Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কাজ শেষ না করেই ম্যানেজ করে বিল উত্তোলনের অভিযোগ

বাউফল পৌরসভা

| প্রকাশের সময় : ১১ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

বাউফল (পটুয়াখালী) উপজেলা সংবাদদাতা : পটুয়াখালীর বাউফল পৌরসভায় জলবায়ু প্রকল্পের আওতায় শহরের ২নং ওয়ার্ডে খালের পাশে শিশুদের বিনোদনের জন্য পার্ক নির্মাণের প্রাক কাজ হিসেবে প্রায় কোটি টাকা ব্যয়ে রিটার্নিং ওয়াল ও আরসিসি সড়ক নির্মাণ কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে, ওই প্রকল্পের কাজ সম্পূর্ণ না করেই ঠিকাদার সংশ্লিষ্টদের ম্যানেজ করে বিল উত্তোলন করে নিয়েছেন। যদিও সকল অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ছানিম ট্রেডাসের্র স্বত্বাধিকারী পৌর মেয়র জিয়াউল হক জুয়েলের ভাই কামাল হোসেন বলেন, সিডিউল মোতাবেক কাজ করা হয়েছে। কোন অনিয়ম হয়নি। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনে পরীক্ষা করে দেখতে পারেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বাউফল পৌর শহরে ৬টি প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য জলবায়ু পরিবর্তন (ক্লাইমেট চেইঞ্জ) প্রকল্পের আওতায় ২০১৪ সালে প্রায় ৬ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। ওই প্রকল্পগুলোর মধ্যে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ছানিম ট্রেডার্সের নেয়া ৯০ লাখ টাকা ব্যয়ে বাউফল পৌরশহরের গোলাবাড়ি সেতুর উত্তরপাড়ে হাজী সড়ক থেকে সরকারি কলেজ সেতু হয়ে কাগুজীরপুলের কালাম সড়ক পর্যন্ত ২ হাজার ২০০ ফুট আরসিসি রির্টানিং ওয়াল ও ৬ ফুট প্রশস্থ সিসি সড়ক নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী সড়ক থেকে ৬ ফুট দূরে এবং খালের তলদেশ থেকে ৪ ফুট গভীরে ৩ ফুট পর্যন্ত পাশের মাটি কেটে বেইজ তৈরি করে ৬ ইঞ্চি ডায়া, ৮ ফুট দৈর্ঘ্য ১০ এমএম সিক্সটি গ্রেড রড ও ভালো মানের ইট ব্যবহার করে কাজটি সম্পন্ন করার নির্দেশনা থাকলেও তা করা হয়নি। ওই কাজে নি¤œমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারসহ নানা ক্ষেত্রে ব্যাপক অনিয়ম করা হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, প্রভাব দেখিয়ে সংশ্লিষ্টদের ম্যানেজ করে কোন প্রকার পরীক্ষা-নিরীক্ষা না করিয়েই ওই প্রকল্পের সকল বিল উঠিয়ে নেয়া হয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, ২০১৪ সালের ১ এপ্রিল অনিয়ম দিয়েই কাজটি শুরু হয়। এস্টিমেট অনুযায়ী কোন নির্মাণ সামগ্রীই ব্যবহার করা হয়নি। ফলে নির্মাণের কিছু দিনের মধ্যেই রির্টনিং ওয়াল খালের দিকে হেলে পড়েছে। হেলানো রির্টানিং ওয়াল রক্ষা করার জন্য পাশের সড়কের প্রায় ২৫টি স্থান কেটে রড দিয়ে টানা দেয়া হয়েছে। এরফলে সড়কটির বিভিন্ন অংশ ফেটে খানাখন্দ ও গর্তের সৃষ্টি হয়ে চলাচলের অনুপযোগি হয়ে পড়েছে। অপরদিকে যে কোন মুহূর্তে রড ভেঙ্গে রির্টানিং ওয়াল খালের মধ্যে পড়ে পানি চলাচল বন্ধ হয়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্টিসহ মারাত্মক কোন দুর্যোগ হতে পারে বলে এলাকাবাসিরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। এ বিষয়ে বাউফল পৌরসভার প্রকৌশলী আতিকুল ইসলাম সব ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করে সাংবাদিককে বলেন, পিপিএনবি নামে একটি প্রকল্পের অধীনে ওই কাজটি ছিল। যার কাজ শেষ হয়েছে। বাকি কাজ পৌরসভার নিজস্ব অর্থায়নে করা হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ