Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দৌলতপুরে প্রতিবন্ধী ও বয়ষ্কভাতার ভুয়া কার্ড ৫ লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এক চক্র

| প্রকাশের সময় : ১৯ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) উপজেলা সংবাদদাতা : কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে প্রতিবন্ধী ও বয়স্কভাতার ভুয়া কার্ড করে দিয়ে ৫ লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিয়েছে একটি জালিয়াত চক্র। ভুয়া কার্ড নিয়ে দরিদ্র ও অসহায় বয়স্ক মানুষগুলো ব্যাংকে টাকা উত্তোলন করতে গেলে তাদের জাল বা ভুয়া কার্ড ধরা পড়ে। গত মঙ্গলবার দৌলতপুর উপজেলা পরিষদ চত্বরে আসা বয়স্ক ও বৃদ্ধ অসংখ্য নারী-পুরুষ ভাতা তুলতে না পেরে তারা কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।
ভুয়া কার্ডধারীরা জানান, উপজেলার ফিলিপনগর ইউনিয়নের ফিলিপনগর আবেদের ঘাট এলাকার আনিসুর রহমান আনিস এবং রিপন প্রতিবন্ধী ও বয়স্ক ভাতার কার্ড করে দেয়ার নাম করে প্রায় ৩০০ অসহায় বৃদ্ধ নারী পুরুষের কাছ থেকে ৫ লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। পরে তাদের মাঝে ব্যাংকের হিসাব নং ও কার্ড নং সম্বলিত ভাতার ভুয়া কার্ডও সরবরাহ করা হয়। ফিলিপনগর গ্রামের মর্জিনা খাতুন (৬৫) নামে এক বৃদ্ধা জানান, আনিস তার কাছ থেকে ২০০০ টাকা নিয়ে বয়স্ক ভাতার কার্ড করে দিয়েছে। যার হিসাব নং ০২৭০০৭৪৬১ ও কার্ড নং ৯৩২০/১। কিন্তু এই কার্ড নিয়ে ব্যাংকে গেলে তারা জানায় এটা ভুয়া কার্ড। একই অভিযোগ করেন, আবুল হোসেন নামে এক বৃদ্ধ। তিনি জানান, রিপন কার্ড করার নাম করে তার কাছ থেকে ৩০০০ হাজার টাকা নিয়ে একটি কার্ড করে দিয়েছে যার নং ৯১৬৪/১ এবং ব্যাংকের হিসাব নং ০২৭০০৭৪৬১। কিন্তু এ কার্ড দেখালে ব্যাংক কোন টাকা না দিয়ে ভুয়া কার্ড বলে জানায়। এ বিষয়ে দৌলতপুর সমাজ সেবা অফিসার মাসুদ আহমেদ জানান, ভুয়া কার্ডের বিষয়ে আমিও জেনেছি এবং উপজেলা পরিষদে ভুয়া কার্ড নিয়ে আসা মানুষগুলোর কার্ডও দেখেছি। এ কার্ডের সাথে সমাজ সেবা অফিসের কার্ডের মিল নেই। কোন চক্র প্রতারণার মাধ্যমে ভুয়া কার্ড তৈরী করে অসহায় মানুষগুলোর কাছে সরবরাহ করেছে। দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. তৌফিকুর রহমান ভুয়া কার্ডের বিষয়ে জানান, যারা এর সাথে জড়িত তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। দৌলতপুর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ইকফাত আরা কবিরাজ জলি জানান, তার ইউনিয়নের প্রায় ৩০০ সাধারণ অসহায় দরিদ্র মানুষকে ঠকিয়ে একটি চক্র ৫ লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। দৌলতপুর উপজেলা চেয়ারম্যান ফিরোজ আল মামুন জানান, এর সাথে সমাজ সেবা অফিসের কেউ জড়িত আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা উচিৎ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ