Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রাতের আঁধারে সংরক্ষিত বনাঞ্চলের কাঠ যাচ্ছে ইটভাটায়

| প্রকাশের সময় : ১৩ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

এম. হাসানুল হক উজ্জ্বল, বিয়ানীবাজার (সিলেট) থেকে : বিয়ানীবাজারের ইটভাটাগুলোতে অবাধে পোড়ানো হচ্ছে কাঠ। পরিবেশ অমান্য করে বড়লেখা ও জুড়ি উপজেলার কতিপয় বন উজাড়কারী চক্র বিয়ানীবাজারের অন্তত ২৫টি ইটভাটায় পাচার করছে জ্বালানি কাঠ। সংরক্ষিত বনাঞ্চলের বিভিন্ন প্রজাতির কাঠ রাতের আঁধারে চুরি করে অসাধু চক্র তা বিভিন্ন যানবাহনের মাধ্যমে পাঠিয়ে দিচ্ছে ইটভাটাগুলোতে। আর এসব কাঠ পাচার করতে স্থানীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সাথে গোপন যোগাযোগেরও অভিযোগ রয়েছে। কয়েকজন কাঠ ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, সব দিক ম্যানেজ করেই তারা ইটভাটাগুলোতে কাঠ পৌঁছে দিচ্ছে। ফলে তাদেরকে কোনো ধরনের ঝামেলায় পড়তে হচ্ছে না। সূত্রটি জানিয়েছে, রাত গভীর হলেই তারা তাদের নির্ধারিত ট্রাকে করে কিংবা ট্রাক্টরে করে কাঠ পৌঁছে দেয়। সূত্র মতে, বিয়ানীবাজার উপজেলার ১টি পৌরসভা ও ১০টি ইউনিয়নেই রয়েছে ইটভাটা। প্রবাসী অধ্যুষিত এই উপজেলায় ইটের চাহিদা বেশি থাকায় এসব এলাকায় ইটভাটা গড়ে উঠেছে বলে জানা গেছে। কয়েকজন ইট ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, কয়লার সাথে জ্বালানি কাঠ ব্যবহার করলে কম সময়ের মধ্যে বেশি ইট পোড়ানো সম্ভব হয়। কোনো ধরনের আইনি ঝামেলা না থাকার কারণে তারা সহজেই ইটভাটাগুলোতে কাঠ পোড়াতে পারছেন বলেন নাম প্রকাশ না করার শর্তে সংশ্লিষ্ট কয়েকজন ব্যবসায়ী জানিয়েছেন। বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, বড়লেখা ও জুড়ি উপজেলায় সংরক্ষিত বনাঞ্চল উজাড়কারী কয়েকটি চক্র দীর্ঘদিন থেকে কাঠ পাচার করে আসছে। ওই চক্রটি বিয়ানীবাজারের ইট ব্যবসায়ীদের সাথে আলাপ করে অগ্রিম চুক্তির ভিত্তিতে ইটভাটাগুলোতে জ্বালানি কাঠ সরবরাহ করে থাকে বলে সূত্রটি নিশ্চিত করেছে। সংশ্লিষ্টদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে রাতের আঁধারে চক্রটি নিরাপদে জ্বালানি কাঠ ইটভাটাগুলোতে পৌঁছে দিচ্ছে। বিয়ানীবাজার উপজেলায় রয়েছে বিজিবি ৫২’র আঞ্চলিক হেড কোয়ার্টার। তাদের টহলও রয়েছে এই অঞ্চলে। থানা পুলিশের টহলও রয়েছে। তারপরও কিভাবে নিরাপদে ইটভাটাগুলোতে অবৈধভাবে জ্বালানি কাঠ পৌঁছে এ নিয়ে পরিবেশবাদীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন। এ প্রসঙ্গে বিয়ানীবাজার থানার ওসি চন্দন কুমার চক্রবর্তীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তার কাছে এ রকম কোন তথ্য নেই বলে জানান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ