রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
রাঙ্গুনিয়া (চট্টগ্রাম) উপজেলা সংবাদদাতা : রাঙ্গুনিয়া রেঞ্জের সরকারি বনাঞ্চল উজাড় করে কাঠ পাচারের মহোৎসব চলছে। সরফভাটা ইউনিয়নের একাধিক পয়েন্ট দিয়ে মূল্যবান সেগুন, গর্জন, আকাশমনি, গামারীসহ বিবিধ প্রজাতির কাঠ জীপ, মাহেন্দ্রা, ট্রাক দিয়ে পরিবহন করা হচ্ছে। সরফভাটার মীরেরখীল, ক্ষেত্রবাজার, চিরিংগা এলাকার কমপক্ষে ১২/১৫টি পয়েন্টে প্রায় ১০ হাজার ঘনফুট কাঠ মজুদ রাখা হয়েছে। মজুদ স্থল হতে সড়ক ও কর্ণফুলী নদী পথে কাঠ নেয়া হচ্ছে। অতিরিক্ত বোঝাই কাঠ পরিবহন করায় গ্রামীণ সড়কগুলো করুণ অবস্থা দেখা দিয়েছে। সড়কে দেখা দিয়েছে অসংখ্য খানাখন্দ ও বড় বড় গর্ত। বিধ্বস্ত সড়কে চলাচলে যাত্রীরা চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে বলে এলাকাবাসীরা জানিয়েছে। চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের রাঙ্গুনিয়া রেঞ্জের বনাঞ্চল ও কাপ্তাই পাল্পউড বাগান বিভাগ সরকারি বাগান থেকে প্রতিদিন অর্ধশত যানবাহন যোগে সরফভাটায় কাঠ পরিবহন করা হচ্ছে। সরফভাটার একাধিক পয়েন্টে এসব কাঠ মজুদ করে পুনরায় সেখান থেকে চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় পাচার করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। সরফভাটা মীরেরখীল বাজারের একাধিক ব্যবসায়ী জানান, বিভিন্ন জোত ও সরকারি বনায়ন থেকে প্রতিদিন সেগুন, আকাশমনি ও গামারী শতশত ঘনফুট কাঠ ব্যবসায়ীরা মীরেরখীল বাজারের আশেপাশে মজুদ করে রেখেছে। চিরিংগা, ক্ষেত্রবাজারসহ একাধিক পয়েন্ট এবং স্থানীয় অবৈধভাবে গড়ে উঠা স’মিলগুলোতে হাজার হাজার ঘনফুট কাঠ মজুদ রয়েছে। মীরেরখীল গ্রামের মো. করিম জানান, অতিরিক্ত ওজনের মাহেন্দ্রা যানবাহন যোগে কাঠ পরিবহন করাতে গ্রামীণ সড়কগুলো বেহাল হয়ে পড়েছে। অবৈধ যানবাহন বন্ধের দাবিতে এলাকাবাসী সরফভাটা ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শেখ ফরিদের দৃষ্টি আর্কষণ করেন। আগামী ৪/৫ মাসের মধ্যে অবৈধ মাহেন্দ্রা চলাচল বন্ধ করতে ইউপি চেয়ারম্যান পরিবহন মালিকদের নির্দেশনা প্রদান করেছেন বলে জানা গেছে। মাহেন্দ্রা চালক মোহাম্মদ সালাম বলেন, মীরেরখীল-চিরিংগা সড়ক হয়ে কাঠ কর্ণফুলী নদী ও চিরিংগা খালে আনা হয়। চিরিংগা খাল ও কর্ণফুলী নদীপথে বন বিভাগের একশ্রেণির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জড়িত থাকায় মূল্যবান কাঠ পাচার হয়ে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে রাঙ্গুনিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তার সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।