Inqilab Logo

শনিবার, ০৬ জুলাই ২০২৪, ২২ আষাঢ় ১৪৩১, ২৯ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

পীরগঞ্জে প্রতিনিয়ত প্রতারিত হচ্ছে শত শত মানুষ

প্যাথলজিতে অচল যন্ত্রপাতি ও সনদবিহীন টেকনোলজিস্ট

| প্রকাশের সময় : ১৩ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

পীরগঞ্জ (রংপুর) উপজেলা সংবাদদাতা : রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলা সদরের অধিকাংশ প্যাথলজিতেই অচল যন্ত্রপাতি ও সার্টিফিকেটবিহীন টেকনোলজিস্ট দিয়ে চলছে দেদারছে। প্রতিদিন শত শত রোগীর কাছে কৌশলে হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে হাজার হাজার টাকা। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্সে কর্মরত আবাসিক মেডিকেল অফিসার ইনডোর বিভাগে রোগী দেখার সময় কৌশলে ২টার পর স্বাস্থ্যকমপেক্স গেট সংলগ্ন জনসেবা নামের একটি ডায়াগনোস্টিক সেন্টারে যেতে বলেন। অন্য কোনো প্যাথলজিতে পরীক্ষা করা হলে সেই রোগীর প্যাথলজি রিপোর্টের কাগজ ছুড়ে মারেন এবং জনসেবায় পুনরায় পরীক্ষা করতে বলেন। বেশিরভাগ রোগীকে তিনি আলট্রাসনোগ্রাম ও রক্তের কয়েক প্রকার পরীক্ষা করতে বলেন। এভাবে সেবার নামে জমজমাট ব্যবসা ফেঁদে বসেছেন জিয়া নামের ওই আবাসিক মেডিকেল অফিসার। অধিকাংশ প্যাথলজিতে সনোলজিস্ট নেই, প্যাথলজিস্ট নেই, নেই কোনো আধুনিক যন্ত্রপাতি। একজন মাত্র অবসরপ্রাপ্ত মেডিকেল এসিসটেন্ট দিয়েই চলছে সবগুলো প্যাথলজি। এগুলোর মধ্যে দি নিউ সিয়াম প্যাথলজিতে প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে কোনো ধরনের প্যাথলজিস্ট ছাড়াই। কেবলমাত্র ডাঃ হরেণন্দ্র নাথ গোস্বামী নামের একজন ডাক্তার ওই প্যাথলজিতে বিকেল ৪টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ওই প্যাথলজির একটি কক্ষে চেম্বার সাজিয়ে প্রতিদিন রোগী দেখেন। আর ওই সময় টুকুর জন্যই খোলা থাকে প্যাথলজিটি। প্রতিদিন প্রায় ১৫/২০ জন রোগীর গুরুত্বপূর্ণ নানা পরীক্ষার নামে হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে মোটা অংকের টাকা। একাধিক সূত্রে জানা গেছে, ওই সিয়াম প্যাথলজির মাইক্রোস্কপ মেশিন, ক্লোরোমিটার মেশিনসহ গুরুত্বপূর্ণ মেশিনগুলো প্রায় অকেজো। অন্যদিকে ওই প্যাথলজিতে কর্মরত মেডিকেল টেকনোলজিস্টম (ল্যাবঃ) হিসেবে দাবিদার টেকনোলজিস্টের কোনো সার্টিফিকেট নেই বলে জানা গেছে। জানা যায়, ডাঃ হরেণন্দ্র নাথ গোস্বামী পার্শ্ববর্তী মিঠাপুকুর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা। একটি মেডিকেলের প্রধান হয়েও কেন তিনি ওই প্যাথলজির সাথে সংশ্লিষ্ট? এ ব্যাপারে কথা হলে তিনি প্যাথলজিটির মালিকের সাথে কথা বলতে বলেন। বিষয়টি নিয়ে মুঠোফোনে কথা হলে সিয়াম প্যাথলজির টেকনোলজিস্ট নুর আলম জানান, মেশিন সব ঠিক আছে এবং আমার সার্টিফিকেটও আছে। দেখতে চাইলে তিনি বলেন, আপনাকে কেনো দেখাবো? শুধু সিয়াম প্যাথলজিই নয় উপজেলা সদরের অন্যান্য সব ক’টি প্যাথলজির অবস্থা প্রায় একই রকম বলে ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে কথা হলে রংপুরের সিভিল সার্জন হিমাংশু লাল রায় জানান, এ রকম অনিয়ম থাকলে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ