বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
![img_img-1719752002](https://old.dailyinqilab.com/resources/images/cache/169x169x3_1678506381_AD-1.jpg)
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কোর্ট রিপোর্টার : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহনকারী উড়োজাহাজে ত্রুটির মামলায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের দুই কর্মীকে আরো পাঁচ দিন রিমান্ডে নেয়ার অনুমতি দিয়েছেন আদালত। গতকার ঢাকা মহানগর হাকিম নুরুন্নাহার ইয়াসমিন রিমান্ডের এ আদেশ দেন। রিমান্ডে পাঠানো আসামিরা হলোÑ বিমানের প্রকৌশল কর্মকর্তা নাজমুল হক ও কনিষ্ঠ টেকনিশিয়ান শাহ আলম।
এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের অপরাধ, তথ্য ও প্রসিকিউশন বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার এবং ঢাকার আদালতের পুলিশ প্রধান আনিসুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, এর আগে সাত দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের কাউন্টার টেররিজম পরিদর্শক মাহবুবুল আলম আসমিদের ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে ফের ১০ দিন রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করেন। রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, আসামিরা নিজেদের মধ্যে যোগসাজশে বিমানে ইচ্ছাকৃতভাবে যান্ত্রিক ত্রুটি ঘটায়। এতে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষতি করার উদ্দেশ্য ছিল বলে প্রতীয়মান হয়। এ ছাড়া আসমিরা রিমান্ডে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে। তদন্তের স্বার্থে এবং আসামিদের দেয়া তথ্য যাচাই-বাছাইয়ের জন্য আবারো তাদের রিমান্ডে নিয়ে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন। শুনানি শেষে বিচারক দুই আসামিকে পাঁচ দিন করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন। এর আগে এ মামলার নয় আসামিকে দুই দফা রিমান্ডে পেয়েছিল মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। এখন এ মামলায় নতুন দুই জনসহ মোট আসামি ১১ জন।
মামলার নথি সূত্রে জানা গেছে, গত ২৭ নভেম্বর হাঙ্গেরি যাওয়ার পথে শেখ হাসিনাকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বোয়িং যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে তুর্কমেনিস্তানের আশখাবাত বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণে বাধ্য হয়। ইঞ্জিন অয়েলের ট্যাংকের একটি নাট ঢিলে থাকায় ওই বিপত্তি ঘটে। এ ঘটনায় রাজধানীর বিমানবন্দর থানায় ৯ জনকে আসামি করে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫(গ) ধারায় মামলা করেন বিমানের পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট) এস এম আসাদুজ্জামান।
মামলার অভিযোগ করা হয়, বিভাগীয় তদন্তে ওই ৯ জনের বিরুদ্ধে পরস্পর যোগসাজশে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে যন্ত্রপাতি নিয়ে অবহেলামূলক আচরণ করতঃ অন্তর্ঘাতমূলক কার্যক্রম করার প্রমাণ পাওয়া গেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।