পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার: গুলশানে সিটি করপোরেশন মার্কেটে আগুনের ঘটনায় বিশেষজ্ঞদের নেতৃত্বে একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠনের দাবি জানিয়েছে বিএনপি। গতকাল বুধবার দুপুরে ক্ষতিগ্রস্ত মার্কেট পরিদর্শনে গিয়ে এই দাবি জানান দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গুলশান ১ নম্বর ডিএনসিসি মার্কেটে অগ্নিকান্ডের ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখতে বিশেষজ্ঞদের নিয়ে নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব একই সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী ও দোকান পরিচালকদের পুনর্বাসন করার দাবিও জানান।
গুলশান মার্কেটের আগুনের তদন্ত দাবি
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ঘটনাস্থলে যান। তিনি আগুনে ধসে যাওয়া দোকানগুলো দেখেন এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলেন।
সোমবার দিবাগত গভীর রাতে এই আগুনে মার্কেটের দ্বিতল ভবনের একটি অংশ পুরোপুরি ধসে পড়ে। ১৯ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে জ্বলা আগুনে ধ্বংস হয়ে যায় বিপুল পরিমাণ মালামাল। একেবারে নিঃস্ব হয়ে যায় কয়েকশ ব্যবসায়ী পরিবার। এই আগুনকে নিছক দুর্ঘটনা হিসেবে দেখতে নারাজ ব্যবসায়ীরা। এই ঘটনাকে নাশকতা বলে অভিযোগ করছেন তারা। তাদের অভিযোগ, বহুতল বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণের পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এই আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়েছে। যদিও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন মেয়র আনিসুল হক একে বৈদ্যুতিক দুর্ঘটনা হিসেবে দেখছেন। এরই মধ্যে আগুনের কারণ জানতে তদন্ত শুরু হয়েছে।
মার্কেটের আগুনের ঘটনাটি নাশকতা কিনা- তা জানতে চান মির্জা ফখরুলও। তিনি বলেন, আজকে এখানে যারা ব্যবসায়ী রয়েছেন, যারা দোকান পরিচালনা করছেন, তাদের মধ্যে সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে যে, এটা পরিকল্পিত অগ্নিকা-। এর সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া প্রয়োজন, কারণ উৎঘাটন করা দরকার। যদি তা-ই হয়ে থাকে, এটার জন্য দায়ী কারা, সেটাও বের করা উচিত এবং দায়ী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় নিয়ে আনতে হবে। সেজন্য আমি মনে করি, এই ঘটনার নিরপেক্ষ সুষ্ঠু তদন্তের মধ্য দিয়ে সঠিক সত্যটি উৎঘাটন করা প্রয়োজন। সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ এবং বিশেষজ্ঞদের নিয়ে এই তদন্ত কমিটি গঠন করা প্রয়োজন।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের পাশে দাঁড়াতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, আমি শুনেছি যে এখানে ৬৯৫টি ছোট-বড় দোকান রয়েছে। দুর্ভাগ্যজনক যে, এই অগ্নিকান্ডে সবাই প্রায় নিঃস্ব হয়ে গেছেন। তারা পথে দাঁড়িয়ে গেছেন। এখানে অনেকে দোকান করতেন, তাদের সীমিত পুঁজি। তাদের পক্ষে ঘুরে দাঁড়ানো কঠিন হবে। আমি মনে করি, এখানে সরকার ও সিটি করপোরেশনকে এসব ব্যবসায়ীদেরকে ক্ষতি পূরণ করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া উচিত।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা গতকালই দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে এই অগ্নিকান্ডের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছি এবং যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তাদের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সদস্য আবদুস সালাম, মহানগর বিএনপি নেতা আবদুল আলিম নকি, ফারুক হোসেন ভুঁইয়া প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।