বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
চট্টগ্রাম ব্যুরো : মানবপাচার মামলায় গ্রেফতার এক আইনজীবীর জামিন না হওয়ার জের ধরে চট্টগ্রাম আদালত ভবনে বিক্ষোভের পর ভাঙচুর চালিয়েছে বিক্ষুব্ধ আইনজীবীরা। গতকাল (বুধবার) বিকেলে চট্টগ্রাম নতুন আদালত ভবনের দোতলায় অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম শাহাদাত হোসেন ভুঁইয়ার এজলাস কক্ষের বাইরে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার জের ধরে দায়িত্বপালনরত এক ফটো সাংবাদিকের ক্যামেরাও কেড়ে নেন বিক্ষুব্ধআইনজীবীরা।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সাংবাদিকেরা জানান, বিকেলে নগরীর পতেঙ্গা থানার মানবপাচার মামলার আসামি আইনজীবী জামাল হোসেন ও তার স্ত্রী ইয়াসমিন আক্তারকে আদালতে হাজির করা হলে তার পক্ষের আইনজীবীরা জামিন আবেদন করেন। দুইজনের জামিন আবেদন না মঞ্জুর হলে ওই আসামির পক্ষে দাঁড়ানো আইনজীবীরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন এবং এজলাস থেকে বের হয়ে বিচারকের কক্ষের জানালার কাচ ভাঙচুর করেন।
কোতোয়ালি থানা পুলিশের এসআই মৃণাল কান্তি মজুমদার ভাঙচুর ও বিক্ষোভের কথা স্বীকার করে সন্ধ্যায় বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। বিক্ষোভের পর চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির নেতারা চট্টগ্রাম মুখ্য মহানগর হাকিমের সাথে দেখা করতে যান। সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাহেদ হোসেন বীরু বলেন, আমরা অপ্রীতিকর ঘটনা নিয়ে সিএমএম এর কাছে এসেছি। তার সাথে আলাপের পর বাকি বিষয়ে কথা বলব। অ্যাডভোকেট আবদুস সাত্তার জানান, সিএমএমের সাথে আলোচনার পর অপর একটি আদালতে শুনানি হয় এবং আইনজীবী দম্পতিকে জামিন দেয়া হয়। তিনি বলেন, সন্দেহভাজন হিসেবে ওই আইনজীবী দম্পতিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জামিন পাওয়া তাদের অধিকার।
মঙ্গলবার গভীর রাতে নগরীর শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর এলাকা থেকে আইনজীবী জামাল ও তার স্ত্রীকে সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেফতারের পর পতেঙ্গা থানায় হস্তান্তর করে র্যাব সদস্যরা। পতেঙ্গা থানার ওসি আবুল কাশেম ভুঁইয়া বলেন, মানবপাচারের ঘটনায় তাদের গ্রেফতার করা হয় বলে র্যাব জানিয়েছে। এ ঘটনায় করা মামলায় দুইজনকে গতকাল আদালতে চালান দেয়া হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।