Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রূপগঞ্জে অন্যের জমি বিক্রি করতে গিয়ে হাতে-নাতে ধরা পড়ল ৩ প্রতারক

জমির টাকা ফেরত ও স্থানীয়দের কাছে মুচলেকা দিয়ে ছাড়

| প্রকাশের সময় : ১০ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

রূপগঞ্জ উপজেলা সংবাদদাতা : নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে অন্যের জমি বিক্রি করতে গিয়ে ভেন্ডার ও স্থানীয়দের হাতে আটক হয়েছেন তিন প্রতারক। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার সকালে রূপগঞ্জ সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসে। আটক তিন জন সম্পর্কে জামাই, ভায়রা ও শ্বশুর হন। স্থানীয় জাল দলিল চক্রের সহায়তায় জমি সম্পাদন করতে গিয়ে আটক হন তারা। পরে জমির টাকা ফেরত ও স্থানীয়দের কাছে মোচলেকা দিয়ে ছাড়া পেয়েছে তারা। তবে স্থানীয় জাল দলিল চক্রের কোন বিচার না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ভুক্তভোগীরা। স্থানীয়দের অভিযোগ, এ দালাল চক্রের মাধ্যমে প্রায় অর্ধশতাধিক লোক জমি ক্রয় করে হয়েছেন প্রতারিত। স্থানীয় প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় জাল দলিলের চক্রটি এলাকায় আছে বহাল তবিয়তে।  প্রতারক চক্রের সদস্যরা হলেন, দক্ষিণ কুমিল্লা থানার গোলচর  এলাকার সামসুল হকের ছেলে মোবারক হোসেন, নোয়ালয় এলাকার দুলা মিয়ার ছেলে আবুল কাশেম ও সৈয়দপুর এলাকার নাজির মিয়ার ছেলে বাহারুল আলম। তেতলার এলাকার সিরু খাঁর ছেলে সাইফুল ইসলাম জানায়, তেতলাব মৌজার আর.এস ৩৫৯ ও ৩৫২ দাগের সাড়ে ৬ শতাংশ জমি স্থানীয় জমির দালাল সিডু, মোবারক হোসেন, আজিজুল মাতবর ও আবুল হোসেন ডালির মধ্যস্থতায় কুমিল্লা দক্ষিণ থানার সৈয়দপুর গ্রামের সউদী প্রবাসী আনোয়ার হোসেনের জমি সাড়ে দশ লাখ টাকায় ক্রয় করেন। গত ১ বছর আগে জমির মালিক আনোয়ার হোসেনের শ্বশুর আবুল কাশেম বায়না বাবদ ৪ লাখ টাকা নিয়ে জমি রেজিস্ট্রি করে দেয়ার নামে ঘুরিয়ে আসছেন। জমির মালিক ও তার মেয়ের জামাই সৌদি থেকে এসে জমি রেজিস্ট্রি করে দিবে বলে তারিখ দেয়। গত ৮ জানুয়ারি আবুল কাশেম স্থানীয় দালালদের পরামর্শে তার ছোট মেয়ের জামাই বাহারুল আলমকে তার বড় মেয়ের জামাই সাজিয়ে জমি রেজিস্ট্রি করিয়ে দেয়ার জন্য জমির ক্রেতার কাছে আসেন। পরে বাকি ৬ লাখ টাকা জমির দালাল সিডু, মোবারক হোসেন, আজিজুল মাতবরের সামনে আবুল কাশেম ও তার কথিত মেয়ের জামাই আনোয়ার নামধারী বাহারুলের কাছে বুঝিয়ে দেয়। পরে জমি রেজিস্ট্রি করার জন্য রূপগঞ্জ সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে যাওয়ার পর জমি বিক্রেতা বাহারুল আনোয়ার সেজে দলিল সম্পাদন করার সময় ভোটার আইডি কার্ড ও পিতা মাতার নাম সঠিকভাবে বলতে না পারায় দলিল লেখকদের সন্দেহ হলে আসল না নকল মালিক তা চ্যালেন্স করেন। 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ