রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা : রূপগঞ্জে জালিয়াত চক্রের খপ্পরে পড়ে নিরীহ জমি মালিক ও দোকান মালিকরা হয়রানিয় শিকার হচ্ছে প্রতিনিয়ত। এতে প্রকৃত জমির মালিক আইনি জটিলতায় পড়ে এবং মামলার দীর্ঘ সূত্রিতায় নিজ জমি ফেরত পেতে অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে। জানা যায়, স্থানীয় জালিয়াত চক্র কম্পিউটার অপারেটর মাধ্যমে জাতীয় পরিচয়পত্র নকল ও নাগরিকত্ব সনদ পরিবর্তন করে ভুয়া কাগজপত্র এমনকি ভুয়া দাতা সাজিয়ে একের জমি অন্যের নামে দলিল সৃজন করে প্রতারণার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এতে প্রকৃত জমি মালিকরা পড়েছেন বিপাকে। রূপগঞ্জ সাবরেজিস্ট্রি কর্মকর্তা ও অসাধু দলিল লিখকের সহায়তায় সর্বস্বান্ত হচ্ছে নিরীহ জমি মালিকরা। গত ৫ দিন আগেও অন্যের জমি বিক্রি করতে গিয়ে ভেন্ডার ও স্থানীয়দের হাতে আটক হয়েছেন তিন প্রতারক। ঘটনাটি ঘটেছে রূপগঞ্জ সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসে। আটক তিন জন সম্পর্কে জামাই, ভায়রা ও শ্বশুর হন। স্থানীয় জাল দলিল চক্রের সহায়তায় জমি সম্পাদন করতে গিয়ে আটক হন তারা। পরে জমির টাকা ফেরত ও স্থানীয়দের কাছে মোচলেকা দিয়ে ছাড়া পেয়েছে তারা। তবে স্থানীয় জাল দলিল চক্রের কোন বিচার না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ভুক্তভোগীরা। স্থানীয়দের অভিযোগ, এ দালাল চক্রের মাধ্যমে প্রায় অর্ধশতাধিক লোক জমি ক্রয় করে হয়েছেন প্রতারিত। স্থানীয় প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় জাল দলিলের চক্রটি এলাকায় আছে বহালতবিয়তে। আটক প্রতারক চক্রের সদস্যরা হলেন দক্ষিণ কুমিল্লা থানার গোলচর এলাকার সামসুল হকের ছেলে মোবারক হোসেন, নোয়ালয় এলাকার দুলা মিয়ার ছেলে আবুল কাশেম ও সৈয়দপুর এলাকার নাজির মিয়ার ছেলে বাহারুল আলম। এমনই এক ঘটনায় উপজেলার কাঞ্চন বাজারের একটি দোকান ঘর ভুয়া দলিল সৃজন করে দখলে নেয়ার পাঁয়তারা করছে জালিয়াত চক্র। জালিয়াতির শিকার হওয়া মোঃ মহিউদ্দিন ভুঁইয়া জানায়, কাঞ্চন মৌজায় সিএস ও এস খতিয়ান ৮৩৬/৩১ ও ১১৯২ আর এস বি আর এস ১২১২-এর এসএ ও সিএস দাগ ২৮৬০/৫০৬৮ যার আরএস ৫৩৬৯ বিআরএস ১৩৯৬৪ তে খতিয়ানটি ভুয়াভাবে গত ৪ জানুয়ারী স্থানীয় একটি জালিয়াত চক্র দলিল সৃজন করে। ভুয়া দাতা ও কাগজ পত্র তৈরী করে ভুয়া খতিয়ান নং সিএস ও এসএ ৮২৩, ৮২৪, এস দাগ ১১৪৮, ১১৫০ আরএস ৫৩৫৯ নং দাগে ১.৪৮ শতক জমি পরিবর্তন করে ভুয়া দাতা সাজিয়ে একখানা আমমোক্তারনামা দলিল (যার নং ১৪৪) সৃজন করা হয়। চিহ্নিত জালিয়াত চক্রের সদস্যরা হলেন কাঞ্চন এলাকার নজরুল ইসলামের ছেলে তানবীর আলম (৩২), একই এলাকার অপর মৃত নিশি চন্দ্রের ছেলে নিখিল চন্দ্র বর্মণ (৫৫) ও জাওয়াল। স্থানীয়দের জমির মালিকদের অভিযোগ, জালিয়াত চক্রের খপ্পরে পড়ে একই এলাকার মতিউর রহমান মোল্লা আখন্দের জমিসহ একাধিক নিরীহ জমি মালিককে নিঃস্ব করে প্রতারণায় মাধ্যমে দখলে নিয়েছে বলে জানা গেছে। অসাদুভাবে জালিয়াতির মাধ্যমে অঢেল সম্পদের মালিক হওয়ায় স্থানীয় লোকজন ভয়ে তাদের বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস পায় না বলেও অভিযোগ রয়েছে। এদিকে জালিয়াতির শিকার হওয়া লোকজন বিচার চাইতে গিয়ে আদালতের দারস্থ হয়েও জমি ফেরৎ না পাবার আশংকায় ভুগছেন তারা। এসব বিষয়ে রূপগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন বলেন, জালিয়াতি করে নিরীহ জমি মালিকের জমি দখল করার চেষ্টা করছে একটি সংঘবদ্ধ জালিয়াত চক্র। এ ধরনের একটি অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনা তদন্ত করে জড়িতদের আইনের আওতায় নেয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।