বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সরকার আদম আলী, নরসিংদী থেকে : নরসিংদী সরকারি কলেজ ময়দানসহ শহরের জনবহুল এলাকা বাদ দিয়ে একটি জনমানবহীন সরু গলির ওপর উন্নয়নমেলার আয়োজন করায় জনমনে ব্যাপক প্রশ্নের উদ্রেক করেছে। বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মধ্যেও। মেলায় পাওয়া যাচ্ছে না উন্নয়নের কোনো সঠিক তথ্য। সরকারের উন্নয়ন সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে উন্নয়নমেলা যথাযথ গুরুত্ব পায়নি। ফলে ব্যাহত হয়েছে মেলার প্রকৃত উদ্দেশ্য। ব্যাপক জনগণ বঞ্চিত হয়েছে সরকারের বিভিন্ন বিভাগের ৮ বছরের উন্নয়ন কার্যক্রম, ভবিষ্যৎ উন্নয়ন পরিকল্পনা সম্পর্কে জানা ও বোঝার সুযোগ থেকে।
দীর্ঘ ৩ মাসাধিককাল ধরে জেলা আওয়ামী লীগের সাথে জেলা প্রশাসনের দ্বন্দ্ব, জেলা প্রশাসকের ব্যক্তিগত জিদ বা আত্মকেন্দ্রিকতা এবং মেলা সম্পর্কে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতা ও অভিজ্ঞ ব্যক্তিবর্গের সাথে কাউন্সিলিং না করার কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। মেলাতে প্রায় ৭০টি স্টল স্থাপন করা হলেও অধিকাংশই ছিল নামমাত্র। শুধুমাত্র ব্যানার ও ফেস্টুন সংবলিত এই স্টলগুলোতে নিজ নিজ বিভাগের কোনো উন্নয়ন তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি। মঙ্গলবার সকাল থেকে সারাদিন মেলা প্রাঙ্গণে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক স্বতঃফূর্ত লোকজনের আনাগোনাও দেখা যায়নি। সন্ধ্যার পরও লোকের আনাগোনা তেমন পরিলক্ষিত হয়নি। সাধারণ দর্শকরা বলছেন, মেলাটি নরসিংদী সরকারি কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত হলে হাজার হাজার মানুষের সমাবেশ ঘটত। লোকজনের আনাগোনা কম দেখে জনৈক ব্যক্তি বলে উঠেন, লোকজন কোথায় আসবে? ৭০টি স্টলের ৭০ জন লোক রাস্তায় দাঁড়ালে এখানে অন্য মানুষ দাঁড়াবার আর জায়গাই থাকবে না। আমদানিকৃত লোক ছাড়া এখানে স্বতঃস্ফূর্ত জনগণের আগমন ছিল খুবই কম।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ আব্দুল মতিন ভূইয়া জানিয়েছেন, উন্নয়নমেলা বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন সফলতার পরিচায়ক। অথচ মেলা অনুষ্ঠানের ব্যাপারে জেলা প্রশাসক স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের সাথে কোনো প্রকার কথা বলেননি। মেলার ভেন্যু নিয়ে কোনো পরামর্শ করেননি। তিনি সম্পূর্ণ একক সিদ্ধান্তে একটি জনমানবহীন সরু গলির ওপর মেলার আয়োজন করেছেন। তিনি আরো জানান, মেলা বা মেলার স্থান নিয়ে তিনি পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রীর সাথে পরামর্শ করারও প্রয়োজন মনে করেননি। বর্তমানে যেই গলির ওপর মেলা আয়োজন করা হয়েছে এই গলিতে অতীতে কখনো কোনো মেলার আয়োজন করা হয়নি। যার ফলে অনেক উৎসাহী ব্যক্তিরা পরিবার-পরিজন নিয়ে মেলা পরিদর্শনে যেতে পারেননি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।