Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

যশোর কালেক্টরেট চত্বরে অবৈধ স্থাপনা অপসারণের নির্দেশ

| প্রকাশের সময় : ৫ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : যশোরের কালেক্টরেট চত্বরে অবৈধ স্থাপনা সাত দিনের মধ্যে অপসারণে নির্দেশ দিয়েছেন উচ্চ আদালত। গতকাল বুধবার এক রিট আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে বিচারপতি কাজী  রেজা-উল হক ও বিচারপতি  মোহাম্মদ উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ  দেন। একই সঙ্গে রুলও জারি করেন আদালত। রুলে যশোরের কালেক্টরেট চত্বরে অননুমোদিত স্থাপনা নির্মাণ রোধে নিষ্ক্রিয়তা কেন  বেআইনি হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। জনপ্রশাসন সচিব, ভূমিসচিব, যশোর  জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী উজ্জ্বল হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন  ডেপুটি অ্যাটর্নি  জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস। পরে উজ্জ্বল হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, যশোরের কালেক্টরেট চত্বরে অননুমোদিত স্থাপনা সাত দিনের মধ্যে অপসারণে নির্দেশ দিয়েছেন উচ্চ আদালত। একই সঙ্গে আদালত ওই এলাকায় অনুমোদন ছাড়া দোকানসহ স্থাপন নির্মাণের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনকে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন।
গত বছরের ২৫ ডিসেম্বর ‘যশোর কালেক্টরেট চত্বরে বন্ধ হয়নি দোকান নির্মাণ’ শীর্ষক প্রতিবেদন একটি জাতীয় দৈনিকে ছাপা হয়। ওই আবেদন যুক্ত করে যশোর  জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য মাহবুব আলম রিটটি করেন। যশোর শহরে কালেক্টরেট চত্বরের পূর্বপাশে মুজিব সড়ক ঘেঁষে নির্মাণ করা হচ্ছে পাকা ভবন। সাতটি রুমবিশিষ্ট এ ভবনের নির্মাণ কাজ বন্ধে ১৫ ডিসেম্বর জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। ৩৬ জন আইনজীবী স্বাক্ষরিত স্মারকলিপিতে বলা হয়, বাংলার প্রথম জেলা যশোরের জিরো পয়েন্টে বিশাল এলাকাজুড়ে প্রতিষ্ঠিত ৩৬০ দুয়ারি ইতিহাসখ্যাত কালেক্টরেট ভবন অবস্থিত। বিশেষ মহলের ষড়যন্ত্রের ফলে ভবনটি ধ্বংসের সম্মুখীন। ভবনে রয়েছে জেলার প্রধান কোষাগার। যেখানে রয়েছে শত শত কোটি টাকার সম্পদ। এ সম্পদ ও কালেক্টরেট ভবনকে সুরক্ষিত করার লক্ষে স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে ভবনের পাশে একটি পুলিশ ব্যারাক নির্মাণ করা হয়। প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, কর্মচারী কল্যাণ সমিতির নামে নির্মাণ করা হচ্ছে আধা পাকা টিনশেডের দোকান। অপরিকল্পিতভাবে কালেকটরের চত্বরে সৌন্দর্য নষ্ট করে আধা পাকা ইমারত নির্মাণ করায় ক্ষুব্ধ সচেতন সমাজ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ