বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
হবিগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা : হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার সুন্দ্রাটিকি গ্রামের চার শিশু হত্যার ঘটনায় আজ শনিবার সালেহ আহমেদ (২৬) নামের সন্দেহভাজন আরেক আসামিকে আটক করেছে পুলিশ। তিনি এর আগে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া বশিরের ভাই।
পুলিশ ও গ্রামবাসী জানান, সালেহ আহমেদ কয়েক দিন ধরে সুন্দ্রাটিকি গ্রামে ছিলেন না। আজ সকালে তিনি গ্রামে ফিরলে স্থানীয় লোকজন তাকে ধরার জন্য ধাওয়া দেয়। সালেহ তখন দৌড়ে গিয়ে মাসুদ মিয়ার বাড়িতে ঢুকে পড়েন। এরপর গ্রামবাসী ওই বাড়ি ঘেরাও করে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ গিয়ে সালেহ আহমদকে আটক করে।
বাহুবল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশাররফ হোসেন জানান, সালেহ আহমেদ গ্রামে ফিরলে স্থানীয় লোকজন তাকে ধাওয়া দিয়ে একটি বাড়িতে অবরুদ্ধ করে রাখে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে সালেহ আহমদকে আটক করে।
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত পুলিশ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে। এরা হলেন আবদুল আলী, তাঁর দুই ছেলে জুয়েল (২০) ও রুবেল (১৮) এবং দুই গ্রামবাসী আরজু ও বশির। আবদুল আলী গ্রামের বিভক্ত পঞ্চায়েতের এক পক্ষের নেতা।
শিশু হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া রুবেল মিয়া (১৮) স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে বলেন, তাদের পরিবারের ওপর ক্ষোভ ও পঞ্চায়েতের দ্বন্দ্বের কারণেই সুন্দ্রাটিকি গ্রামের চার শিশুকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যায় সরাসরি অংশ নেয় ছয়জন। শিশুদের প্রথমে অচেতন করা হয় এবং পরে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়।
রুবেলের জবানবন্দি অনুযায়ী এই নারকীয় হত্যাকাণ্ডে মুখ্য ভূমিকায় ছিলেন গ্রামের অটোরিকশাচালক বাচ্চু মিয়া। শিশুদের পরিবারের বয়োজ্যেষ্ঠদের ওপর তার ক্ষোভ ছিল। পুলিশ বলেছে, বাচ্চু মিয়াকে তারা গ্রেপ্তার করতে পারেনি। তার পরিবার দাবি করেছে, গত বুধবার র্যাব তাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গেছে। র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) অবশ্য এ বিষয়ে কিছু বলতে রাজি হয়নি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।