেই বিএনপির। তাছাড়া ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ আগামী নির্বাচনে ই-ভোটিং চাইলেও বিএনপি তাতেও আপত্তি জানিয়েছে। যদিও সার্চ কমিটিতে সব দলের প্রতিনিধিত্ব চায় জাকের পার্টি, ইসির আর্থিক স্বাধীনতা চায় ইসলামী ফ্রন্ট, নারী কমিশনার চায় মুসলিম লীগ। অর্থাৎ নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন প্রণয়ন, ইসি গঠনে সার্চ কমিটি এবং দলনিরপেক্ষ ব্যক্তিদের নিয়ে ইসি গঠনসহ বিভিন্ন পরামর্শ এসেছে দলগুলোর পক্ষ থেকে।
গতকাল প্র্রেসিডেন্টের প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন ইনকিলাবকে বলেন, গত বুধবার ইসি পুনর্গঠনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে প্র্রেসিডেন্টের সংলাপ শেষ হয়েছে। দ্রুত সার্চ কমিটি প্রজ্ঞাপন জারি করবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। তবে কবে সার্চ কমিটি হচ্ছে তা বলা যাবে না। হয়তো আগামী সপ্তাহে হতে পারে। তিনি বলেন, সার্চ কমিটি প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এবং নির্বাচন কমিশনারদের (ইসি) নাম প্র্রেসিডেন্টের কাছে সুপারিশ করবে। সংবিধানে যেভাবে রয়েছে সার্চ কমিটির তালিকা প্রকাশ করা হবে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল যেসব মতামত ও প্রস্তাব দিয়েছে সেগুলো পর্যালোচনা করে প্রেসিডেন্ট পরবর্তী পদক্ষেপ নেবেন।
সাবেক প্র্রেসিডেন্ট মরহুম জিল্লুর রহমান ২০১২ সালে ২৪টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপের পর চার সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন করেন। বর্তমান প্রধান নির্বাচন কমিশনার সাবেক সচিব কাজী রকিবউদ্দীন আহমেদ এবং চার কমিশনার মোঃ শাহ নেওয়াজ, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) মোঃ জাবেদ আলী, মোহাম্মদ আবু হাফিজ এবং মোহাম্মদ আবদুল মোবারাক ২০১২ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি দায়িত্ব গ্রহণ করে। পরে আরও একজন যুক্ত হন। সংবিধান অনুযায়ী কমিশনের মেয়াদ পাঁচ বছর। এ হিসাবে আগামী বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি বর্তমান কমিশনের মেয়াদ শেষ হবে। পাশাপাশি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময়সীমাও ঘনিয়ে আসছে। আগাম নির্বাচন না হলে পরবর্তী সংসদ নির্বাচন হবে ২০১৯ সালে। সঙ্গত কারণে পরবর্তী সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে নতুন কমিশনের অধীনে।
সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদে বলা আছে, প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অনধিক চারজন নির্বাচন কমিশনারকে নিয়ে এই নির্বাচন কমিশন হবে। এ বিষয়ে প্রণীত আইনের বিধান অনুযায়ী প্রেসিডেন্ট কমিশন নিয়োগ দেবেন। কিন্তু সংবিধানের আলোকে ওই আইন সাড়ে চার দশকেও না হওয়ায় প্রতিবারই নির্বাচন কমিশন গঠনে জটিলতা দেখা দেয়।
গত ১৮ ডিসেম্বর বিএনপির সাথে আলোচনার মধ্য দিয়ে সংলাপ শুরু করেন প্রেসিডেন্ট। এরপর গত এক মাসে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ, সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টিসহ ৩১টি দলের শীর্ষ নেতাদের সাথে বসেছেন প্রেসিডেন্ট। এরপর পর্যায়ক্রমে সংলাপে অংশ নেয়া অন্য দলগুলোর মধ্যে রয়েছেÑ লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (এলডিপি), কৃষক-শমিক জনতা লীগ, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ), বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ), ইসলামী ঐক্যজোট, জাতীয় পার্টি (জেপি), বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি), বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ), সাম্যবাদী দল, বিকল্পধারা, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি), জাসদ (আম্বিয়া), বাসদ, ইসলামী আন্দোলন, গণতন্ত্রী পার্টি, গণফোরাম, খেলাফত আন্দোলন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ, গণফ্রন্ট, খেলাফত মজলিস, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ (বিএমএল) ও জাকের পার্টি।
বর্তমান কমিশনের অধীনে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট অংশ নেয়নি। ওই নির্বাচনে ১৫৩ জন সংসদ সদস্য বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের নেতৃত্বাধীন বর্তমান কমিশনের ভূমিকা নিয়েও বিতর্ক আছে। আওয়ামী লীগের একটি সূত্র জানায়, এবার দলের পক্ষ থেকে ক্লিন ইমেজের কাউকে নির্বাচন কমিশনে আনার চেষ্টা চলছে। ইতোমধ্যে বেশ ক’জনের নামও আলোচনায় চলে এসেছে। সবার নাম এখনো জানা না গেলেও পরবর্তী কমিশনারের তালিকায় বেশ কয়েকজন শিক্ষাবিদ, অবসরপ্রাপ্ত সচিব ও বিচারপতির নাম রয়েছে।
এ অবস্থায় সবার চোখ বঙ্গভবনের দিকে। প্রেসিডেন্ট কাদের নিয়ে সার্চ কমিটি গঠন করেন এবং ওই সার্চ কমিটি নতুন ইসি গঠনে কাদের নাম প্রস্তাব করেন তা জানার জন্য উদগ্রীব। তবে প্রেসিডেন্টের কাছে ৩১ দল নানা ধরনের প্রস্তাবনা দিলেও প্রেসিডেন্ট এর আগে জানিয়েছেন, অধিকাংশ দলের কিছু প্রস্তাবনায় মিল রয়েছে। অতএব রাজনৈতিক দলগুলো এখনো রাষ্ট্রের অভিভাবক প্রেসিডেন্টের উপর ভরসা হারায়নি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।