Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আলু ক্ষেতে লেট ব্রাইটের আশঙ্কায় কৃষক উদ্বিগ্ন

দুপচাঁচিয়ায় ঘনকুয়াশা ও প্রচন্ড শীত

| প্রকাশের সময় : ১৪ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

মোঃ গোলাম ফারুক, দুপচাঁচিয়া (বগুড়া) থেকে : দুপচাঁচিয়া উপজেলায় উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন স্থানের মতো গত কয়েক দিনে অব্যাহত ঘনকুয়াশা ও প্রচন্ড শৈতপ্রবাহের কারণে আলুর জমিতে লেট ব্রাইট রোগের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এতে কৃষকরা চরম উদ্বিগ্নতায় ভুগছে। দুপচাঁচিয়া উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এবার উপজেলার ২টি পৌরসভাসহ ৬টি ইউনিয়নে ৬ হাজার ৭০০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের আলু লাগানো হয়েছে। এর মধ্যে কার্ডিনাল, ডাইমন্ড, এসস্ট্রিকস, পাকড়ি জাতের আলু রয়েছে। কৃষক ও কৃষিবিদদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বর্তমানে আলু চাষিরা ক্ষেতে টপ ড্রেসিংয়ের কাজে ব্যস্ত সময় অতিবাহিত করছে। জমির আলুর গাছগুলো সবুজ রং ধারণ করে সজীব হয়ে উঠেছে। ঠিক সেই মুহূর্তে গত প্রায় কয়েক দিন ধরে ঘনকুয়াশা ও শৈতপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। এ প্রতিকূল আবহাওয়ায় আলু ক্ষেতে দেখা দিতে পারে লেট ব্লাইট বা পাতা মোরক রোগ। এ কারণেই আলু চাষিরা ফসল রক্ষায় দিশেহারা হয়ে পড়েছে। সেই সাথে ফসল রক্ষার জন্য তারা বিভিন্ন পদ্ধতি গ্রহণ করেছে। উপজেলা সদরের খোলাশ গ্রামে আলু চাষি হেলালুর রহমান হেলাল, আবুল হোসেন আবু, বোরাই গ্রামের বাদলু ফকির, দুপচাঁচিয়া পূর্ব আলোহালী গ্রামের ইউনুছ আলী, দবির উদ্দীন, জিয়ানগরের খলিশ্বর গ্রামের বাবুল হোসেন বাবু, রেজাউল করিম রেজু, জলঙ্গী গ্রামের একাব্বর আলীসহ অনেকেই “দৈনিক ইনকিলাব”-কে জানান, তারা প্রতি বছরই ৪ থেকে ৫ বিঘা জমিতে আলু লাগিয়ে থাকেন। গত বছর ১ বিঘা জমিতে আলু আবাদে ৮ হাজার টাকা খরচ হলেও এবার সার ও কীটনাশকের দাম কিছুটা বেড়ে যাওয়ায় ১০ হাজার টাকা খরচ পড়ছে। সব মিলিয়ে আলু ঘরে তোলার সময় দাম কমে যাওয়ায় এবং কম ফলনের আশঙ্কায় তারা উদ্বিগ্ন। গত ১২ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার উপজেলার জিয়ানগর, গুনাহার, চামরুল এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কৃষকরা আলুর ক্ষেতে লেট ব্রাইট বা পাতা মোরক রোগের আশঙ্কায় ওষুধ স্প্রের কাজে ব্যস্ত সময় পার করছে। এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোস্তফা কামাল হোসেন জানান, বর্তমানে বৈরী আবহাওয়ায় আলু ক্ষেতে লেট ব্রাইট বা পাতা মোরক রোগ ছড়িয়ে পড়তে পারে। তাই ফসল রক্ষায় ইতোমধ্যে লিফলেট বিতরণসহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। সেই সাথে রোগবালাই প্রতিরোধে চাষিদের কৃষি অফিসের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে পরামর্শ গ্রহণের জন্য বলা হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ