রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
পাথরঘাটা (বরগুনা) উপজেলা সংবাদদাতা : বরগুনার পাথরঘাটায় এক চেয়ারম্যানের দুর্নীতির প্রতিবাদ করায় মেম্বারদের ওপর বিভিন্নভাবে নির্যাতন শুরু করেছেন ওই চেয়ারম্যান। এ ঘটনায় গত বুধবার নির্যাতিত মেম্বারগণ পাথরঘাটা প্রেস ক্লাবে উপস্থিত হয়ে চেয়ারম্যানের বিভিন্ন দুর্নীতির কথা লিখিত ও মৌখিকভাবে অভিযোগ উল্লেখ করাসহ ওই চেয়ারম্যানের নির্যাতনের হাত থেকে রক্ষা পেতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। অভিযোগে জানা যায়, উপজেলার ৫নং কালমেঘা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আকন মোহাম্মাদ শহিদ নির্বাচিত হয়ে বেপরোয়াভাবে দুর্নীতি শুরু করেন। আর এর প্রতিবাদ করতে গেলেই তার ওপর নেমে আসে বিভিন্নভাবে নির্যাতন, হামলা ও মিথ্যা মামলার শিকার। সংবাদ সম্মেলনে বর্তমান ইউপি সদস্য মোঃ শাহিন, মো. মোস্তফা, মো. আবুল কালাম আজাদ, মো. নাসির নাজির, তহমিনা জহির, সাবেক সদস্য মো. মতিয়ার রহমান এবং কালমেঘা ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সদস্য মো. সোহরাফ ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য উল্লিখিত ইউনিয়নের ৪, ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের মোসাঃ নাজমা, ৭, ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের মোসাঃ শিল্পী বলেন, আকন মোহাম্মাদ শহিদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে একের পর এক দুর্নীতি করা শুরু করেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য সম্প্রতি উপকূলে বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় রোয়ানুতে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য সরকারিভাবে বরাদ্দ হওয়া ৩ টন ৮শ’ কেজি চাল, ঈদুল ফিতরে গরিবদের জন্য বরাদ্দ হওয়া ২ টন ৬শ’ কেজি চাল, ইউপি ভবন মেরামতের জন্য বরাদ্দ হওয়া টিআর কাবিখার চাল বিক্রি করে পাওয়া ১১ লাখ টাকা থেকে মাত্র আনুমানিক ২ লাখ টাকার কাজ করে বাকি টাকা আত্মসাৎ করেন। সম্প্রতি উল্লিখিত ইউনিয়নের ৪০ জন কৃষকের জন্য বরাদ্দ হওয়া সার ও ডাল যার অনুমানিক মূল্য ৫০ হাজার টাকা, সম্প্রতি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ব্র্যাক থেকে পাওয়া শীতার্তদের জন্য ৮শ’ কম্বল থেকে নামে মাত্র কিছু কম্বল বিতরণ করে বাকি কম্বল বিক্রি করে সকল টাকা আত্মসাৎ করেন। উল্লিখিত ইউনিয়নের বর্তমান ইউপি সদস্য মোঃ আবুল কালাম আজাদ, মো. শাহিন ও মো. নাসির নাজির বলেন, আমরা চেয়ারম্যান আকন মোহাম্মাদ শহিদের দুর্নীতির প্রতিবাদ করায় সে এলাকার অসামাজিক উচ্ছৃঙ্খল জনৈক রেনু বেগম নামে এক নারী দিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে গত ১ জানুয়ারি ২০১৭ বরগুনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ধর্ষণের চেষ্টা একটি হয়রানিমূলক মামলা দায়ের করান। উল্লেখিত ব্যক্তিরা লিখিত অভিযোগ করে বলেন, চেয়ারম্যান আকন মোহাম্মাদ শহিদের চাচা আনোয়ার হোসেন আকন বর্তমান পৌরসভার মেয়র হওয়ায় চাচার জোরে আকন মোহাম্মাদ শহিদ আরো বেশি দুর্নীতি শুরু করে আসছেন। তারা চেয়ারম্যান আকন মোহাম্মাদ শহিদের অত্যাচার ও হয়রানি থেকে মুক্তি দাবি করেন। এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান আকন মোহাম্মাদ শহিদের কাছে জানতে চাইলে তিনি সকল অভিযোগ অস্বীকার করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।