Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রানীশংকৈল ও কাজিপুরে তীব্র শীতে জনজীবনে স্থবিরতা

| প্রকাশের সময় : ১৮ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

অভ্যন্তরীণ ডেস্ক : সারাদেশের ন্যায় ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল ও সিরাজগঞ্জের কাজিপুরে তীব্র শীতে স্বাভাবিক জীবনযাপনে কিছুটা হলেও জনজীবনে স্থবিরতা নেমে এসেছে। এ সংক্রান্ত আমাদের সংবাদদাতাদের পাঠানো প্রতিবেদন-
রানীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈলে মাঘের শুরুতেই শীতের দাপট। শৈত্যপ্রবাহের তীব্রতা অব্যাহত রয়েছে। উপজেলার অসহায় গরিব-দুখি মানুষগুলো গরম কাপড়ের অভাবে আগুন জ্বালিয়ে গরম কাপড়ের অভাব পূরণ করছে। শীতের প্রকোপে রানীশংকৈলবাসীর স্বাভাবিক জীবনযাপনে কিছুটা হলেও জনজীবনে স্থবিরতা নেমে এসেছে। শ্রমজীবী মানুষগুলো তীব্র শীতের কারণে কাজে বের হতে পারছে না। রোদ ওঠার পর গরম জামাকাপড় গায়ে চাপিয়ে তবেই ঘর থেকে সবাই বের হচ্ছেন। কনকনে শীতের সকালে খেটে খাওয়া মানুষ উষ্ণতা  পেতে আগুন জ্বালিয়ে শরীরে তাপ নিচ্ছেন। এদিকে কনকনে হাড়কাঁপা শীতের কষ্টে জীবন কাটাচ্ছে সীমান্তঘেঁষাসহ ছিন্নমূল এলাকার মানুষগুলো। সরকারি শীতবস্ত্র তারা চোখে দেখে না কোনোদিন। শহরে একটু গরম হলেও পল্লী এলাকায় শীত জেঁকে বসেছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এদিকে হাসপাতালে টিএইচ ডাক্তার এ এম কে কবির এবং নার্স সুরাইয়া জনান, শৈত্যপ্রবাহ এবং তীব্র শীতের কনকনে ঠা-ায় বেশিরভাগ রোগী শ্বাসকষ্টে ভুগছে। অপরদিকে কুয়াশায় সড়ক দুর্ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। ঘন কুয়াশার কারণে বেশিরভাগ দুর্ঘটনা ঘটছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছে। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খন্দকার মোহাঃ নাহিদ হাসান বলেন, বাংলাদেশের মধ্যে রানীশংকৈল উপজেলার নিকটবর্তী হিমালয় পর্বত হওয়ায় সবচেয়ে বেশি শীত মনে হচ্ছে। সরকারি শীতবস্ত্র যে হারে বরাদ্দ হয়েছে এতে সামান্য কিছু মানুষকে দেয়া হচ্ছে। এর থেকে অনেক বেশি পরিমাণে শীতবস্ত্র প্রয়োজন এ এলাকায়।  
কাজিপুর (সিরাজগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, হাড় কাঁপানো শীত, ঘন কুয়াশা ও শৈত্যপ্রবাহে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। রাতে বৃষ্টি মতো শিশির পড়ছে। অফিস আদালত, স্কুল-কলেজে উপস্থিতির হার কমে গেছে আশঙ্কাজনকহারে। সেই সঙ্গে সর্দি-কাশি, পেটের পীড়া, শ্বাসকষ্ট, কোন্ড ডায়রিয়া, হাইপারটেশন ও নিউমোনিয়াসহ শীতজনিত রোগের সংখ্যা ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশেষ করে দুর্গম চরাঞ্চলসহ এলাকার অভাবী মানুষরা খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ