Inqilab Logo

রোববার, ০৭ জুলাই ২০২৪, ২৩ আষাঢ় ১৪৩১, ৩০ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

হাড় কাঁপানো শীতে বিপর্যস্ত সৈয়দপুর

| প্রকাশের সময় : ১৪ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

নজির হোসেন নজু, সৈয়দপুর (নীলফামারী) থেকে : হাড় কাঁপানো শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে সৈয়দপুরসহ উত্তর জনপদের মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। তীব্র শীতে ছিন্নমূল মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে। ঠিকমতো কাজ করতে না পারায় খেটে খাওয়া মানুষ পড়েছে বিপাকে। এই অঞ্চলে বেশ ক’দিন থেকে কমতে শুরু করেছে স্বাভাবিক তাপমাত্রা। এরপর হিমেল বাতাস বইতে শুরু করায় শীতের তীব্রতা আরো বেড়ে যায়। সৈয়দপুর আবহাওয়া অফিস জানায়, সৈয়দপুরে বৃহস্পতিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকালের তুলনায় একটু তাপমাত্রা বাড়লেও হিমেল বাতাসের কারণে তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। গত বছর এই তাপমাত্রা ছিল ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী আগামী কয়েক দিনের মধ্যে এই তাপমাত্রা আরো কমতে পারে এবং চলতি মাসেই আরো দুই দফায় শৈত্যপ্রবাহ হতে পারে। শহরের অটোবাইক চালক আবুল কালাম জানান, চরম শীতের কারণে এমনিতেই ঘর থেকে বের হওয়া যাচ্ছে না। তীব্র শীতে জড়োসড়ো হয়ে যাচ্ছে। এরপরও পেটের তাগিদে ঘর থেকে বের হতে হয়েছে। একদিন কাজ না করলে পেটে ভাত জুটবে না। কিন্তু শীতের কারণে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে তেমন লোক বের না হওয়ায় যাত্রীর সংখ্যা কম। তাই রোজগারও কম হওয়ায় দুর্ভোগের মধ্যেই এখন জীবিকানির্বাহ করতে হচ্ছে তাদের। তীব্র শীতের পাশাপাশি রাত থেকে দুপুর অবধি ঘন কুয়াশার চাদরে আচ্ছাদিত থাকছে গোটা এই অঞ্চল। মহাসড়কে যানবাহনও চলছে ঝুঁকি নিয়ে। সকাল ১০টা বাজলেও মহাসড়কে যানবাহন চলাচল করছে হেড লাইট জ্বালিয়ে। পঞ্চগড় থেকে ছেড়ে আসা বাসচালক রজব আলী জানান, ঘন কুয়াশার কারণে সাবধানতার সাথে ঝুঁকি নিয়ে গাড়ি চালাতে হচ্ছে তাদের। এ জন্য গন্তব্যস্থলে পৌঁছতে সময় লাগছে বেশি। এদিকে শীতের কারণে বেড়েছে শীতজনিত রোগ। আর শিশু ও বয়স্করা শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে বেশি। সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালের আরএমও আরিফুর হক সোহেল জানান, কয়েক দিন ধরে তীব্র শীতের কারণে শিশুদের নিউমোনিয়া, ডায়রিয়াসহ শীতজনিত রোগে শিশু আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। তিনি শিশুদের যাতে শীত না লাগে এ জন্য পিতা-মাতাদের সাবধানতা অবলম্বন করার পরামর্শ দেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ