পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রিজার্ভ শিগগিরই আবার ৪৮ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। গতকাল বুধবার সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি। অর্থমন্ত্রী বলেন, দেশে রপ্তানি বেড়েছে, আমদানি কমেছে, রেমিট্যান্সও বেড়েছে। সম্প্রতি এক বছরে সর্বোচ্চ ২৪ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। এর অর্থ হলো মাসে ২ বিলিয়ন ডলার করে এসেছিল। এখন আবার রেমিট্যান্স প্রতিমাসে গড়ে ২ বিলিয়ন করে আসতে শুরু করেছে। ফলে আগে যেভাবে ৪৮ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছিল সেটি আবার হবে। গত বছর করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪৮ দশমিক ০৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের নতুন রেকর্ড ছুঁয়েছিল। গত ৯ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংক এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের দেনা পরিশোধ করে। এরপর দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে দাঁড়ায় ৩৭ দশমিক শূন্য ৬ বিলিয়ন ডলারে।
বিশ্বের সব দেশে ব্যাংক ঋণে সুদের হার বাড়ানো হচ্ছে, এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমাদের ৯/৬ পারসেন্ট ইন্টারেস্ট রেট যেভাবে কার্যকর করেছি, এটা ভালোভাবেই চলছে। আমাদের মতো দেশে ইন্টারেস্ট রেট বাড়িয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ কঠিন কাজ। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের জন্য আমাদের ফিসকাল ও মনিটরিং অ্যাপ্লাই করে কাজটি করি, বাংলাদেশ ব্যাংক সেই কাজটি করে থাকে।
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমছে, এটি কমতেই থাকবে কি না জানতে চাইলে আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, আমাদের ফরেন রিজার্ভ কমছে। প্রতি বছর আমাদের কতটা পেমেন্ট লাগে? আমাদের অবস্থান আগের চেয়ে ভালো। এক্সপোর্ট বাড়ছে, ইমপোর্ট কমছে। পাশাপাশি রেমিট্যান্স অনেক দ্রুত বাড়ছে। আমরা এক বছরে রেমিট্যান্স অর্জন করেছিলাম ২৪ বিলিয়ন ডলার, অর্থাৎ মাসে দুই বিলিয়ন ডলার করে।
তিনি বলেন, এখন কিন্তু মাসে দুই বিলিয়নের ওপর চলে গেছে। আমাদের এ ডলারের জন্য কাউকে পেমেন্ট করতে হচ্ছে না। পেমেন্ট করতে হচ্ছে লোকাল যারা রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছে। এখানে কোনো ডলার এক্সচেঞ্জ হয় না। আমরা মনে করি, যে পরিমাণ রেমিট্যান্সের মাধ্যমে ডলার পাচ্ছি, তাহলে যেভাবে ৪৮ বিলিয়ন ডলার অর্জন করেছিলাম, সেখানে আমাদের যেতে বেশি দিন সময় লাগবে না।
অর্থমন্ত্রী বলেন, এক দেশের মুদ্রা আরেক দেশে গ্রহণ করতে হলে আন্তর্জাতিক মুদ্রা বিশেষ করে ডলার ব্যবহার করতে হয়। আমাদের যেটা করতে হবে কারেন্সি কিছু অফ করে রাশিয়াকে একসেপ্ট করাতে হবে। তারা সেটি গ্রহণ করলে আমরা সেটি কাজে লাগাতে পারবো।
আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ইন্টারেস্ট রেট নির্ভর করে ডিমান্ড ও সাপ্লাইয়ের ওপর। আমরা ধীরে ধীরে মার্কেট বেইজ লেনদেনে যাবো। এতদিন যেভাবে প্রাইজ ঠিক করে দিতাম, সেভাবেই যাবো। আমরা অ্যাডভান্স ইকোনমির দেশগুলো যেভাবে কারেন্সিকে ডিল করে সেভাবে চিন্তা করবো। তারা যেভাবে ঠিক করে দেয়, সেভাবে ঠিক করে দেবো।
এদিকে সভায় সরকার কানাডা ও মরক্কো থেকে ৬৮৩ কোটি ১৩ লাখ ৩৮ হাজার টাকা ব্যয়ে ৯০ হাজার টন এমওপি ও ডিএপি সার ক্রয়ের অনুমোদন দিয়েছে সরকার। সভা শেষে অর্থমন্ত্রী বলেন, অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদনের জন্য দুটি এবং ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদনের জন্য ১৬টি প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়েছে। এরমধ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আটটি, কৃষি মন্ত্রণালয়ের দুটি, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের দুটি, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের একটি, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের একটি, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের একটি এবং সেতু বিভাগের একটি প্রস্তাবনা ছিল।
ক্রয় কমিটির অনুমোদিত ১৫টি প্রস্তাবে মোট অর্থের পরিমাণ চার হাজার ৪৬ কোটি ১৭ লাখ ১৬ হাজার ৯২৫ টাকা। মোট অর্থায়নের মধ্যে জিওবি থেকে ব্যয় হবে এক হাজার ৪৩ কোটি এক লাখ ৪০ হাজার ৬০৯ টাকা এবং দেশীয় ব্যাংক ও এডিবি ঋণ তিন হাজার তিন কোটি ১৫ লাখ ৭৬ হাজার ৩১৬ টাকা।
সভায় অনুমোদিত প্রস্তাবনাসমূহের বিস্তারিত সাংবাদিকদের তুলে ধরেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. আব্দুল বারিক। তিনি বলেন, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীন বিএডিসি কর্তৃক কানাডিয়ান কর্মাসিয়াল করপোরেশন থেকে তৃতীয় লটে ৫০ হাজার টন মিউরেট-অব-পটাশ (এমওপি) সার ৩৮৬ কোটি ১৯ লাখ ৭৬ লাখ ৫৫০ টাকায় আমদানির অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, অন্য একটি প্রস্তাবে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীন বিএডিসিকে মরক্কোর ওসিপি এস এ থেকে অষ্টম লটে ৪০ হাজার টন ডিএপি সার ২৯৬ কোটি ৯৩ লাখ ৬২ হাজার টাকায় আমদানির অনুমোদন দেয়া হয়েছে।##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।