Inqilab Logo

শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

লিকুইড মিল্ক ফিলিং মেশিন ক্রয়ে মিল্ক ভিটার ২ কোটি ৩২ লাখ ৩৯ হাজার টাকা ক্ষতি

জড়িত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলার নির্দেশনা

| প্রকাশের সময় : ৫ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

হাবিবুর রহমান : মিল্ক ভিটার লিকুইড মিল্ক ফিলিং মেশিন যথাযথ না হওয়ায় সরকারের ২ কোটি ৩২ লাখ ৩৯ হাজার টাকা ক্ষতি এবং ৯ লাখ ৩৯ হাজার ৩৪ টাকা অন্যান্য ব্যয় দেখিয়ে আত্মসাৎ করা হয়েছে। এ কাজে জড়িত থাকা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা নির্দেশনা দিয়েছে সরকারি হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। বাংলাদেশ দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমবায় ইউনিয়ন লিমিটেডের পণ্য বিক্রয়ের টাকা ব্যাংকে জমা না দিয়ে আত্মসাত এবং মজুদ মালামালে ঘাটতি দেখিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়া মামলার সর্বশেষ অগ্রগতিসহ জানতে চেয়েছে এ কমিটি।
সরকারি হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় উপস্থাপিত ২০০৯-২০১০ অর্থ-বছরের অডিট প্রতিবেদনে এ চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। মিরপুরে বিক্রয় কেন্দ্রের তদন্ত মহা-হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমবায় ইউনিয়ন লিমিটেডের মাধ্যমে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ে বিভিন্ন অনিয়মের মাধ্যমে সরকারের ক্ষতি করা হয়েছে ২ কোটি ৪১ লাখ ৭৮ হাজার ৩৪ টাকা। এর মধ্যে দুগ্ধজাত পণ্য বিক্রয়লব্ধ অর্থ ব্যাংকে জমা না করে আত্মসাৎ এবং মজুদ মালামালের ঘাটতি করে ক্ষতি করা হয়েছে ২৫ লাখ ৪০ হাজার ৭২৪ টাকা, প্রতিষ্ঠানে ক্রয়কৃত লিকুইড মিল্ক ফিলিং মেশিন যথাযথ না হওয়ায় এর মূল্য বাবদ ক্ষতি ২ কোটি ৩২ লাখ ৩৯ হাজার টাকা এবং অন্যান্য ব্যয় দেখিয়ে আত্মসাৎ করা হয়েছে ৯ লাখ ৩৯ হাজার ৩৪ টাকা। ব্যবস্থাপক বিপণন বিভাগের কর্মকর্তা বিদ্যুৎ কুমার ম-ল স্বাক্ষরিত জব ডেসিক্রিশন অনুযায়ী স্টোর শাখার তত্ত্বাবধায়ক খায়রুল ইসলাম আল মাজি বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিক্রয় যোগ্য পণ্য গস্খহণ, পণ্য বিক্রয়, বিক্রীত অর্থ ব্যাংকে জমা ব্যাংকে জমা না দিয়ে আত্মসাত করেছে। এর পরে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় এবং দুর্নীতি দমন কমিশন মামলা করে।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ক্রয়াদেশ নং পিডি/একা-এম/এলসি মোতাবেবক ২০০৯ সালে অস্ট্রেলিয়ান কোম্পানির স্থানীয় এজেন্ট মেসার্স জেনিটিক ইন্টারন্যালশাল বাংলাদেশ এর নামে  লিকুইড মিল্ক ফিলিং মেশিন ২ কোটি ৩২ লাখ ৩৯ হাজার ক্রয় করা হয়। মেশিনটিতে ত্রুটিপূর্ণ থাকায় কর্তৃপক্ষ এখনো ব্যবহার করতে পারছে না। মেশিনের ত্রুটিগুলো হচ্ছে, ব্যালেন্স ট্যাস্ক নেই, সিআইপি নেই, হর‌্যাইজোনটাল সিলিং ও মেশিন কেবিনেট স্টেইনলেন্স এবং স্টিল নাই তারপর কোম্পানিকে মেশিনের মোট মূল্যের ৮০ ভাগ অর্থ পরিশোধ করা হয়।
কমিটির সভাপতি ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীরের সভাপতি  ইনকিলাবকে বলেন, সরকারি প্রতিষ্ঠানে ক্রয়কৃত লিকুইড মিল্ক ফিলিং মেশিন যথাযথ না হওয়ায় এর মূল্য বাবদ ক্ষতি ২ কোটি ৩২ লাখ ৩৯ হাজার টাকা এবং অন্যান্য ব্যয় দেখিয়ে আত্মসাৎ করা হয়েছে ৯ লাখ ৩৯ হাজার ৩৪ টাকা। আমরা এগুলোর বিষয়ে মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় নিতে বলা হয়েছে। তা কি ব্যবস্থা নিয়েছে তা আগামী বৈঠকে জানতে চাওয়া হয়েছে। কমিটির সদস্য সাবেক মন্ত্রী মো. আফছারুল আমীন ইনকিলাবকে বলেন, মিল্কভিটায় অনেক অনিয়ম ও দুর্নীতি হচ্ছে। এর মধ্যে তরল দুধে ব্যাপক অনিয়ম হচ্ছে। সে বিষয়ে কমিটি জানতে চেয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ