রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
বেতাগী (বরগুনা) উপজেলা সংবাদদাতা : মাদক পিছু ছাড়ছে না বেতাগী উপজেলাবাসীর। ছোবলে নীল হয়ে গেছে যুবসমাজ। এদের কাছে অসহায় স্থানীয়রা। দেড় লাখ জনসংখ্যা অধ্যুষিত এ জনপদের সর্বত্র মাদকে ছেয়ে গেছে। কোথাও কোথাও চলছে অবাধে ছড়াছড়ি। যুবসমাজের পাশাপাশি কলেজ, স্কুল পড়–য়া শিক্ষার্থীরাও আসক্ত হয়ে পরেছে। দিন দিন বাড়ছে এদের সংখ্যা। শিশু কিশোরাও কোননা কোন ভাবে জড়িয়ে পরছে। এদের গন্তব্য কোথায় বলা মুশকিল। উপজেলা প্রশাসনের তৎপরতা, পুলিশের রেড-অ্যালর্ড, আলোচনা সভা, লেখালেখিও হয়েছে। কিন্তু কোন কিছুতেই কাজে আসছে না। বরং পৌর শহর, প্রত্যন্ত পল্লীতেও অলি-গলি, হাঁট-বাজার সবখানে এদের অবাধ বিচরন। স্থানীয়দের অভিযোগ প্রশাসনের চোখ আড়াল করে কতিপয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সাথে এদের সংখ্যতা রয়েছে। সচেতন মহলের ধারণা যে কারণেই হোক এরা অত্যন্ত প্রভাবশালী, সজাগ ও সর্বদা তাদের নাক-কান খোলা। তাদের রয়েছে ব্যাপক নেটওয়ার্ক। এদের বিরুদ্ধে স্থানীয়দের প্রতিবাদের ঘটনা নতুন নয় প্রতিবাদ করতে গিয়ে প্রতিবাদকারীরা অসহায়। ইতিপূর্বে উপজেলার ভোলানাথপুর ও পূর্ব বেতাগী গ্রামের প্রতিবাদ করতে যেয়ে অনেকে মামলায় জড়িয়েছেন। তাই গাঁজা ব্যবসায়ীর ভয়ে তারা ভীত সন্ত্রস্ত। আবার কখন কোথায় তাদের জড়ানো হয়। উপজেলার ১টি পৌরসভাসহ ৭টি ইউনিয়নে কমবেশি সর্বত্র গাঁজা সেবী ও এ ব্যবসায়ীদের নেটওয়ার্ক বিস্তার রয়েছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, পৌর সভার ১নং ওয়ার্ডের পুরাতন থানা সংলগ্ন বিষখালী নদীর পাড়, ২নং ওয়ার্ডের বাংলালিক টাওয়ার, পূর্ব বেতাগী স্লুস গেট, ৩ নং ওয়ার্ডের বাস স্ট্যান্ড, মহিলা মাদ্রাসা, ৪নং ওয়ার্ডের পৌর ভবন, বেড়িবাঁধ, বেতাগী মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয় চত্বর, বেতাগী ডিগ্রী কলেজ চত্বর, ৭নং ওয়ার্ডের কচুয়া-বেতাগী ফেরিঘাট, বউবাজার, ৮নং ওয়ার্ডের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্বর, উপজেলা পরিষদের আবাসিক এলাকা, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বর, বেতাগী গালস স্কুল সংলগ্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৯নং ওয়ার্ডের কালি বাড়ি সংলগ্ন শহর রক্ষা বাঁধ ও উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ হাঁট-বাজার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও অরক্ষিত এলাকায় কমবেশি গাঁজা সেবীদের আঁখড়া বসে। ইতোমধ্যে অভিযানকালে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্বর এলাকা থেকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এলাকা থেকে দুই জনকে হাতেনাতেই ধরে ফেলেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার এমএম মাহমুদুর রহমান জানান, মাদকাসক্তদের কোন ছাড় নয়, তাদের বিষয়ে প্রশাসন জিরো টলয়েন্ট। থানার অফিসার ইনচার্জ মো: মাহাবুবুর রহমান বলেন, মাদক সেবী ও ব্যবসায়ীদের ধরতে তাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।