Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মাধ্যমিকের পাঠ্যক্রম পর্যালোচনায় দু’টি কমিটি

| প্রকাশের সময় : ৯ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : মাধ্যমিক স্তরের পাঠ্যক্রম পর্যালোচনার জন্য দুটি পৃথক কমিটি করেছে সরকার। একটি কমিটি ২০১২ সালের পাঠ্যক্রম পর্যালোচনা করে পাঠ্যবই আরও পাঠযোগ্য করতে সুপারিশ দেবে। আরেক কমিটিকে নবম-দশম শ্রেণির কয়েকটি বই পরিমার্জন করে সুখপাঠ্য, সহজ ও আকর্ষণীয় করে তুলবে। এর আগে পাঠ্যপুস্তক সহজবোধ্য করাসহ মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষার মান বাড়াতে কিছু বিষয় বাদ দেওয়া, অভিন্ন প্রশ্নে পরীক্ষা নেওয়া, প্রশ্ন ব্যাংক তৈরিসহ ১৫ দফা সুপারিশ করেন শিক্ষাবিদরা। শিক্ষাবিদদের ওই সুপারিশের ভিত্তিতেই পাঠ্যক্রম পর্যালোচনা এবং নবম-দশম শ্রেণির কয়েকটি বই পরিমার্জনে কমিটি গঠন করে আদেশ জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ২০১২ সালের ওই পাঠ্যক্রম পর্যালোচনা করে বিভিন্ন শ্রেণির পাঠ্যবই অধিকতর পাঠযোগ্য করতে সুপারিশ দিতে নতুন একটি কমিটিতে সদস্য হিসেবে আছেন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের প্রফেসর সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম এবং ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মনজুর আহমদ। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ট্রেজারার কাজী ফারুক আহমেদ, মতিঝিল সরকারি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক তানজীল আশ্রাফ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা অনুষদের পরিচালক প্রফেসর হোসনে আরা বেগম, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মাহবুবুর রহমান, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান প্রফেসর নারায়ণ চন্দ্র সাহাও এই কমিটির সদস্য। এনসিটিবির সদস্য (পাঠ্যক্রম) প্রফেসর মো. মশিউজ্জামান সদস্য সচিব এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব চৌধুরী মুফাদ আহমদে কমিটির সমন্বয়কের দায়িত্ব পেয়েছেন। এই কমিটিকে আগামী ৬০ কার্যদিবসের মধ্যে বিদ্যমান পাঠ্যক্রমের পরিবর্তন ও পরিমার্জনের বিষয়ে সুপারিশ দিতে বলা হয়েছে।
নবম-দশম শ্রেণির নির্বাচিত কয়েকটি পাঠ্যপুস্তক পরিমার্জন করে সুখপাঠ্য, আকর্ষণীয় ও সহজ করার লক্ষ্যে আরেক কটিমির সদস্য করা হয়েছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর মুহম্মদ জাফর ইকবাল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি প্রফেসর মো. আখতারুজ্জামান ও অর্থনীতি বিভাগের প্রফেসর এম এম আকাশ এবং বুয়েটের প্রফেসর মোহাম্মদ কায়কোবাদ।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর তাসলিমা বেগম, উদ্দীপন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর এস এম ওয়াহিদুজ্জামান, এনসিটিবি চেয়ারম্যান প্রফেসর নারায়ণ চন্দ্র সাহাকেও এই কমিটির সদস্য করা হয়েছে। এনসিটিবির সদস্য (পাঠ্যপুস্তক) প্রফেসর ইনামুল হক সিদ্দিকীকে এই কমিটির সদস্য সচিব এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব চৌধুরী মুফাদ আহমদকে সমন্বয়কের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
কমিটিকে নবম-দশম শ্রেণির কয়েকটি পাঠ্যবই নির্বাচন করে সেগুলোকে পরিমার্জনের জন্য একটি ‘টাইম বাউন্ড অ্যাকশন প্ল্যান’ তৈরি করতে বলা হয়েছে; যাতে ২০১৮ সালের ১ জানুয়ারির আগেই সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিমার্জিত পাঠ্যপুস্তক পৌঁছানো যায়। নির্বাচিত পাঠ্যপুস্তকগুলো পরিমার্জনের মাধ্যমে সুখপাঠ্য, আকর্ষণীয় ও সহজ করে তোলার জন্য এই কমিটি সার্বিক সিদ্ধান্ত নিলেও জাতীয় কারিকুলাম কো-অর্ডিনেটর কমিটি (এনসিসিসি) পরিমার্জিত পাঠ্যপুস্তক অনুমোদন করবে। উভয় কমিটি প্রয়োজনে সদস্য অন্তর্ভুক্ত করতে পারবে জানিয়ে আদেশে বলা হয়েছে, কমিটির সভায় বিষয় বিশেষজ্ঞদের আমন্ত্রণ জানানো যাবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ