Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কুড়িগ্রাম ও নীলফামারীতে ঘন কুয়াশা ও শৈত্যপ্রবাহে বিপর্যস্ত জনজীবন

| প্রকাশের সময় : ১২ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

অভ্যন্তরীণ ডেস্ক : কুড়িগ্রাম ও নীলফামারীতে ঘনকুয়াশা ও শৈত্যপ্রবাহে দুর্ভোগে পড়েছে খেটে খাওয়া দরিদ্র মানুষ। এ সংক্রান্ত আমাদের সংবাদদাতাদের পাঠানো প্রতিবেদন-
নীলফামারী জেলা সংবাদদাতা জানান, গত তিন দিন ধরে নীলফামারীতে চলছে শৈত্যপ্রবাহ। গত সোমবার থেকে শুরু হওয়া ঘন কুয়াশার সাথে উত্তরের হিমেল বাতাস আর কনকনে শীতে জবুথুবু হয়ে পড়েছে এখানকার লোকজন। বিশেষ করে এই কনকনে শীতে চরম দুর্ভোগে পড়েছে খেটে খাওয়া দরিদ্র মানুষ। তীব্র শীতের কারণে কাজে বের হতে না পারে নিদারুন কষ্ট পোহাতে হচ্ছে তাদের। অনেকে দিনভর খরকুটে জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা চালাচ্ছেন।  শৈত্য প্রবাহ আর ঘন কুয়াশার কারনে গতকাল বুধবার দুপুর পর্যন্ত সূর্য্যরে মুখ দেখা যায়নি। দুপুর পর্যন্ত কুয়াশার কারণে ভারী যানবাহনগুলো হেড লাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে। অপর দিকে শীত নিবারন করতে গরম কাপড় সংগ্রহে নিম্ন আয়ের মানুষরা পৌরসভা মাঠের  পুরানো কাপড়ের বাজারে ভীড় করছেন। এদিকে শীতের তীব্রতার কারণে শীতজনিত রোগের প্রার্দুভাব বেড়েছে। আর এই রোগে সবচেয়ে বেশী আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বৃদ্ধ বয়সীরা। কনকনে শীতে মানুষজনের পাশাপাশি কাবু হয়ে পড়েছে গবাদি পশুরাও।
কুড়িগ্রাম জেলা সংবাদদাতা জানান, কুড়িগ্রামে শৈত্যপ্রবাহের কারণে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। হিমেল কনকনে ঠা-া হাওয়ায় কাবু হয়ে পড়েছে নদ-নদী তীরবর্তী এলাকার কয়েক লাখ মানুষ। এতে করে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ। টানা দু’দিন থেকে দেখা যায়নি সূর্যের মুখ। ভোরে ও সন্ধ্যায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মতো পড়ছে কুয়াশা। ঘন কুয়াশার কারণে ব্যাহত হচ্ছে যান চলাচলও। রাস্তাঘাটে লোক চলাচল ছিল কম। ভিড় দেখা গেছে শীতবস্ত্রের দোকানগুলোতে। এদিকে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় বিপাকে পরেছে শিশু, বৃদ্ধসহ বিভিন্ন শ্রেণীর শ্রমজীবী মানুষ। শীতবস্ত্রের অভাবে হত-দরিদ্ররা খড়কুটো জ্বালিয়ে ঠা-া নিবারণের চেষ্টা করছে। কুড়িগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. এসএম আমিনুল ইসলাম জানান, শৈত্যপ্রবাহের কারণে শীতজনিত রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। এজন্য জেলায় ৮৫টি মেডিক্যাল টিম প্রত্যন্ত এলাকাগুলোতে কাজ করছে। শৈতপ্রবাহ স্থায়ী হলে স্বাস্থ্য বিভাগের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিলসহ সকল প্রস্তুতি ইতিমধ্যে নেয়া হয়েছে। জেলা ত্রাণ অফিস সূত্র জানিয়েছে, ইতোমধ্যে বরাদ্দ পাওয়া ৫৩ হাজার ১৮৫টি কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়ও শিশু পোষাকসহ অন্যান্য ৩০ হাজার পোষাকের চাহিদা দেয়া হয়েছে। কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, জেলায় ৬ হাজার ৫০৫ হেক্টর বোরো বীজতলা করা হয়েছে। বীজতলা পরিচর্চার জন্য কৃষকদের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের আবহাওয়া পর্যবেক্ষক এ এইচ এম মোফাখারুল  ইসলাম জানান, বুধবার সর্বনি¤œ তাপমাত্রা ছিল ৯ দশমিক ৮ এবং সর্বোচ্চ ২৪ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আরো দু-একদিন এই অবস্থা চলবে বলে জানিয়েছেন তিনি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ