বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
গাজীপুর জেলা সংবাদদাতা : মালয়েশিয়া থেকে দেশে ফিরলেও স্বজনদের কাছে যাওয়া হলো না প্রবাসী শফিকুল ইসলামের (৩৮)। ঢাকার বিমান বন্দর স্টেশন থেকে ট্রেনে চেপে নিজ এলাকা সিরাজগঞ্জ যাওয়ার পথে ডাকাতরা মালামাল লুট করে চলন্ত ট্রেন থেকে তাকে ফেলে হত্যা করেছে। গতকাল মঙ্গলবার সকালে রেলওয়ে পুলিশ গাজীপুর মহানগরের হায়দারাবাদ এলাকায় ঢাকা-রাজশাহী রেলরুটের রেল লাইনের পাশ
থেকে তার লাশটি উদ্ধার করেছে। এ সময় তার সঙ্গে একটি ব্যাগ পাওয়া গেছে। টঙ্গী রেলওয়ে জংশন ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) আলাউদ্দিন ও গাজীপুর সিটি করপোরেশনের স্থানীয় কাউন্সিলর মাসুদুল হাসান বিল্লাল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিহতের সঙ্গে থাকা পাসপোর্ট থেকে এ পরিচয় পাওয়া গেছে বলে জানান কাউন্সিলর বিল্লাল। নিহত শফিকুল ইসলাম সিরাজগঞ্জ সদরের মাঝুয়াইল গ্রামের আলতাফ হোসেন ছেলে।
পাসপোর্টের তথ্য অনুযায়ী, তিনি সোমবার রাত ৭টার দিকে কুয়ালালামপুর বিমান বন্দর থেকে দেশের উদ্দেশে বিমানে চড়েন। স্থানীয় কাউন্সিলর ও এলাকাবাসীর ধারণা, তিনি সোমবার রাতে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে নামেন। পরে বিদেশ থেকে আনা মালামাল নিয়ে ট্রেনে চড়ে বাড়ি যাওয়ার পথে ডাকাতদের কবলে পড়েন।
ডাকাতরা তার মালামাল লুট করে তাকে হত্যার পর হায়দারাবাদ এলাকায় ট্রেন থেকে ফেলে দেয়। স্থানীয়রা মঙ্গলবার সকালে রেল লাইনের পাশে লাশ পড়ে থাকতে দেখে তাকে (কাউন্সিলর) এবং পুলিশকে খবর দেয়। এলাকাবাসী লাশের পাশ থেকে একটি ব্যাগও উদ্ধার করে। পুলিশ ওই ব্যাগ থেকে শফিকুল ইসলাম এবং তার মালয়েশিয়ান স্ত্রী সিতি হাজার বিনতির দু’টি পাসপোর্ট উদ্ধার করে। পাসপোর্টে থাকা মোবাইল ফোন নম্বরে যোগাযোগ করে তার পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে।
খবর পেয়ে শফিকুলের স্বজনরা ঘটনাস্থলে এসেছেন। শফিকুলের মা রাজু বালা বেগমের বরাত দিয়ে কাউন্সিলর আরো জানান, ২০০৭ সালে চাকরির উদ্দেশে শফিকুল মালয়েশিয়া যান। সেখানে গিয়ে তিনি মালয়েশিয়ান এক নারীকে বিয়ে করেন। সোমবার শফিকুল মালয়েশিয়া থেকে তার স্ত্রীর কাগজপত্র ঠিকঠাক করতে বাংলাদেশে ফিরেন।
এদিকে ট্রেনে ডাকাতের হাতে খুন শফিকুল ইসলামের গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জে চলছে শোকের মাতম। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সয়দাবাদ ইউনিয়নের চর-মাইঝাইল গ্রামে শফিকুলের বাড়িতে গেলে দেখা যায়, স্বজনদের আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠেছে সেখানকার পরিবেশ। তখনো শফিকুলের লাশ গ্রামের বাড়িতে পৌঁছায়নি। বাবা আলতাফ হোসেন ও মা হাসনা বেগম ছেলে ও ছেলে বউয়ের ছবি বুকে নিয়ে আহাজারি করছেন। শফিকুলের বাবা কেঁদে কেঁদে বলেন, ‘ছেলে এতদিন পর বাড়ি আসছে শুনে খুশিতে আমরা আত্মহারা। অথচ সেই ছেলে খুন হয়েছে এ কথা কিছুতেই বিশ্বাস করতে পারছি না। ওর মা তো খবর শুনে বাকরুদ্ধ হয়ে গেছে। বারবার জ্ঞান হারাচ্ছে।’
প্রতিবেশী শাহ আলম জানান, শফিকুল দীর্ঘ ১০ বছর হলো মালয়েশিয়ায় আছেন। তিনি খুবই ভদ্র। তার কোনো শত্রু ছিল না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।