Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সাত ‘মিস্টার বাংলাদেশে’র কথা

প্রকাশের সময় : ১৪ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম | আপডেট : ৯:১৯ পিএম, ১৪ জানুয়ারি, ২০১৭

ফারুক হোসাইন : মাসলের খেলা শরীরগঠন। যিতি যত রকম পদ্ধতিতে নিজের শরীরের মাংসপেশীকে প্রদর্শন করতে পারেন তিনিই সেরা। নিজ শরীরের আকর্ষণীয় মাংসপেশী প্রদর্শনের মাধ্যমেই ‘মিস্টার বাংলাদেশ’ খেতাব অর্জন করে থাকেন শরীরগঠনবিদরা। এবারের জাতীয় শরীরগঠন প্রতিযোগিতায় সেরা হয়ে সাত শরীরগঠনবিদ ‘মিস্টার বাংলাদেশ’ খেতাব জেতেন। যা তাদের জন্য সম্মানের। গত ২৭ থেকে ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় ওয়ালটন জাতীয় ২৮তম সিনিয়র এবং ১৩তম মাস্টার পুরুষ শরীরগঠন প্রতিযোগিতা। সিনিয়র গ্রুপে সাতটি ওজনশ্রেণীতে প্রতিযোগিরা নিজেদের মাসলের কসরত দেখান। ওজন  শ্রেণীগুলো হলো- ৫৫, ৬০, ৬৫, ৭০, ৭৫, ৮০ ও ঊর্ধ্ব ৮০। আর ৪০ ঊর্ধ্ব বডিবিল্ডাররা ওপেন ক্যাটাগরিতে খেলেন মাস্টার গ্রুপে। আটটি ওজন শ্রেণীতে ৮০টি ক্লাবের প্রায় আড়াই শতাধিক বডিবিল্ডার অংশ নেন এ প্রতিযোগিতায়। তিন দিনব্যাপী এই প্রতিযোগিতার পৃষ্ঠপোষকতায় ছিলো ওয়ালটন গ্রুপ, বডি অ্যান্ড স্পোর্টস, মাল্টি ট্রেড এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড, ইটনা গ্রুপ, ইউনিক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট লিমিটেড, নিউজিল্যান্ড ডেইরি প্রোডাক্টস বাংলাদেশ লিমিটেড ও আবদুল মোনেম লিমিটেড।
৫৫ কেজি ওজন শ্রেণিতে আনসারের আরিফুর রহমান স্বর্ণপদক জিতে অর্জন করেন মিস্টার বাংলাদেশ খেতাব। একই দলের দেলোয়ার হোসেন পিন্টু রৌপ্য ও মিরপুরের বাংলাদেশ জিমের শরিফুল আজিজ জেতেন ব্রোঞ্জপদক। ৬০ কেজি ওজন শ্রেণিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিবিবিসি জিমের রবিন খান স্বর্ণ জিতে হন মিস্টার বাংলাদেশ। এই ওজনশ্রেণীতে আনসারের সুমন হোসেন রুপা এবং একই সংস্থার রনজিত চন্দ্র সরকার জয় করেন ব্রোঞ্জপদক। ৬৫ কেজি ওজন শ্রেণিতে আনসারের মাহাবুবুর রহমান স্বর্ণপদক জয় করে মিস্টার বাংলাদেশ খেতাব জিতে নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করেন। এই ইভেন্টে ঢাকা ফার্স ক্লাবের তাশদীদ হাসান রৌপ্য ও চট্টগ্রামের মানস জিমের সাইফুল ইসলাম ব্রোঞ্জপদক জিতে নেন। ৭০ কেজি ওজন শ্রেণিতে আনসারের আনোয়ার হোসেন স্বর্ণ (মিস্টার বাংলাদেশ), একই দলের আরিফুল ইসলাম রুপা ও ঢাকা ফার্স ক্লাবের জোবায়ের হোসেন ব্রোঞ্জ জেতেন। ৭৫ কেজিতে আনসারের মুরাদ স্বর্ণ জয় করার পাশাপাশি পান মিস্টার বাংলাদেশ খেতাব। ঢাকার শাকিল বডিবিল্ডিং ক্লাবের রফিকুল ইসলাম (স্বপন) ও হ্যামার স্ট্রেন্থ ফিটনেস এন্ড ট্রেনিং সেন্টারের শাহজালাল সরকার যথাক্রমে রৌপ্য ও ব্রোঞ্জপদক জিতে নেন। ৮০ কেজি ওজন শ্রেণিতে আনসারের মোহাম্মদ নাজমুস সাকিব ভূঁইয়া স্বর্ণ (মিস্টার বাংলাদেশ), একই দলের সুমন দাস রুপা এবং আনসারের আতিকুর রহমান ব্রোঞ্জ জেতেন। ৮০+ কেজি ওজন শ্রেণীতে আনসারের ইব্রাহিম খলিল স্বর্ণ (মিস্টার বাংলাদেশ), একই দলের রায়হানুর রহমান রুপা ও ঢাকা গ্যালাক্সি জিমের শেখ জামাল ব্রোঞ্জপদক জেতেন।
এছাড়া মাস্টার ক্যাটাগোরিতে প্রথম হয়েছেন ঢাকার শাকিল বডিবিল্ডিং ক্লাবের মঈন-উ-আহমেদ রনি। তিনি ‘মাস্টার বাংলাদেশ’র খেতাব জিতেন। চট্টগ্রাম মহানগরী ক্রীড়া সংস্থার হারুন শেখ দ্বিতীয় এবং চট্টগ্রামের মানস জিমের আরিফ মহিউদ্দিন তৃতীয় হন। ২৯ ডিসেম্বর প্রতিযোগিতার সমাপণী দিন খেলা শেষে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেনে বাংলাদেশ শরীরগঠন ফেডারেশনের সভাপতি ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মেজর জেনারেল (অব.) সুবিদ আলী ভূঁইয়া এমপি। এ সময় টুর্নামেন্টের টাইটেল স্পন্সর ওয়ালটন গ্রুপের স্পোর্টস এন্ড ওয়েলফেয়ার বিভাগের প্রধান এফএম ইকবাল বিন আনোয়ার, বডি এন্ড স্পোর্টসের ম্যানেজিং পার্টনার সালেহ মোহাম্মদ, মাল্টিট্রেড এন্টারপ্রাইজ লিমিটেডের ডাইরেক্টর মনসুর মাওলা আলী এবং সাবেক মিস্টার ‘ইস্ট পাকিস্তান’ মেসবাহউদ্দিন আহমেদ (চিত্র নায়ক ওয়াসিম) উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিযোগিতার ৫৫ কেজি ওজন শ্রেণিতে স্বর্ণপদক জয়ী আনসারের আরিফুর রহমান মিস্টার বাংলাদেশ খেতাব অর্জন করে নিজেকে ধন্য মনে করছেন। তার কথা, ‘শরীরগঠন এমন একটি খেলা যা সবাই পারেন না। এই খেলায় সাফল্য পেতে হলে নিজের শরীরকে সঠিক অনুশীলনের মাধ্যমে তৈরী করতে হবে। ঠিক তেমনি আকর্ষণীয়ভাবে প্রদর্শনও করতে হবে। আমি বেশ ক’বছর সাধনা করেছি ‘মিস্টার বাংলাদেশ’ খেতাব জেতার জন্য। অবশেষে সাফল্য ধরা দিয়েছে। নিজ শরীরের মাংসপেশীকে এমনভাবেই তৈরী ও প্রদর্শন করেছি যে, এই ওজনশ্রেণীতে আমার চেয়ে ভালো শরীরগঠনবিদ দ্বিতীয়টি পাওয়া যায়নি। ফলে আমিই প্রথম হয়ে স্বর্ণ জেতার পাশাপাশি পেয়েছি ‘মিস্টার বাংলাদেশ’ খেতাব। যে জন্য নিজেকে ধন্য মনে করছি।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন