বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, সরকার এতো বোকা নয় যে তাদের পতনের জন্য আমাদের আন্দোলন করতে অনুমতি দেবে। আমাদের এমন আন্দোলন করতে হবে যার জন্য সরকারের কোনো অনুমতির প্রয়োজন না হয়। আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই। গতকাল শনিবার এক সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আমাদের ত্রুটিগুলো চিহ্নিত করতে হবে এবং আন্দোলন সংগ্রামের কৌশল ঠিক করতে হবে। জনগণের প্রয়োজনে যদি আমরা এই সরকারকে বিতাড়িত করতে চাই, সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে। সেক্ষেত্রে জনগণের সাহস থাকলেও আমরা যারা নেতৃত্বে রয়েছি তাদের সাহসের অভাব রয়েছে। আমরা কী করছি বা করতে পারবো- এই ভেবে জনগণ মাঝে মাঝে হতাশ হয়ে পড়ে। তিনি বলেন, দেশের জনগণ যন্ত্রণায় ছটফট করছে। আমাদের দেখলে তারা টিটকারী করে। তাদের ভাষায় আমাদের যা করা উচিত তা আমরা করছি না বা করতে পারছি না। এর মানে তারাও চায় আমরা কিছু একটা করি।
বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব আসলাম চৌধুরীর মুক্তির দাবিতে ডিআরইউতে এক সমাবেশের আয়োজন করে ‘জননেতা আসলাম চৌধুরী মুক্তি পরিষদ’ নামক সংগঠন।
গয়েশ্বর বলেন, দলের পক্ষে কাজ করার জন্য আসলাম চৌধুরী সরকারের রোষাণলে পড়ে গত আট মাস ধরে কারাগারে। তার মত দেশের ১৬ কোটি মানুষ বৃহত্তর কারাগারে বন্দি। তাই দেশের মানুষকে যদি মুক্ত করতে পারি তাহলে আসলাম চৌধুরীসহ দলের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মুক্ত করতে সক্ষম হবো। তাদের মুক্ত করতে হলে আন্দোলন বিনা অনুমতিতেই করতে হবে।
সাবেক এই প্রতিমন্ত্রী বলেন, সফল আন্দোলন করতে হলে দরকার শক্তিশালী সংগঠন। বিএনপি শক্তিশালী নয়, তা বলবো না। তবে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংগঠিত করতে হবে।
গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, আমাদের নেতা বানানোর প্রক্রিয়া নির্ণয় হওয়া প্রয়োজন। কর্মীরা যাকে চাইবে তাকে নেতৃত্বে আনতে হবে। উপর থেকে যদি নেতা চাপিয়ে দেয়া হয় তাতে সংগঠন শক্তি করা সম্ভব হয় না। জেলা-মহানগর পর্যায়ের শতকরা আশি ভাগ নেতা ঢাকায় বসবাস করেন এবং থানা পর্যায়ের নেতারাও নিজ নিজ এলাকায় থাকেন না। যারা পথে চলতে আনন্দ পায়, তাদের পদে আনা উচিত। যদি ক্ষমতায় আসে তখন অনেককে মন্ত্রী বানানো যাবে। কিন্তু কোন কিছু পাওয়ার আগে ভাগ হয় না, পাওয়ার পরে ভাগ হয়।
মীর মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন বলেন, নতুন নেতা আমদানি করা, দলে যোগদান করা নেতাদের হঠাৎ নেতা বানিয়ে দেয়া ও সক্রিয়দের মূল্যায়ন না করার কারণে আজ আমাদের এমন অবস্থা হয়েছে। কারণ, দলের প্রতি তাদের কোনো দায়বদ্ধতা নেই। আসলাম চৌধুরী কখনো পুলিশের অনুমতি নিয়ে কোনো কর্মসূচি করেন নাই, নিজের শক্তি দিয়ে কর্মসূচি করেছেন। যার কারণে তিনি আজ কারাগারে।
পরিষদের সভাপতি জসিম উদ্দীন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসাইন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের ভূইয়া জুয়েল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।