Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সুন্দরবনের আত্মসমর্পণকারী ১২ দস্যুর বিরুদ্ধে মংলা থানায় অস্ত্র আইনে মামলা আদালতে সোপর্দ

সুন্দরবনের আত্মসমর্পণকারী ১২ দস্যুর বিরুদ্ধে মংলা থানায় অস্ত্র আইনে মামলা আদালতে সোপর্দ

মংলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৮ জানুয়ারি, ২০১৭, ৪:৪৯ পিএম

মংলা সংবাদদাতা : সুন্দরবনের আত্মসমর্পণকারী দস্যু ‘নোয়া বাহিনী’ প্রধানসহ ১২ দস্যুকে মংলা থানা পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। রোববার দুপুরে পুলিশ তাদের বাগেরহাট আদালতের প্রেরণ করে। আত্মসমর্পণকারী দস্যুদের বিরুদ্ধে মংলা থানায় অস্ত্র আইনে মামলা হয়েছে বলে জানায় পুলিশ। র‌্যাব-৮ এর ডিএডি জিয়াউল হক বাদী হয়ে শনিবার রাতে এ মামলাটি দায়ের করেন। র‌্যাব-৮ এর উপ-অধিনায়ক মেজর আদনান জানান, গত ৭ মাসে র‌্যাবের ৬ দফা অভিয়ানে ৭২ বনদস্যু আত্মসমর্পণ করেছে। এ সময় ১শ ৬৪টি আগ্নেয়াস্ত্র এবং ৮ হাজার ৬৩৬ রাউন্ড গুলি জমা দেয় বন দস্যুরা
র‌্যাব জানায়, গত ৬ জানুয়ারি র‌্যাবের একটি দল সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জে অভিযান শুরু করলে দস্যু “নোয়া বাহিনীর’’ ১২জন সদস্য ২৫টি আগ্নেয়াস্ত্র এবং ১হাজার ১০৫ রাউন্ড বিভিন্ন প্রকার গোলাবারুদসহ আত্মসমর্পণ করে। পরে শনিবার সকালে পটুয়াখালীর কুয়াকাটার রাথাইন মাঠে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামালের কাছে অস্ত্র তুলে দিয়ে আনুষ্ঠানিক আত্মসমর্পণ করে। আত্মসমর্পণকারী দস্যুরা হলো বাহিনী প্রধান মো: বাকি বিলাহ ওরফে নোয়া মিয়া (৩৭), মো: মনিরুল শেখ(৩৮), মো: মানজুর মোলা ওরফে রাঙ্গা(৪২), মো: মুক্ত শেখ (৩৭), মো: তরিকুল শেখ(৬০), মো: আকবর শেখ(৪২), মো: কিবরিয়া মোড়ল(৪০), মো: জাহাঙ্গীর শেখ ওরফে মেজ ভাই(৪৮), মো: আল আমিন শিকদার(৫০), মো: ইউনুচ শেখ ওরফে দুলাল ঠাকুর(৪০), মো: মিলাদুল মোলা ওরফে কালু ডাকাত (২৮), মো: মোশারফ হোসেন ৩৭)। এদের বাড়ির বাগেরহাটের মংলা ও রামপালসহ আশপাশের এলাকায়। আত্মসমর্পণকৃত বনদস্যু এবং তাদের নিকট আত্মীয়ের প্রত্যেককে নগদ বিশ হাজার টাকা এবং শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে র‌্যাবের পক্ষ থেকে। র‌্যাব আরও জানায়, দস্যু “নোয়া বাহিনী” পশ্চিম সুন্দরবনের বঙ্গোপসাগর সংলগ্ন উপকূলবর্তী অঞ্চলে তৎপর ও রাজত্ব করে আসছিল। বলেশ্বর নদী সংলগ্ন বিভিন্ন খাল ও সাতীরা রেঞ্জের কাটেশ্বর ও সাপখালী সংলগ্ন অঞ্চলের বনজীবি ও সাধারণ মানুষকে জিম্মি অপহরণ করেই চাঁদা ও মুক্তিপণ আদায় করা ছিল তাদের নিত্য নৈমত্যিক ঘটনা। এক সময়ের জেলে পরিচিত মো: বাকি বিলাহ ওরফে নোয়া মিয়া মোল্লা দীর্ঘদিন ধরে এই বাহিনী নেতৃত্বে থেকে সুন্দরবনে দস্যুবৃত্তি করে। এ বাহিনীকে নিষ্ক্রিয় করতে একাধিক অভিযান পরিচালনা ও তৎপরতা শুরু করে র‌্যাব।
র‌্যাব-৮ এর উপ-অধিনায়ক মেজর আদনান জানান, গত ৭ মাসে র‌্যাবের ৬ দফা অভিয়ানে ৭২ বনদস্যু আত্মসমর্পণ করেছে। এ সময় ১শ ৬৪টি আগ্নেয়াস্ত্র এবং ৮ হাজার ৬৩৬ রাউন্ড গুলি জমা দেয় বন দস্যুরা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ