পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
৪টি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ
স্টাফ রিপোর্টার, নরসিংদী থেকে : রায়পুরার নিলক্ষার চরে আবারো সংঘর্ষ শুরু হয়েছে। এবারের সংঘর্ষে টেটা-বল্লমের পাশাপাশি মুড়ির মতো ব্যবহার করা হচ্ছে ককটেলবোমা। আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপ ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম ও সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হকের সমর্থকদের মধ্যে সৃষ্ট এই সংঘর্ষে উভয় পক্ষে কম-বেশি অর্ধশত ব্যক্তি আহত হয়েছেন। ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট হয়েছে চারটি বাড়িতে।
আহতদের মধ্যে জলিল (২৫), ফারুক (৩০), শাহ আলম (৩২), লাবিব (৩৪), আদম আলী (৩৫), মোমেন (৩০), খোরশেদ (২৮), আব্দুল হামিদ (৩২), সুমেদ আলী (৩৮), জাহাদ আলী (৩১), লিয়াকত আলী (৩৩), বশকু (৩০), শাহীন (২২) ও শফিকসহ (২৮) ১৪ জনের নাম জানা গেছে। পুলিশি ঝামেলা এড়ানোর জন্য তারা গোপনে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানা গেছে। বোমার আঘাতে আহতদের মধ্যে শাহীন ও শফিক নামে দুইজনকে নরসিংদী জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। টেটাবিদ্ধদেরকে স্থানীয় একজন পল্লীচিকিৎসক চিকিৎসা দিচ্ছেন বলে গ্রামের লোকজন জানিয়েছেন। মারামারির টেটা, এককাইট্টা, বল্লম ও তীরের আঘাতের চিকিৎসার জন্য পল্লীচিকিৎসককে বিশেষ প্রশিক্ষণ দিয়ে গ্রামে রাখা হয়েছে। ইতোমধ্যেই সংঘর্ষ চলাকালে পুলিশের একটি ওয়ারলেস ছিনতাই হয়েছে বলে জানা গেছে। লাঠিয়ালদের প্রতিরোধের মুখে রায়পুরা থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে পিছু হটতে বাধ্য হয়েছে।
জানা গেছে, বিগত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নিলক্ষা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ দলীয় মনোনয়ন নিয়ে বর্তমান চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম ও সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হকের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। বিগত ইউপি নির্বাচনে আব্দুল হক চেয়ারম্যান থেকে আওয়ামী লীগ তাজুল ইসলামকে মনোনয়ন দেয়। এতে আব্দুল হক স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। কিন্তু তাজুল ইসলাম ও তার লোকজন রাজনৈতিক ক্ষমতাবলে কেন্দ্র দখল করে আব্দুল হকের বিজয় ছিনিয়ে নেয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্রে করে নির্বাচনের অব্যবহিত পর থেকেই সেখানে শুরু হয় দুই গ্রুপের সংঘর্ষ। এ পর্যন্ত ১২টি সংঘর্ষে দুইজন খুন হয়। শতাধিক বাড়িঘর ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে পুড়িয়ে দেয় তাজুল ইসলামের লাঠিয়াল বাহিনী। এর মধ্যে হক চেয়ারম্যানের বাড়িঘর পুড়িয়ে ছারখার করে দেয়া হয়। উভয় পক্ষে মামলা হয় কম-বেশি আটটি। আসামি করা হয় দুই থেকে তিন হাজার লোককে। গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে প্রায় দেড় হাজার। এসব ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের লাঠিয়ালরা সার্বক্ষণিক প্রস্তুতি নিয়ে বসে থাকে। এতদিন এলাকায় পানি থাকায় উভয় গ্রুপ যার যার অবস্থানে ওঁৎপেতে বসেছিল। পানি কমে যাওয়ায় গত শনিবার থেকে এলাকায় উত্তেজনা দেখা দেয়। শনিবার রাত থেকে বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ শুরু হয়।
গতকাল রোববার উভয় পক্ষ টেটা-বল্লম ও ককটেলবোমা নিয়ে মাঠে নামে। লাঠিয়ালরা বীরগাঁও, আমিরাবাদ, হরিপুর ও দড়িগাঁও গ্রামে সকাল থেকে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। খবর পেয়ে রায়পুরা থানা থেকে পুলিশ গিয়েও সংঘর্ষ থামাতে পারেনি।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এলাকায় বিক্ষিপ্তভাবে সংঘর্ষ চলছিল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।