বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
চট্টগ্রাম ব্যুরো : চট্টগ্রাম বন্দরের ধারক কর্ণফুলী নদীকে দখল দূষণের কবল থেকে রক্ষা করে নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে ক্যাপিটাল ড্রেজিংয়ের দাবি জানানো হয়েছে। ‘কর্ণফুলী নদী বাঁচলে বন্দর বাঁচবে, বন্দর বাঁচলে দেশ বাঁচবে’ এ স্লোগানে কর্ণফুলী নদী ও চট্টগ্রাম বন্দর রক্ষায় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করে গতকাল (বুধবার) সংবাদ সম্মেলন করে জাতীয় পার্টি (জেপি) চট্টগ্রাম মহানগর শাখা।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রাণকেন্দ্র চট্টগ্রাম বন্দর, আর সেই বন্দরের প্রাণ হচ্ছে কর্ণফুলী নদী। গুরুত্বপূর্ণ কর্ণফুলী নদীর ভরা যৌবন আজ হারানোর পথে। একদিকে নদী দিন দিন ভরাট হয়ে যাচ্ছে, অন্যদিকে সে ভরাটকৃত জায়গায় একশ্রেণীর ভূমিদস্যু ও নদী দখলকারীরা তাদের দখলে নিয়ে ঘরবাড়ি, বস্তি, দোকান ও মিল-কারখানা তৈরি করে ভাড়া দিয়ে অবৈধ দখলদারেরা প্রতি মাসে আয় করছে প্রায় এক কোটি টাকা।
শাহ আমানত সেতু থেকে চট্টগ্রাম বন্দরের ১ নম্বর জেটি পর্যন্ত নদী দখলের এ মহোৎসব চলে এলেও বিগত ৮ বছর ধরে অবৈধ উচ্ছেদের কোনো অভিযান চালানো হয়নি। নদীর ক্যাপিটাল ড্রেজিংয়ের কথা বলে শত শত কোটি টাকা আত্মসাৎ করে মালয়েশিয়া সরকার আন্তর্জাতিক আদালতে একটি মামলা দায়েরের মাধ্যমে দীর্ঘদিন যাবৎ কর্ণফুলী নদীর ড্রেজিং বন্ধ করে রেখেছে। যার সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত পুনরায় ড্রেজিং ব্যবস্থা চালু করা যাচ্ছে না। এর মধ্যে হাইকোর্ট কর্ণফুলী নদীর অবৈধ দখলকারীদের উচ্ছেদের জন্য সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দেয়ার পরও রহস্যজনক কারণে নির্দেশনা কার্যকর হচ্ছে না। সবকিছু বিবেচনায় এনে কর্ণফুলী নদীকে রক্ষায় প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে সূচনা বক্তব্য রাখেন আহ্বায়ক মোহাম্মদ আজাদ দোভাষ, চট্টগ্রাম মহানগর নেতা মো: কামাল উদ্দিন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।