Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আগামী দিনের রাজনৈতিক প্যাটার্ন : ২০১৯ সালের ইলেকশন: মর্নিং শোজ দি ডে

উপ-সম্পাদকীয়

| প্রকাশের সময় : ১০ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

মোবায়েদুর রহমান : আজ আমার দেখার বিষয় বাংলাদেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ। ভবিষ্যৎ বলতে আমি বোঝাতে চাচ্ছি আগামী ২০১৯ সালের নির্বাচনকে সামনে রেখে কিভাবে আমাদের পলিটিক্যাল প্যাটার্ন ইভলভ করতে পারে। আমি প্রতিদিনই লেখা শুরুর আগে দুইটি বিষয় চেক করে নিই। একটি হল ই-মেইল। আরেকটি হল ফেসবুক। আমার টুইটার অ্যাকাউন্টও আছে। তবে ফেসবুকে অসংখ্য ম্যাসেজ, ফ্রেন্ডস রিকুওয়েস্ট এবং নিউজ ফিড আসে বলে ওটাই বেশি চালাই। এখন বিদেশে আছি বলে অনলাইন নিউজ পেপারও দেখতে হয়। তবে এ ব্যাপারে একটি সমস্যাও হয়। কারণ অষ্ট্রেলিয়ার সময় বাংলাদেশের চেয়ে ৫ ঘণ্টা এগিয়ে। এখানে সকাল ৬টার সময় ফজরের নামাজ পড়ে যখন কম্পিউটারে অনলাইন পত্রিকা পড়তে চাই তখন বাংলাদেশে বাজে রাত একটা। সুতরাং বাংলাদেশের পত্রিকা পড়ার জন্য আমাকে অস্ট্রেলীয় সময় ১২টা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। পত্রিকা পড়তে কম করে হলেও এক থেকে দুই ঘণ্টা লাগে। ইত্যবসরে গোছল এবং দুপুরের খাওয়া সারতে হয়। সব কিছু মিলিয়ে বেলা ৩ টার আগে লেখা শুরু করতে পারি না। যাই হোক, এই প্রক্রিয়ায় যখন দিনের কাজ শুরু করেছি তখন ফেসবুকের একটি স্ট্যাটাসের প্রতি চোখ আটকে গেল। স্ট্যাটাসটি দিয়েছে পিনাকী ভট্টাচার্য্য (পিনাকি স্ট্যাটাস ‘দিয়েছে’ বলেছি, ‘দিয়েছেন’ বলি নাই কারণ ওর পিতা শ্যামল রঞ্জন ভট্টচার্য্য আমার স্কুল জীবনের ক্লাসমেট)। পিনাকীর স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে দিলাম। পিনাকি লিখেছে, ‘হিন্দু মহাজোট জানিয়েছে, বাংলাদেশে গত বছর ৯৮ জন হিন্দুকে হত্যা করা হয়েছে। বাংলাদেশের মোট কত মানুষকে ২০১৬ সালে হত্যা করা হয়েছে? তার মধ্যে হিন্দু ভিকটিমের সংখ্যা যদি আনুপাতিক হারে বেশি হয় তাহলে চিন্তার কথা।’ আজকে এক বন্ধু বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা (বিএমবিএস) নামে একটি সংস্থার তথ্য দিল। সেখানে তারা দেখাচ্ছে, গত বছরে, অর্থাৎ ২০১৬ সালে বিভিন্ন ঘটনায় বাংলাদেশে ২৪২৯ জন খুন হয়েছে।
‘এর মানে, হিন্দু মহাজোটের দেয়া হিসাবের সাথে মেলালে বাংলাদেশে হিন্দু খুন হয়েছে মোট খুনের ৪% (চার শতাংশ)। জনসংখ্যা আনুপাতিক হারে হিন্দু খুনের এই সংখ্যা কি আশঙ্কাজনক? হিন্দু মহাজোটের উত্তর আশা করছি।’ পিনাকীর স্ট্যাটাস এখানেই শেষ হয়েছে। পিনাকী এখানে কিছু কথা উহ্য রেখেছে। সেই অনুক্ত কথাগুলোর মধ্যে কিছু প্রশ্নও হয়ত ছিল। সেগুলো হল, বাংলাদেশের বর্তমান জনসমষ্টির কত শতাংশ হিন্দু? ২০১৪ সাল পর্যন্ত আদমশুমারি মোতাবেক হিন্দুদের অংশ ছিল ৮% (আট শতাংশ)। তবে গত বছরের শেষের দিকে বলা হয়েছে ২০১৫  এবং ২০১৬ সালে হিন্দুদের সংখ্যা বেড়েছে। বেড়ে হয়েছে ১০ শতাংশ। এই পরিসংখ্যানের সত্যমিথ্যা সম্পর্কে কিছু বলা সম্ভব নয়। কারণ আদমশুমারি না করে এবং পরিসংখ্যান ব্যুরো এ সম্পর্কে কোন স্ট্যাটিসটিকস না দিলে ৮ শতাংশ বা ১০ শতাংশ নিয়ে কোন কথা বলা সঠিক হবে না। তবে ৮ শতাংশ বা ১০ শতাংশ যাই হোক না কেন, পিনাকির ছুড়ে দেয়া প্রশ্নে যে আনুপাতিক হারের কথা বলা হয়েছে তার সাথে হিন্দু মহাজোটের দেয়া তথ্য সঙ্গতিপূর্ণ নয়।
॥ দুই ॥
আমার মূল ইস্যু হিন্দু খুনের বিষয় নয়। মূল ইস্যুর আগে আরেকটি সাবসিডিয়ারি ইস্যু এসে গেছে। সেটিকে সাবসিডিয়ারি না করে প্রিন্সিপ্যাল ইস্যুও করা যেত। সেটি হল ইসলামী ব্যাংকের সর্বশেষ ঘটনাবলী। গত বুধবার ব্যাংকে একটি ‘নীরব বিপ্লব’ ঘটে গেছে। গত ৬ জানুয়ারি একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত সংবাদ মোতাবেক, ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনায় বড় ধরনের পরিবর্তন ঘটেছে। ব্যাংকটির, ভাইস চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) নির্বাহী ও অডিট কমিটির চেয়ারম্যান পদে পরিবর্তন আনা হয়েছে। দৈনিক ‘প্রথম আলোর’ রিপোর্ট মোতাবেক, এই ব্যাংকটি জামায়াত নিয়ন্ত্রিত এমন একটি কথা বলা হচ্ছিল। সেই ধারণা থেকে বের করে আনার জন্য এটির মালিকানা, পরিচালনা, ও ব্যবস্থাপনায় ধাপে ধাপে পরিবর্তন আসছিল। তবে কারা এই পরিবর্তন আনছিলেন সে কথাটি প্রথম আলোর ঐ রিপোর্টে বলা হয়নি। ঐ রিপোর্টে ইবনে সিনা নামে সুপরিচিত হাসপাতাল ও ডায়াগনিস্টিক সেন্টারকেও জামায়াতঘনিষ্ঠ বলে উল্লেখ করা হয়। সেই ইবনে সিনা ট্রাস্টের প্রতিনিধি মুস্তাফা আনোয়ার ছিলেন ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান। তার জায়গায় এসেছেন সাবেক সচিব আরাস্তু খান। মুস্তাফা আনোয়ার ব্যাংকের চেয়ারম্যান ছাড়াও পরিচালকের পদ থেকেও ইস্তাফা দিয়েছেন। পদত্যাগ করেছেন ব্যাংকের এমডি আব্দুল মান্নান। নতুন এমডি মনোনীত হয়েছেন ইউনিয়ন ব্যাংকের এমডি আব্দুল হামিদ মিঞা। ভাইস চেয়ারম্যান আজিজুল হকও পদত্যাগ করেছেন। নতুন ভাইস চেয়ারম্যান নিযুক্ত হয়েছেন সৈয়দ আহসানুল আলম। মেজর জেনারেল (অব) আব্দুল মতিনকে নির্বাহী কমিটি, মো. জিল্লুর রহমানকে অডিট কমিটি এবং মো. আব্দুল মাবুদকে ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান নিযুক্ত করা হয়েছে। নতুন যারা পরিচালক নিযুক্ত হয়েছেন তারা হলেন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক সামিম মোহাম্মদ আফজাল, পূবালী ব্যাংকের সাবেক এমডি হেলাল আহমদ চৌধুরীসহ আরো অনেকে।
প্রথম আলোর ঐ রিপোর্ট থেকে জানা যায় যে, জামায়াতের কর্মকান্ডের সাথে সক্রিয়ভাবে জড়িত এমন পরিচালক ও কর্মকর্তাদের ব্যাংক থেকে সরিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। প্রথম আলোর রিপোর্টে আরও বলা হয় যে, গত বুধবারের এই পরিবর্তনের ফলে বায়তুল শরীফ ফাউন্ডেশন, ইবনে সিনা ট্রাস্ট, বাংলাদশ ইসলামিক সেন্টার, বাংলাদেশ ইসলামিক ইকোনোমিক্স রিসার্চ ব্যুরো প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি যুক্ত হল ইসলামী ব্যাংক। ২০১৬ সালে ব্যাংকটির মুনাফা অর্জিত হয়েছে ২০০৩ (দুই হাজার তিন) কোটি টাকা। ১০ টাকা মূল্যের শেয়ারের দাম গত বৃহস্পতিবার ছিল ৩০ টাকা। গত শুক্রবার ঢাকার অপর একটি বাংলা দৈনিকের রিপোর্ট বলা হয়েছে, ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের শীর্ষ পদসমূহে গত বুধবার যে পরিবর্তন ঘটেছে তার ফলে এই ব্যাংকটির ওপর সরকারের নিয়ন্ত্রণ আরো সুদৃঢ় হল বলে মনে করা হচ্ছে। বাংলাদেশে সরকারি- বেসরকারি সব ব্যাংকের মধ্যে ইসলামী ব্যাংকই এখন সবচেয়ে বড় ব্যাংক। মুনাফার দিক থেকেও ব্যাংকটির অবস্থান শীর্ষে। লন্ডনের ফিনান্সিয়াল টাইমসের ব্যাংকার ম্যাগাজিন কয়েকদিন আগে এটিকে বাংলাদেশের  সেরা ব্যাংকের পুরস্কার দেয়।
ইসলামী ব্যাংকে সেদিন যে বিরাট রদবদল ঘটল সেটা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান শাহ আব্দুল হান্নান। তিনি বলেছেন, যেভাবে পরিবর্তনগুলো ঘটে গেল তার পেছনে কোনো সৎ উদ্দেশ্য আছে বলে তিনি মনে করেন না। হঠাৎ করে চেয়ারম্যান পদত্যাগ করলেন, ভাইস চেয়ারম্যান পদত্যাগ করলেন এবং এমডিও পদত্যাগ করলেন এবং সাথে সাথেই নতুন চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান এবং এমডি নিযুক্ত হলেন। যে ব্যক্তি কোনদিন ইসলামী ব্যাংকের সাথে যুক্ত ছিলেন না, যিনি ব্যাংকে সম্পূর্ণ নতুন এলেন, তিনি চেয়ারম্যান হয়ে গেলেন। এগুলোর ব্যাখ্যা কি? শাহ্ আব্দুল হান্নানের মতে, এগুলোর পেছনে কোনো সৎ উদ্দেশ্য আছে বলে মনে হয় না। অবশ্যই এর পেছনে কোনো না কোন রাজনীতি আছে। তার মতে, এসব পরিবর্তনের পেছনে হয়ত কোনো রাজনৈতিক দলের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য রয়েছে। তবে তিনি সুনির্দিষ্টভাবে কোনো রাজনৈতিক দলের নাম বলতে অস্বীকার করেন। ঐ দিকে সরকারের অর্থ প্রতিমন্ত্রী আব্দুল মান্নান শাহ্্ আব্দুল হান্নানের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
॥ তিন ॥
এসব অভিযোগ করা এবং সেই অভিযোগ অস্বীকার করার মাঝে ইসলামী ব্যাংক পরিচালনা বোর্ডের সদস্য অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল আব্দুল মতিনের কিছুকথা রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। তিনি বলেছেন ইসলামী ব্যাংকের সাথে একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের সংশ্লিষ্টতা আছে, এমন একটি ধারণা সাধারণ মানুষের মধ্যে আছে। সেই রাজনৈতিক দলের নিয়ন্ত্রণ থেকে ইসলামী ব্যাংককে মুক্ত করা সাম্প্রতিক রদবদলের কারণ বলে তিনি মনে করেন। তিনি বলেন, এই পরিবর্তনটা আমরা ধীরে ধীরে করার চেষ্টা করেছি। তিনি জানান, ইসলামী ব্যাংকের একাউন্টের সংখ্যা ১ কোটি ১৭ লাখ। জামানত ৭৫ হাজার কোটি টাকা কর্মকর্তা ও কর্মচারী সাড়ে ১৩ হাজার। আমরা এখন সাড়ে ১৩ হাজার কর্মচারীর স্বার্থের চেয়ে ১ কোটি ১৭ লাখ গ্রাহকের স্বার্থ বেশি করে দেখব। এই ব্যাংকের নিয়োগ বিধি এমনভাবে প্রণয়ন করা হয়েছে যে এর ফলে বিশেষ একটি রাজনৈতিক দলের কর্মীরাই শুধু চাকরি পেয়েছে। আমরা সকলের জন্য চাকরির দুয়ার উন্মুক্ত করে দেব। মেজর জেনারেল (অব) আব্দুল মতিনের এসব উক্তির পর ইসলামী ব্যাংকের এই সাম্প্রতিক নীরব বিপ্লবের উদ্দেশ্য পরিষ্কার হয়ে যায়।
॥চার ॥
ফিরে আসছি মূল আলোচনায় ২০১৯ সালের নির্বাচনের আগে পর্যন্ত রাজনীতির প্যাটার্ন কিভাবে ইভল করবে- এ ব্যাপারে জন মিলটনের সেই অমর বাণীর উদ্ধৃতি দেয়া যায়। তিনি বলেছেন, The childhood shows the man As morning shows the day. কবি মিলটনের এই কালজয়ী উক্তির আলোকে বলা যায় যে, গত ৩ বছরে রাজনীতির যে চিত্র এবং গতি-প্রকৃতি দেখা গেছে সেটা দেখে বোঝা গেছে যে, আগামী ২ বছর অর্থাৎ ২০১৯ সালের পূর্ব পর্যন্ত বাংলাদেশের রাজনীতি কোন খাত ধরে এগুবে। গত ৫ জানুয়ারি সরকার ও বিরোধীদল একটি দিবস পালন করেছে। কেউ পালন করেছে ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’। আবার কেউ পালন করেছে ‘গণতন্ত্রের বিজয় দিবস।’ একই দিন তো গণতন্ত্রের হত্যা এবং বিজয় দিবস হতে পারে না। তার ও পরে হয়েছে। কারণ, সব সম্ভবের দেশ হল আমাদের এই বাংলাদেশ। এই দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন সংবাদপত্র এবং টকশোতে বিভিন্ন কলামিস্ট এবং আলোচকবৃন্দ নিজ নিজ দৃষ্টিকোণ থেকে দিবসটির তাৎপর্য ব্যাখ্যা করেছেন।
তাদের ব্যাখ্যায় একটি বিষয় স্পষ্ট হয়েছে যে, বিগত ৩ বছরে সরকারি দল আরো শক্তিশালী হয়েছে, আর বিএনপিসহ বিরোধী দল আরো কোণঠাসা হয়েছে। ৩ বছর আগে শুধুমাত্র ভারত ছাড়া অবশিষ্ট দুনিয়া বিরোধী দলের দাবির প্রতি সহানুভূতিশীল ছিল। ৩ বছর পর তাদের অবস্থান বদলে গেছে। ৩ বছর আগে তাদের দাবির প্রেক্ষিতে সরকার কথা দিয়ে ছিল, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পর সরকার যত দ্রুত সম্ভব আরেকটি ইলেকশন করবে। সেই ইলেকশনে দেশের সবগুলো বৈধ দল যাতে অংশ নিতে পারে সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সরকার সেদিন এও বলেছিল, সেদিনের ঐ নির্বাচন ছিল সংবিধান রক্ষার নির্বাচন। ৩ বছর পর সরকার তার সমস্ত ওয়াদা থেকে সরে এসেছে। এখন বলছে, সংবিধান মোতাবেক ২০১৯ সালের আগে আর কোনো ইলেকশন হবে না। ২০১৯ সালে ইলেকশন করার জন্য এবং সেই ইলেকশনে জয়লাভ করার জন্য সরকার সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিয়ে এগিয়ে চলেছে। আন্তর্জাতিক মহলও আর তাদের পূর্বের অবস্থান নিয়ে কোনো কথা বলছে না। ৩ বছর আগে যারা ঐ নির্বাচনকে বির্তকিত বলেছে, বছর পর তারা সম্পূর্ণ খামোশ মেরে গেছে। তারা দিব্যি এই সরকারের সাথে দহরম-মহরম করছে, তাদের সাথে ব্যবসা-বাণিজ্য করছে এবং জোরেশোরে রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক চালিয়ে যাচ্ছে।
এখন চলছে শতকরা একশত ভাগ ক্ষমতার রাজনীতি। এই রাজনীতিতে আদর্শের কোনো বালাই নেই, নীতির কোনো বালাই নেই। ক্ষমতায় যেতে হবে, অথবা ক্ষমতা আঁকড়ে রাখতে হবে যে কোনো মূল্যে। সেই আপ্তবাক্য, ‘মারি অরি পারি যে কৌশলে।’ রাজনীতির এমন একটি খেলায় নীতি নয়, কৌশলই প্রধান হাতিয়ার হয়েছে। সরকার পক্ষ জঙ্গি কার্ড, বিশেষ করে ইসলামী জঙ্গি কার্ড অত্যন্ত সাফল্যের সাথে খেলেছে। আর বিরোধী দল, বিশেষ করে বিএনপি সরকারের সেই তাসটিকে ট্রাম্প বা ওভারট্রাম্প করতে শোচনীয়ভাবে ব্যর্থ হয়েছে। সরকারের জঙ্গি তাস খেলার অনেক ফাঁক-ফোকড় রয়েছে। বিএনপি সেই সব ফাঁক-ফোকড় ধরতে পারেনি অথবা ভয়ে ধরার চেষ্টা করেনি। ইসলাম, জঙ্গি ও ভারত প্রশ্নে সুবিধাবাদিতা ও নীতিহীনতা বিএনপির গ্রহণযোগ্যতা ও বিশ্বাস যোগ্যতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। জেল, জুলুম, ফাঁসি আর প্রচ- দমন নীতির ফলে জামায়াতে ইসলামী বলতে গেলে ক্রাস্্ড। তার মাজা ভেঙে গেছে। কবে সে সোজা হয়ে দাঁড়াবে সেটা কেউ বলতে পারে না। এই পটভূমিতে ২০১৯ সালের ইলেকশন রেজাল্ট কি হবে, সেটা অনেকটা পরিষ্কার।



 

Show all comments
  • ওবায়েদুল্লাহ ১০ জানুয়ারি, ২০১৭, ২:৩৯ এএম says : 0
    মহান আল্লাহ তায়ালাই ভালো জানে।
    Total Reply(0) Reply
  • Maidul Islam ১০ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:৫৫ পিএম says : 0
    এখন চলছে শতকরা একশত ভাগ ক্ষমতার রাজনীতি। এই রাজনীতিতে আদর্শের কোনো বালাই নেই, নীতির কোনো বালাই নেই।
    Total Reply(0) Reply
  • মিসবাহ উদ্দিন ১০ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:৫৬ পিএম says : 0
    অত্যান্ত স্পষ্টভাবে আপনি কথাগুলো উপস্থাপন করেছেন। এজন্য অসংখ্য মোবারকবাদ।
    Total Reply(0) Reply
  • ফরহাদ ১০ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:৫৭ পিএম says : 0
    এখন দেশে রাজনীতি বলে কিছু নাই আছে শুধু ক্ষমতা আর অর্থ।
    Total Reply(0) Reply
  • Kasem ১০ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:৫৮ পিএম says : 0
    akdom khati kotha bolesen vai......
    Total Reply(0) Reply
  • শেখ রায়হান হোসাইন ১১ জানুয়ারি, ২০১৭, ৫:৫৬ পিএম says : 0
    আমি মনে প্রানে বিশ্বাস করি বাংলাদেশে গনতন্ত্র থাকলে আজ দেশ অনেক দুর এগিয়ে যেতো। কিন্তু এই সরকারের ....................
    Total Reply(1) Reply
    • আজাদুল ১১ জানুয়ারি, ২০১৭, ৯:৩৩ পিএম says : 4
      সুশিল সমাজের কিছু করনিও আছে কি ?
  • আসিফুল ১২ জানুয়ারি, ২০১৭, ৫:১১ পিএম says : 0
    ক্ষমতার রাজনীতি চলছে জোরেসোরে
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ