দিরাই উপজেলা সংবাদদাতা : দিরাইয়ে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের দুইপক্ষের বন্দুকযুদ্ধে তিনজন নিহত হওয়ার ঘটনায় এলাকায় এখনো থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। এ ছাড়া নিহত তিনজনের লাশ গতকাল বুধবার বিকেলে নামাজে জানাজা শেষে পারবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। সর্বশেষ এ রিপোর্ট লেখার সময় পর্যন্ত দিরাই থানায় কোনো মামলা হয়নি বলে জানা যায়।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার ১১টার দিকে সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার কুলঞ্জ ইউনিয়নের ঘোরামারা সাতপাকিয়া প্রকাশিত জারলিয়া জলমহালের দখল নিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ নেতা একরার বাহিনীর লোকজন ও ইজারাদার পক্ষের ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা মাসুক মিয়া এবং এয়াহিয়া চৌধুরীর লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ হলে ঘটনাস্থলে একজন ও সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরো দুইজন মারা যায়। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরো বেশ কয়েক জন।
সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই হাতিয়া গ্রামের মৃত চান উল্লাহর ছেলে তাজুল ইসলাম (৩৫) মারা যায়। এ ছাড়া আকিলনগর গ্রামের ইসহাক মিয়ার ছেলে শাহরুল ইসলামের (২৮)। তাছাড়া মৃত আমান উল্লাহর ছেলে উজ্জ্বল (২৫) আহত অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে বিকেল পৌনে ৪টার দিকে তাদের মৃত্যু হয়।