বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সিদ্ধিরগঞ্জ (না’গঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা : ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মেঘনা এবং গোমতী সেতু এলাকার ওয়ে স্কেলের জরিমানার প্রায় দেড় কোটি টাকা সরকারি কোষাগারে জমা হয়নি। গত ২৮ ডিসেম্বর থেকে মেঘনা সেতুর টোল প্লাজা এবং গোমতী সেতুর টোল প্লাজা সংলগ্ন এলাকায় অতিরিক্ত পণ্য বহনকারী যানবাহন থেকে জরিমানা আদায় শুরু করা হয়েছে। গত ১৮ দিনে ওই বিপুল পরিমাণ অর্থ জরিমানা আদায় করা হয়েছে। বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠান ওয়ে স্কেল দু’টি পরিচালনা করছে। মনিটরিং করছে সড়ক ও জনপথের নারায়ণগঞ্জ সড়ক বিভাগের কর্মকর্তারা। যদিও সড়ক ও জনপথের সাথে ওই বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সাথে এধরনের কোন চুক্তিপত্র এখনও হয়নি। সরকারি রাজস্ব কোন ব্যাক্তি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছে রাখার নিয়মও সড়ক ও জনপথের কোন বিধি-বিধানে নেই। সড়ক ও জনপথের সংশ্লিষ্ট নির্বাহী প্রকৌশলী বলেছেন ওই প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তি না হওয়ার কারণে তারা আদায়করা জরিমানার টাকা এখনও সরকারি হিসাবে জমা দেয়নি। এছাড়া মহাসড়কে আগের চেয়ে গাড়িতে ওভারলোড বেশি হচ্ছে এবং ওভার লোড করা গাড়ির সংখ্যাও বেড়েছে বলেও জানা গেছে।
নারায়ণগঞ্জ সড়ক বিভাগ থেকে পাওয়া তথ্যে জানাগেছে, মহাসড়কে অতিরিক্ত ওজন নিয়ে চলাচলকারী যানবাহনের উপর প্রগ্রেসিভ হারে জরিমানা আদায়ের জন্য গত বছরের ৭ আগস্ট রাষ্ট্রপতি প্রজ্ঞাপন জারী করেন। প্রজ্ঞাপনে জরিমানার হার নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী গত ২৮ ডিসেম্বর থেকে মেঘনা টোল প্লাজা এবং গোমতী টোল প্লাজা সংলগ্ন এলাকায় স্থাপিত ওয়ে স্কেলে জরিমানা আদায় করা শুরু করা হয়েছে। মালবাহী যানবাহনের ওজন পরিমাপ করে অতিরিক্ত ওজন বহনকারী যানবাহনের প্রতিটা থেকে দুই হাজার টাকা করে এ জরিমানা আদায় করা হয়। সেতু দুটির টোল আদায়কারী প্রতিষ্ঠান সিএনএস লিমিটেড এই জরিমানা আদায় করছেন। গতকাল পর্যন্ত গত ১৮ দিনে আদায় করা জরিমানার টাকা সরকারি হিসাবে জমা দেওয়া হয়নি। গড়ে দুটি ওয়ে স্কেলে প্রতিদিন ৮ লাখ টাকার বেশী জরিমানা আদায় হচ্ছে। এই হিসেবে গত ১৮ দিনে আদায়কৃত প্রায় দেড় কোটি টাকা ওই প্রতিষ্ঠানের কাছে রয়েছে। যদিও জরিমানা আদায়ের জন্য ওই প্রতিষ্ঠানটির সাথে সড়ক ও জনপথের কোন চুক্তি গতকাল পর্যন্ত হয়নি।
নারায়ণগঞ্জ সওজ এর একাধিক প্রকৌশলী বলেছেন, রাষ্ট্রপতির প্রজ্ঞাপনে জরিমানার যে হার নির্ধারণ করা হয়েছিল সে হারে আদায় করা যাচ্ছে না। দ্বিতীয় বার একই অপরাধের জন্য দ্বিগুন জরিমানার বিধান রয়েছে তা-ও প্রয়োগ করা হচ্ছে না। অতিরিক্ত ওজন বহনের জন্য একই হারে (২ হাজার টাকা) জরিমানা আদায় করা হচ্ছে। একই হারে জরিমানা আদায়ের কারণে এখন অতিরিক্ত ওজন বহন এবং অতিরিক্ত ওজন বহন করা যানবাহনের সংখ্যা বেড়ে গেছে। কারণ যানবাহনের মালিক/চালকেরা এখন মনে করেন ওভার লোড যতই করা হউক জরিমানা একই। তাই তারা ওভার লোড করা আগের চেয়ে বাড়িয়ে দিয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মুহা. আলিউল হোসেন বলেছেন, গত ২৮ ডিসেম্বর থেকে ওয়ে স্কেল দুটিতে সিএনএস লিমিটেড এর জনবল দিয়ে জরিমানা আদায় শুরু করা হয়েছে। গতকাল পর্যন্ত গত ১৮ দিনে আদায় করা জরিমানার টাকা তার অফিসে জমা হয়নি। জরিমানা আদায়কারী ওই প্রতিষ্ঠানের সাথে আদায়কৃত রাজস্বের বণ্টন বিষয়ে সড়ক ও জনপথের সাথে কোন চুক্তি এখনও হয়নি। ঢাকা জোন চুক্তির প্রক্রিয়া করছে। ওই চুক্তি হলে আদায়কৃত জরিমানার টাকা ওই প্রতিষ্ঠান তার অফিসে বিডি/পে-অর্ডারের মাধ্যমে জমা দিবে বলে তিনি জানান। চুক্তি ছাড়া কোন ব্যাক্তি সরকারি রাজস্ব আদায় করতে পারে কি-না এবং আদায়কৃত রাজস্ব তার কাছে রাখতে পারে কি-না জানতে চাইলে তিনি এর কোন জবাব দেন নি। জরিমানা আদায়ের ফলে মহাসড়কে ওভার লোড গাড়ীর সংখ্যা কমেছে কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ওভার লোড কমেছে কি-না বলতে পারবো না তবে জরিমানা আদায়ের পরিমান আগের চেয়ে বেড়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।