Inqilab Logo

শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

সীতাকুন্ডে অরক্ষিত অর্ধশত রেলক্রসিং গেটম্যান না থাকায় বাড়ছে দুর্ঘটনা

ট্রেনের ধাক্কায় ছিটকে গেল ট্রাক

| প্রকাশের সময় : ১৭ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

সীতাকুন্ড (চট্টগ্রাম) উপজেলা সংবাদদাতা : সীতাকুন্ডে অরক্ষিত একটি রেল ক্রসিংয়ে ট্রেনের ধাক্কায় একটি ট্রাক দুমড়ে-মুচড়ে ছিটকে গেল। রেল ক্রসিংটিতে কোন গেটম্যান না থাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি। রেল পুলিশ দুর্ঘটনা ট্রাকটি উদ্ধার করে সীতাকুন্ড থানার জিম্মায় রেখে গেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রোববার ভোর আনুমানিক ৪টায় একটি মালবাহি ট্রাক সীতাকুন্ডের বাড়বকু- এসকেএম জুট মিলস সংলগ্ন রেল ক্রসিং অতিক্রম করার সময় হঠাৎ তূর্ণা নিশিতা এক্সপ্রেস ট্রেনের সামনে পড়ে গেলে মুহূর্তেই ট্রেনের ধাক্কায় ট্রাকটি (নং ঢাকামেট্টো ট-১৩-০৬৭৭) দুমড়ে-মুচড়ে ছিটকে যায়। তবে ঘটনার পর ট্রাক চালক বা হেল্পারের হদিস মেলেনি। ধারণা করা হচ্ছে তারা ট্রেন লাইনে উঠে হঠাৎ কাছাকাছি ট্রেন থেকে লাফিয়ে পালিয়ে গেছে। দুর্ঘটনার কবলে পড়া আটা বোঝাই ট্রাকটি ওই এলাকার ইউরো পোল্ট্রি ফিড নামক প্রতিষ্ঠানে যাচ্ছিল। ইউরো পোল্ট্রি ফিডের ম্যানেজার মোঃ রাইসুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, এই রেলক্রসিংটি নিয়ন্ত্রণ করে এসকেএম জুট মিলস কর্তৃপক্ষ। এখানে যেসব কারখানা রয়েছে তাদের নিরাপত্তায় রেল ক্রসিংয়ে গেটম্যান নিয়োগের কথা। সে লক্ষে আমরা (ইউরো পোল্ট্রি ফিড) প্রতিমাসে এস.এ এম জুট মিলস কর্তৃপক্ষকে ২ হাজার টাকা করে দিয়ে থাকি। কিন্তু এখানে গেটম্যান যে নেই তা আমরা জানতাম না। গেট খোলা থাকায় চালক ও হেল্পার বোধ হয় ট্রেন আসছে বুঝতে না পেরে গাড়ি তুলে দিলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন চট্টগ্রাম জিআরপি থানার ওসি এসএম শহিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে দুমড়ে মুচড়ে যাওয়া ট্রাকটি উদ্ধার করে সীতাকু- থানায় রেখেছি। এ ঘটনায় কোন হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি বলে জানান তিনি। এদিকে সীতাকু-ে এস.কে এম জুট মিলস রেল ক্রসিং ছাড়াও অর্ধ শতাধিক রেলক্রসিং অরক্ষিত হয়েছে। এমননি সরকারীভাবে স্বীকৃত উপজেলার একমাত্র পর্যটন সেক্টর সীতাকু- বোটানিক্যাল গার্ডেন ও ইকোপার্কের রেলক্রসিংয়েও কোন গেটম্যান নেই। বিগত দিনেও এখানে বেশ কয়েকবার ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু কর্তৃপক্ষের উদাসীন্যতায় এখানেও কোন গেটম্যান নিয়োগ দেওয়া হয়নি। রেল কর্তৃপক্ষ শুধু ‘নিজ দায়িত্বে রেল ক্রসিং পার হউন’ লেখা সাইনবোর্ড দিয়েই তাদের কর্তব্য শেষ করেছে। বেশিরভাগ অরক্ষিত রেলক্রসিংয়ে এভাবেই সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে কর্তব্য শেষ করেছে কর্তৃপক্ষ। আবার অনেকগুলো ক্রসিংয়ে গেটম্যান তো নেই-ই, নেই কোন সতর্কতামূলক সাইনবোর্ডও। ফলে নিয়মিতই ঘটছে দুর্ঘটনা। হচ্ছে জানমালের ক্ষতিও। ফলে এসব অরক্ষিত রেলক্রসিংয়ে গেটম্যান নিয়োগ করে এখনই মূল্যমান জানমাল রক্ষায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পদক্ষেপ নেওয়া জরুরী বলে সচেতন মহল মনে করেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ