বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
স্টাফ রিপোর্টার : ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে বৃক্ষমানব আবুল বাজনদারের প্রথম অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়েছে। আজ শনিবার দুপুর ১২টার দিকে প্রথম অস্ত্রোপচারের পর তাকে হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটার থেকে বের করা হয়।
ঢামেক হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের পরিচালক অধ্যাপক আবুল কালাম, অধ্যাপক রায়হান আউয়াল ও অধ্যাপক সাজ্জাদ খন্দকারসহ ৯ সদস্যের একটি দল এ অস্ত্রোপচার সম্পন্ন করে।
অস্ত্রোপচার শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে বার্ন ইউনিটের পরিচালক অধ্যাপক আবুল কালাম জানান, প্রথম অস্ত্রোপচারে তার ডান হাতের দুটি আঙুল (বৃদ্ধাঙ্গুলি ও তর্জনী) থেকে গাছের মতো শিকড় কাটার কথা ছিল। কিন্তু পরিস্থিতি ভালো হওয়ায় তার ডান হাতের পাঁচটি আঙুলে অস্ত্রোপচার করা হয়।
এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় অপারেশন থিয়েটারে নেওয়া হয় আবুল বাজনদারকে। তার স্ত্রী হালিমা দেশবাসীর কাছে আবুলের জন্য দোয়া চান। দোয়া চান তার বাবা মানিক বাজনদার ও মা আমেনা বেগম।
এর আগে ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন জানান, আবুল বাজনদারের চিকিৎসায় প্রথমে ছয় সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়। পরে সদস্যসংখ্যা বাড়িয়ে নয় সদস্যের বোর্ড করা হয়েছে। এ বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আজ তার প্রথম অস্ত্রোপচার করা হলো।
এর আগে ডা. সামন্ত লাল সেন জানান, আবুল ‘এপিডার্মোডিসপ্লাসিয়া ভেরাসিমরফিস’ নামে একটি বিরল রোগে ভুগছেন। এ রোগটি ট্রি-ম্যান সিনড্রোম নামে পরিচিত। বছর দশেক আগে হাঁটুর নিচের দিকে ছোট ছোট কয়েকটি কালো রঙের আঁচিল দেখতে পান আবুল। এগুলো ধীরে ধীরে তার দুই পা ও পরে হাতে ছড়িয়ে পড়ে। হাতের আঁচিলগুলো দ্রুত বাড়তে থাকে। এখন দেখতে গাছের শুকনো বাকলের মতো মনে হয়। পাঁচ বছর ধরে আবুল কোনো কাজ করতে পারেন না।
খুলনার পাইকগাছার আবুল বাজনদার (২৬) ১০ বছর ধরে হাতে-পায়ে গাছের মতো শেকড় গজানোর বিরল রোগে আক্রান্ত। পাইকগাছা বাসস্ট্যান্ডের কাছে তাদের বাড়ি। গত ৩০ জানুয়ারি ঢামেক হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে চিকিৎসা নিতে আসেন তিনি। আবুল এখন ঢামেকের বার্ন ইউনিটের ৫১৫ নম্বর কেবিনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
গত ৪ ফেব্রুয়ারি ঢামেক হাসপাতালে আবুলকে দেখতে যান স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। তিনি জানান, আবুল বাজনদারের সব চিকিৎসার খরচ বহন করবে সরকার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।