রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) উপজেলা সংবাদদাতা : কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে প্রশাসনের অনুমতি না নিয়েই খালের গতিপথ পরিবর্তনের অজুহাত সৃষ্টি করে সরকারি খালের বিশাল অংশ দখলে নেয়ার উদ্দেশ্যে মাটি ভরাট করছে প্রভাবশালী একটি মহল। প্রভাবশালীদের স্বার্থ রক্ষার কারণে প্রতি বছর বর্ষা মৌসুম এলে ওই খর স্রোত খালের একাধিক স্থান ভেঙ্গে বাড়িঘর, ফসলী জমি ও পুকুর প্লাবিত হয়ে একালাবাসী ব্যাপক ক্ষতি সম্মুক্ষীন হন। উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নের সোনাপুর-বদরপুর এলাকার খরস্রোত খালের একটি অংশে মাটি ভরাট ও দখলের মহোৎসব চলছে। ঘটনাস্থলে গিয়ে সরেজমিনে দেখা গেছে, কুরুল্লা খালের বদরপুর-সোনাপুর এলাকার একটি অংশে একদল মাটি কাটার শ্রমিক কাজ করছে। সোনাপুর গ্রামের মৃত চাঁন মিয়ার ছেলে ইউসুফ মিয়া সরকারী এ খালের ইউ আকারের বিশাল একটি অংশ ভরাট করতে এ শ্রমিকদের কাজে নিয়োগ দিয়েছে বলে শ্রমিকরা জানান। দৈনিক ৩৫০ টাকা পারিশ্রমিক হিসেবে ২৩জন শ্রমিক গত ২দিন ধরে মাটি কাটার কাজ করছে বলে তারা জানান। দখলকৃত এ খালের পাড়ের বাসিন্দা ইউসুফ মিয়া জানান, ইউ আকারের এ অংশ দিয়ে পানি প্রবাহের কারণে প্রতি বছরই আমার বাড়ির একটি অংশ ভেঙ্গে যায়। তাই আমি ক্রয়কৃত জমির উপর দিয়ে সোজা নতুন করে খালটি খনন করে দিচ্ছি। তবে খালের গতিপথ পরিবর্তনে প্রশাসনের কোন অনুমোদন রয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন স্থানীয় চেয়ারম্যান ও মেম্বারদেরকে জানিয়েছেন। পানি প্রবাহের জন্য নিজের জমির উপর আনুমানিক ৫০ হাত বা ৭৫ ফুট লম্বা ও ৬/৭ ফুট প্রসস্থ নতুন খাল খনন করে প্রায় ৩/৪শ’ হাত লম্বা ও ১৫/২০ ফুট প্রসস্থ সরকারি খালের বিশাল একটি অংশ দখলে নেয়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, খালের উভর পাশের সম্পত্তির মালিক তিনি। এটা তার অধিকার। ইতিপূর্বেও একাধিকবার প্রভাবশালী ইউসুফ গংরা ভারতের ত্রিপুরা এলাকা পাহাড়ী অঞ্চল থেকে নেমে আসা খরস্রোত এ খালের বিভিন্ন অংশে গতিপথ পরিবর্তন করার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন অনেক পরিবার। ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে পাশর্^বর্তী বদরপুর গ্রামের চা দোকানদার নুরুল ইসলাম, সোনাপুর গ্রামের ব্যবসায়ী শরিফসহ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক এলাকাবাসী জানান, ইউসুফ প্রভাবশালী হওয়ায় টাকার জোরে বার বার খালের গতিপথ পরিবর্তন করছে। ইতিপূর্বে গতিপথ পরিবর্তন করার কারণে নুর ইসলামসহ এলাকার ফসলী জমি ও বাড়ি ঘর প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে প্লাবিত হয়ে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুক্ষীন হয়। নতুন করে খালের গতিপথ আবারো পরিবর্তন করলে বদরপুর ও সোনাপুর গ্রামের বিভিন্ন অংশে পাড় ভেঙ্গে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হবে বলে তারা আশঙ্কা প্রকাশ করছেন। কালিকাপুর ইউপি চেয়ারম্যান মাহবুব হোসেন মজুমদার জানান, বর্ষা মৌসুমে খালের পাড়ের বাসিন্দা ইউসুফের বাড়ি ঘরে পানি উঠে, তাছাড়া খালের আশপাশের এলাকার সম্পত্তির মালিক ইউসুফ গং। খালটি সোজা করলে তার উপকার হবে বলে সে আমাকে জানায়। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রবিউল আহসান জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে স্থানীয় তহশিলদারকে এখনি নির্দেশ দিচ্ছি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইদুর রহমান জানান, অনুমতি ছাড়া খালের গতিপথ পরিবর্তনের কোন সুযোগ নেই। যদি কেহ করে থাকে তাহলে খবর নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।