Inqilab Logo

শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

তেলের দাম কমানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি অর্থমন্ত্রী

| প্রকাশের সময় : ১৯ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

অর্থনৈতিক রিপোর্টার : জ্বালানি তেলের দাম না কমানোর কথা বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু বললেও অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত জানিয়েছেন, এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
গতকাল বিকেলে সচিবালয়ে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত এবং সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
একই দিন দুপুরে সচিবালয়ে নসরুল হামিদ বলেন, বিষয়টি অনুমতির জন্য পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু হঠাৎ করে সারাবিশ্বে তেলের দাম বেড়ে যাওয়া এবং বিশ্বব্যাংক আভাস দিয়েছে আগামী বছরেও তেলের দাম বাড়তে পারে। সে কারণে এ মুহূর্তে সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোনো মূল্য সমন্বয় না করার। এ মুহূর্তে মনে হচ্ছে না কোনো অ্যাডজাস্টমেন্ট হবে।
জ্বালানি প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্যের বিষয়ে অর্থমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, ‘আই অ্যাম নট শিওর অ্যাবাউট ইট।’
তাহলে এটা কি ফাইনাল কোনো কিছু হয়নিÑ জানতে চাইলে মুহিত বলেন, ‘হয়নি ফাইনাল কিছুই। কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।’
আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমছে কিনাÑ জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে যে দামটা আছে, সেটা তো কম। আমাদের দাম তার চেয়ে বেশি।’
বিশ্ববাজারে দুই বছর ধরে তেলের দরপতন চললেও ভর্তুকির লোকসান থেকে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনকে তুলতে দীর্ঘদিন দাম অপরিবর্তিত রাখে সরকার।
২০১২ সালে যে তেলের দাম ছিল প্রতি ব্যারেল ১০৫ ডলার, দফায় দফায় কমে এক পর্যায়ে ২০১৬ সালে তা ৩৩ ডলারে নেমে আসে। এই প্রেক্ষাপটে বিভিন্ন মহলের দাবির মধ্যে ২০১৬ সালের ২৪ এপ্রিল ডিজেল ও কেরোসিনের দাম ৪ শতাংশ এবং অকটেন ও পেট্রোলের দাম ১০ শতাংশের মতো কমানো হয়। তার কয়েকদিন আগে ফার্নেস অয়েলের দাম প্রতি লিটার ৬০ টাকা থেকে ৪২ টাকায় নামিয়ে আনা হয়।
তেলের দাম যে পরিমাণ কমেছে, তাতে যানবাহনের ভাড়ায় তেমন কোনো পরিবর্তন না আসায় আরও কমানোর দাবি ছিল ভোক্তাদের। বছরের শেষ দিকে এসে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত তাদের আশার কথা শোনান।  
গত ২৮ ডিসেম্বর মুহিত বলেন, জ্বালানি তেলের দাম আরেক দফা কমানোর নীতিগত সিদ্ধান্ত সরকার নিয়েছে এবং তা জানুয়ারিতেই কার্যকর করা হতে পারে।
অর্থমন্ত্রী সে সময় বলেছিলেন, আগের বার আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দর ৮০ ডলার ধরে দেশের বাজারে তেলের দাম পুনর্র্নিধারণ করা হয়েছিল। নতুন করে নির্ধারণ করতে হলে তা ৬০ ডলারের কাছাকাছি হবে।
‘৪০ এ নেমেছিল, এখন আবার উপরে উঠছে। আমার হিসাবে বেস্ট প্রাইস ৬০ এর কাছাকাছি হবে, এটা খুব এমন বড় কিছু না,’ বলেছিলেন মুহিত।
তেল রফতানিকারকদের জোট ওপেক গতবছরের শেষ দিকে বাজারে দরপতন ঠেকাতে উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্ত নেয়ার পর ব্যারেল প্রতি অপরিশোধিত তেলের দাম খানিকটা বেড়ে ৫৫ থেকে ৬০ ডলারের মধ্যে ঘোরাফেরা করছে গত কিছুদিন।   
এই দাম মুহিতের হিসাবের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হলেও সরকার এই মুহূর্তে তেলের দাম কমানো নিরাপদ বলে মনে করছে না বলে জ্বালানি প্রতিমন্ত্রীর ভাষ্য।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: অর্থমন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ