Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আদর্শ বীজতলা তৈরিতে আগ্রহ বাড়ছে টুঙ্গিপাড়ার কৃষকের

| প্রকাশের সময় : ১০ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

মোঃ অহেদুল হক, গোপালগঞ্জ থেকে : গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া আদর্শ বীজতলা বীজ খরচ সাশ্রয় করেছে। এ বীজতলা ধানের উৎপাদন বৃদ্ধি করেছে। টুঙ্গিপাড়ার ধান চাষিরা আদর্শ বীজতলার দিকে ঝুঁকে পড়েছেন। টুঙ্গিপাড়া উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জনিয়েছে, এ বছর এ  উপজেলার  ৫০০ হেক্টর বীজতলার  মধ্যে ৪২০ হেক্টর  জমিতে আদর্শ বীজতলা করেছে কৃষক। টুঙ্গিপাড়া উপজেলার ১টি পৌরসভা ও ৫টি ইউনিয়নের ১৬টি ব্লকে প্রায় ৮৫% আদর্শ বীজতলা করেছে ধান চাষিরা। বর্নি ইউনিয়নের মুন্সিরচর গ্রামের কৃষক মো. ওবাইদুর রহমান বলেন, আমরা এখন সবাই আদর্শ বীজতলা করছি। কৃষি বিভাগের পরামর্শ অনুযায়ী দুই হাত চাওড়া করে আদর্শ বীজতলা করছি। প্রতি বীজতলার চারপাশে ১ ফুট নালা রাখছি। এতে আমরা ভাল মানের চারা তৈরি করছি। ভাল মানের চারা পাচ্ছি।  এ বীজতলায় বীজ কম লাগছে। রোপণের সময় চারা সাশ্রয় হচ্ছে। এ চারা দিয়ে লাইন লোগো পদ্ধতিতে ধান রোপণ করে গত কয়েক বছর ধরে ভালো ফলন পাচ্ছি। কৃষি বিভাগের পরামর্শে টুঙ্গিপাড়ায় আদর্শ বীজতলা বৃদ্ধি পাচ্ছে। টুঙ্গিপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ড. এইচ. এম মনিরুজ্জামান, বলেন আদর্শ বীজতলা ধানের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আদর্শ বীজতলার প্রতি বর্গমিটারে ৩০ গ্রাম বীজ প্রয়োজন হয়। সেই হিসাবে ১ শতক আয়তনের বীজ তলায় মাত্র ১ হাজার ২শ’ গ্রাম বীজ প্রয়োগ করতে হয়। পক্ষান্তরে সমাতলী বীজতলায় এর থেকে আনেক বেশি বীজ লাগে। আদর্শ বীজতলার ওপরে কোন বাড়তি পানি জমা হতে পারে না। সমান হারে বীজগুলো বীজতলায় দেয়া সম্ভব হয়। ফলে প্রত্যেকটি চারা সমান মানের হয়। আবার কখনো বীজতলায় রোগ ও পোকা- মাকড়ের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হতে দেখা গেলে সাথে সাথে প্রয়োজনীয় পরিচর্যা করা যায়। আদর্শ বীজতলা করলে অল্প জায়গায় চারা দিয়ে বেশি জমি রোপণ করা যায়। হিসাব মতে ১ শতক বীজতলার চারা দিয়ে প্রায় ২০ শতক ধানের জমি রোপণ করা যায়। আদর্শ বীজতলার চারায় কুশি গজায়। এ কারণে মাত্র একটি বা দুটি চারা দিয়ে একটি গোছা তৈরি করা যায়। অপর পক্ষে সমাতলী বীজতলার চারা লিকলিকে চিকন, দুর্বল এবং কম বাড়-বাড়তিসম্পন্ন হয়। ফলে ওই চারা দিয়ে ধানের জমি রোপণ করলে ধানের ফলন কমে যায়। সেই কারণে আমরা কয়েক বছর ধরে আদর্শ বীজতলার দিকে গুরুত্ব সহকারে নজর দিয়েছি। টুঙ্গিপাড়া উপজেলার এ বছর প্রায় ৮৫% আদর্শ বীজতলা হয়েছে। আশা করছি আগামী বছর শতভাগ আদর্শ বীজতলা করবে কৃষক। এতে বীজ খরচ কম হয়। বীজ তলায় রোগ বালাই নেই। জমিতে ধান রোপণে চারা কম লাগছে। ধানের উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়ে কৃষক লাভবান হচ্ছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ