রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
কালকিনি (মাদারীপুর) উপজেলা সংবাদদাতা : রাত ১টা, চারিদিকে হইচই গ্রামে ডাকাত পড়েছে। গ্রামের মানুষের ডাকাত পাকড়াও করতে দিগি¦দিক ছোটাছুটি। মসজিদের মাইকে ডাকাত ধরতে গ্রামবাসীদের আহ্বান জানানো হচ্ছে। আর হাজার হাজার গ্রামবাসী দা-কুড়াল-সাবলসহ লাঠিসোঁটা নিয়ে খোলা মাঠে ধাওয়া করছে। খবর পেয়ে ডাকাত ধরতে কালকিনি থানা পুলিশ ও ডাসার থানা পুলিশ সদস্যরা তাদের সর্বোচ্চ অবস্থান ও তৎপরতায়। কিন্তু হায় কোথায় ডাকাত? রাতের প্রচ- শীত ও কুয়াশা উপেক্ষা করে ঘুম নষ্ট করে শুধুই মরীচিকার পেছনে ছোটা। অবশেষে সকলে ক্লান্ত হয়ে স্থীর হলে উদ্ঘাটন হয় মূল ঘটনার। আর তা হল উপজেলার কাজীবাকাই এলাকার মাইজপাড়া গ্রামের ফকির বাড়িতে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে অনন্দ বশতবাড়ির শিশু-কিশোরেরা কয়েকটি পটকা ফুটিয়ে আনন্দ উল্লাস করেছে। আর তাতেই ঘটনার সৃষ্টি হয়েছে। আর তাতে করে উপজেলার মাইজপাড়া, পশ্চিম মাইজপাড়া, পাথুড়িয়ার পাড়, ধ্বজী, পূয়ালী, ভূরঘাটা, উত্তর রাজদী, পুয়ালি মাদারীপুর, গোপালপুর, দক্ষিণ রাজদী, কাষ্টগড়, ঠেংগামারা, ঘোষেরহাট, ভাউতলি, ডাসারসহ অন্তত ৫০টি গ্রামের মানুষের মধ্যে ডাকাত আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এ ব্যাপারে ডাসার থানার অফিসার ইনচার্জ এমদাদুল হক বলেন, ‘আসলে বিষয়টি কোন ডাকাতির ঘটনা নয়। এটি মাইজপাড়া গ্রামে একটি বিয়ে বাড়িতে পটকা ফোটানোকে কেন্দ্র করে ঘটেছে। তবে এতে একটি ব্যাপার উপলব্ধি হয়েছে তা হল মানুষের মধ্যে সচেতনতা আছে এবং ডাকাত আসলেও গ্রামবাসীদের সহযোগিতায় তা পাকড়াও করা সম্ভব হবে। তবে বিষয়টি নিয়ে কালকিনিতে বর্তমান সময়ের রাজনীতিকে উস্কে দিয়ে উত্তপ্ত করতে একটি মহলের গভীর ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখছে আ.লীগের একাধিক নেতা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।