Inqilab Logo

বুধবার, ০৩ জুলাই ২০২৪, ১৯ আষাঢ় ১৪৩১, ২৬ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

লটারি ও জুয়ায় সর্বস্বান্ত হচ্ছে সাধারণ মানুষ

| প্রকাশের সময় : ১৪ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

মো. মনসুর আলী, আদমদীঘি (বগুড়া) থেকে : নওগাঁয় শিল্প ও বাণিজ্য মেলার নামে আদমদীঘি সান্তাহারসহ উত্তরাঞ্চলে প্রতিদিন ঢাকঢোল পিটিয়ে প্রকাশ্যে লটারির টিকিট বিক্রি করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে লটারির আয়োজকরা। এতে সর্বশান্ত হচ্ছে সর্বস্তরের মানুষ। নওগাঁ পুলিশ লাইনের সামনে একটি মাঠে চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডস্ট্রিজের আয়োজনে বেনারসী ইভেন ম্যানেজমেন্ট লিঃ এর সহযোগিতায় চলছে এ বাণিজ্য মেলা। উক্ত মেলাতে বসানো হয়েছে লটারিনামক জুয়া। ঢাকঢোল পিটিয়ে প্রকাশ্যে এই জুয়া (লটারির) টিকেট বিক্রি করা হচ্ছে নওগাঁ, বগুড়া, জয়পুরহাট, নাটোরসহ উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন শহর বন্দর এবং প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে। প্রতিদিন প্রায় ৫ শতাধিক সিএনজি, টমটম, ভ্যানসহ বিভিন্ন যানবাহনে মাইক ও ঢাকঢোল পিটিয়ে বিক্রি করা হচ্ছে স্বপ্নছোয়া নামে এ লটারি টিকিট। সাধারণ মানূষকে লটারিমুখী করতে সিএনজি, টমটম, অ্যাপাচি, প্যালসার, ডিসকোভার মোটরসাইকেল, গাভিসহ বিভিন্ন ধরনের পুরস্কার ঘোষণা করা হয়। নারীদের নজর ফিরাতে স্বর্ণের চেইন দামি দামি শাড়িও ঘোষণা দেয়া হয়। ফলে লোভে পরে প্রতিদিন ১টা থেকে ৫শ লটারি টিকিট কিনে সর্বশান্ত হচ্ছে শিশু, কিশোর, নারী, পুরুষসহ সর্বশ্রেণির পেশার মানুষ। বিশেষ করে ভ্যান, রিকশা চালক, শ্রমিক ডে লেবাররা প্রতিদিনের রোজগার টাকা দিয়ে এই লটারি টিকিট কিনে হাটবাজার না করে খালি হাতে বাড়ি ফিরে পরিবার-পরিজন নিয়ে অনাহারে দিন পার করছে এবং কৃষকরা আগাম ইরি-বোরো ধানের ওপর দাদন নিয়ে আবার অনেকে বিভিন্ন এনজিও সমিতি থেকে ঋণ গ্রহণ করে এই লটারির টিকিট কিনছে বলেও অনেকে মত প্রকাশ করেছেন। এ ব্যাপারে প্রশাসন চুপচাপ নীরব ভূমিকা পালন করায় অভিজ্ঞ মহলে তাদের এই ভূমিকা নিয়ে নানা কথা চলছে। তারা এ বিষয়ে তদন্ত পূর্বক এই লটারি জুয়া বন্ধের জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, নওগাঁ, বগুড়া, নাটোর, জয়পুরহাটের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ